Ajker Patrika

আবু সায়েদ হত্যা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ফের পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫৭
Thumbnail image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক দুই মন্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ ছিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য করা দ্বিতীয় তারিখ। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম জাকী আল ফারাবী এই তারিখ ধার্য করেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটি ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। রাজধানীর একজন ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শীতল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানা মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে।

মামলার বাদীর আইনজীবী মো. মামুন মিয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলসংক্রান্ত তারিখ ধার্যের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল-মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য ও তৎকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল-সমাবেশ করে। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হয়। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, নিহত সায়েদকে তাঁর গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তাঁর মা, স্ত্রী, ছেলে সেখানেই থাকেন। এ কারণে তাঁরা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় বাদী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই মামলা করলেন। 

বাদী মামলার অভিযোগে আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালান। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। কাজেই বিচার হওয়া প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত