Ajker Patrika

নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে ১০ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা পরিবারকল্যাণ কর্মীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারকল্যাণের কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারকল্যাণের কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিয়োগবিধি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে পরিবারকল্যাণের কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ বর্জনসহ আগামী ১০ দিন পূর্ণ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মবিরতি।

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এর আয়োজন করেন পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবারকল্যাণ সহকারী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতির আহ্বায়ক মো. সোহেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩৩ হাজার ৭১০ জন সারা দেশে কর্মরত রয়েছি। বিভিন্ন পদধারীরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শতভাগ দম্পতি নিবন্ধন এবং নিয়মতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে।’

মো. সোহেল হোসেন বলেন, ‘আমরা মা ও স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা, টিকাদান কর্মসূচিসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেবা দিচ্ছি। অথচ আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে থাকলেও কোনো পদন্নোতি হয়নি।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘একটা শ্রেণিকে সুবিধা দিয়ে আসছে বিধায় ২৬ বছর ধরে আমাদের ৩৩ হাজার কর্মীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

সোহেল হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতভুক্ত, কিন্তু নিয়োগবিধি নেই এবং পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার বিদ্যমান নিয়োগবিধি সংশোধন হয়নি। সে জন্য আমরা বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ, পদোন্নতিসহ চাকরিগত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।’

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতির আহ্বায়ক বলেন, ‘ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষের নিকট চাকরির শুরু থেকে এ পর্যন্ত লিখিত আবেদন, মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন, শান্তিপূর্ণ অবস্থানসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছি, তাও নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের এক দাবি—প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি-২০২৪ অতি দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। দাবি আদায় না হলে ধারাবাহিক আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সোহেল হোসেন জানান, ২ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি এবং স্ব-স্ব উপজেলা অফিসে অবস্থান নেবেন তাঁরা। আসন্ন পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহও বর্জন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামিদা আক্তার রিক্তা, বাংলাদেশ পরিবারকল্যাণ সহকারী সমিতির সভাপতি মুক্তা পারভিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, ভাঙচুর–গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বাগমারা থানা । ফাইল ছবি
বাগমারা থানা । ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাগমারায় সাবেক এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত ওই যুবদল নেতাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্থানীয় কথিত সিক্স স্টার বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ।

আহত এস এম আরিফুল ইসলাম আরিফ রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ আলম ও বারিক নামের দুই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে রাতে আহত যুবদল নেতা চারজনের নাম উল্লেখসহ ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। থানায় অবস্থানকালে যুবদল নেতার তাহেরপুর বাড়িতেও হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় যুবদল নেতা আরিফের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তিনি তাঁর ওপর হামলা ও রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের সঙ্গে তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আ ন ম শামছুর রহমান মিন্টুর মদদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহেরপুরের পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর উপজেলার ঝিনার মোড় এলাকায় একটি বিলে পুকুর খনন চলছে। তাহেরপুরের বিএনপি নেতা মিন্টুর ক্যাডার বাহিনী পুকুর খননের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ। বিলের জমির মালিকদের সঙ্গে কথা না বলে এবং লিজের টাকা না দেওয়ায় এলাকার যুবক আলমসহ স্থানীয় কৃষকেরা পুকুর খনন করতে বাধা দেন।

এ সময় আলম তাঁর ঘনিষ্ঠ বাগমারার বড়বিহানিলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবদল নেতা মাহমুদুল রহমান মিলন; তাহেরপুর পৌর যুবদলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ আরও কয়েকজনকে ডাকেন।

সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুললে কথিত সিক্স স্টার বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় ওই বাহিনীর সদস্য রাসেল ফরাসিসহ কয়েকজন পিস্তল বের করে গুলিবর্ষণ করেন। এতে আলম ও বারিক নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হন। এরপর রাত ৩টার দিকে সিক্স স্টার বাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে তাহেরপুর চলে যান।

তাঁদের ধারণা, যুবদল নেতা আরিফের নির্দেশে তাঁরা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছেন। পরে তাঁরা তাহেরপুরে পৌঁছে তাঁর চায়নিজ রেস্তোরাঁয় হামলা করেন। এ সময় আরিফকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

জানতে চাইলে আহত আরিফ বলেন, ‘আমি রাতে রেস্টুরেন্টে ছিলাম। এ সময় সিক্স স্টার বাহিনীর সদস্য তাহেরপুর পৌর কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি রাসেল ফরাসি, তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক আহ্বায়ক আবু বাশার, বর্তমান আহ্বায়ক ওহাব সর্দার এবং ছাত্রদল কর্মী লিখন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। রাসেল ও বাশারের হাতে পিস্তল ছিল। ওহাবের হাতে ছিল চাপাতি। আর লিখনের হাতে ছিল রড।’

আরিফ আরও বলেন, ‘হামলার সময় আমি চিৎকার করেছিলাম। সে সময় তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি পিকআপ আমার রেস্টুরেন্টের নিচে ছিল। চিৎকার শুনে পুলিশ সদস্যরা আমার রেস্টুরেন্টে উঠে এলে সিক্স স্টার বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়।

‘তবে এর পাঁচ মিনিট পরেই রাসেল ফরাসির নেতৃত্বে আবারও ১৫-২০ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টে এসে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তারা আমার রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ডেকোরেশন ভাঙচুর করে। এর ফলে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আ ন ম শামসুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘আরিফের ওপর হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার কোনো বাহিনী নেই। আমি সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। সাধারণ জীবনযাপনে আমি অভ্যস্ত। যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেগুলো ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’

এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে রাজশাহী পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একজনের ওপর হামলা ও রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না, জানা নেই। মামলা রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে কলোনিতে আগুন, পুড়ল অর্ধশত ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পোড়া ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পোড়া ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরে আগুন লেগে একটি কলোনির অর্ধশত ঘর পুড়ে গেছে। আজ সোমবার সকালে নগরের বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড়সংলগ্ন একটি কলোনিতে (কেডিএস গার্মেন্টসের পেছনে) এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে বলেছে, রান্নার চুলা থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।

ফায়ার সার্ভিসের কাছের স্টেশনসহ আশপাশ থেকে ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানায় সংস্থাটির বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

জানা গেছে, নগরীর অক্সিজেন মোড় এলাকার রেললাইনসংলগ্ন ওই কলোনিতে অর্ধশত ভাড়া ঘর ছিল। সেখানে পার্শ্ববর্তী পোশাক কারখানার শ্রমিকরাসহ নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করেন। আগুনে ঘরের ভেতরে থাকা আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শাহ ইমরান বলেন, অক্সিজেন এলাকার একটি বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা আগুন ছড়িয়ে দিতে দিইনি। তবে আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, রান্নার চুলা থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’ তিনি জানান, আগুনে কোনো হতাহত নেই এবং এ ঘটনায় তিন লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে যুবলীগ নেতার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করল দুদক

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের দুটি বহুতল ভবন ক্রোক করে সরকারি তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নরসিংদীর যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের দুটি বহুতল ভবন ক্রোক করে সরকারি তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নরসিংদীর যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর কয়েক কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে পলাশ উপজেলা ডাঙ্গা এলাকায় দুদকের গাজীপুর-নরসিংদী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে দেলোয়ারের মালিকাধীন দুটি বহুতল ভবন জব্দ করে সরকারি তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়।

অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দেলু কাজিরচর গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এবং ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা দেলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, রাহাজানি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ প্রায় অর্ধশত মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক দুদক বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯)-এর ১৮ বিধি অনুযায়ী অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেলুর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দেলুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ জব্দ ও রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন। এরপরই দুদক আজ মাঠে নেমে ভবন দুটি জব্দ করে।

অভিযানে দুদক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, ডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা শিউলি রানী ধর এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হলধর দাস।

ইউএনও মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘দুদকের গাজীপুর-নরসিংদী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের নির্দেশনায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে পলাশ উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করেছি। পাঁচ ও তিনতলাবিশিষ্ট ভবন জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যা অন্য কেউ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। জব্দ করা সম্পত্তি সরকারি তত্ত্বাবধানে হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নীলফামারীতে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নীলফামারী প্রতিনিধি
আদালত চত্বরে আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আদালত চত্বরে আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আনোয়ারুল হক (৪০) ও ছামিউল ইসলাম (৩০) নামে দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এই আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ারুল হক সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কাঙ্গালপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে এবং ছামিউল ইসলাম একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণমতে, ২০২০ সালের ২১ আগস্ট রাতে জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে আকলিমা খাতুন (২৫) হত্যার শিকার হন। ২২ আগস্ট সকালে বাড়ির অদূরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আকলিমার মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে ২৩ আগস্ট সৈয়দপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আনোয়ারুল হক ও ছামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করলে তাঁরা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর পিপি মো. আসাদুজ্জামান খান ওই দুই ব্যক্তির সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা নেশাদ্রব্য সেবন করে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।

মো. আসাদুজ্জামান জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর এক শিশু আসামির বিচারকার্য শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত