নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর ব্যস্ত সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ ও দুই পক্ষের মিলিয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশকে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সময় গুরুত্বপূর্ণ মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা ৩টার পর ওই এলাকায় ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত সিটি কলেজের সামনে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিল। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্যাম্পাসের ভেতরে ছিলেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজের দিকে সরে যান। তিনি বলেন, ‘দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ছোটখাটো বিষয় থেকেও তাঁদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমরা উভয় কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলব। মূল কারণ খুঁজে বের করতে চাই। শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। আমরা চাই, সমস্যার স্থায়ী সমাধান।’
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, গত সোমবার (১৮ আগস্ট) উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বাইরে কোচিং করার সময় ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র কেড়ে নেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের এক অনার্স শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টা হামলা চালিয়ে সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে আহত করেন।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিউমার্কেট ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সে সময় নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হক বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউ কথা শুনছে না।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর একবার সংঘর্ষ থেমে গেলেও দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙা নিয়ে আবার মারামারি শুরু হয়। সায়েন্স ল্যাব এলাকা দিয়ে যেতে থাকা ঢাকা কলেজের একটি বাস সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আবার দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন এবং ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সকাল ও দুপুরে দফায় দফায় সড়ক অবরোধে নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি এলাকাসংলগ্ন মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিকেলে আবার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পথচারী আবদুল মালেক বলেন, ‘আমি নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। কয়েক মাসের মধ্যে আজ দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীদের জন্য আটকা পড়তে হলো। তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কেন?’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ মার্চ দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
রাজধানীর ব্যস্ত সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ ও দুই পক্ষের মিলিয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশকে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সময় গুরুত্বপূর্ণ মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা ৩টার পর ওই এলাকায় ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত সিটি কলেজের সামনে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিল। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্যাম্পাসের ভেতরে ছিলেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজের দিকে সরে যান। তিনি বলেন, ‘দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ছোটখাটো বিষয় থেকেও তাঁদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমরা উভয় কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলব। মূল কারণ খুঁজে বের করতে চাই। শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। আমরা চাই, সমস্যার স্থায়ী সমাধান।’
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, গত সোমবার (১৮ আগস্ট) উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বাইরে কোচিং করার সময় ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র কেড়ে নেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের এক অনার্স শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টা হামলা চালিয়ে সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে আহত করেন।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিউমার্কেট ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সে সময় নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হক বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউ কথা শুনছে না।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর একবার সংঘর্ষ থেমে গেলেও দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙা নিয়ে আবার মারামারি শুরু হয়। সায়েন্স ল্যাব এলাকা দিয়ে যেতে থাকা ঢাকা কলেজের একটি বাস সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আবার দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন এবং ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সকাল ও দুপুরে দফায় দফায় সড়ক অবরোধে নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি এলাকাসংলগ্ন মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিকেলে আবার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পথচারী আবদুল মালেক বলেন, ‘আমি নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। কয়েক মাসের মধ্যে আজ দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীদের জন্য আটকা পড়তে হলো। তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কেন?’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ মার্চ দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৪ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে