Ajker Patrika

জমি নিয়ে বিরোধে শিবিরের সাবেক সভাপতিকে মারধর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে শিবিরের সাবেক সভাপতিকে মারধর। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে শিবিরের সাবেক সভাপতিকে মারধর। ছবি: আজকের পত্রিকা

জমি নিয়ে বিরোধে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদসংলগ্ন পৌর মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত হাশেম শকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানাসহ আওয়ামী লীগ নেতা আজমেরী ওসমানের ক্যাডার কাউসারকে দেখা গেছে।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, চাষাঢ়ায় পৌর মার্কেটের একটি দোকান নিয়ে মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। আশিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই দোকানের মালিক দাবি করেন। অপর দিকে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সাঈদের দাবি এই দোকানের মালিক তিনি নিজে। সেই সঙ্গে এর মালিকানাসংক্রান্ত মামলায় তিনি জয়ী হয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে গোলাম সারোয়ার সাঈদ এক্সকাভেটর নিয়ে দোকান ভাঙা শুরু করেন। খবর পেয়ে আশিকুর রহমানের পক্ষ নিয়ে সাবেক কাউন্সিলর শকু ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মাহবুব হাসান জুলহাস এসে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। একই সময়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। এ সময় তাঁদের অনুসারীরা সাঈদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান এবং বেধড়ক মারধর করেন।

হামলার শিকার গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, ‘এই দোকানের পুরো জায়গার মালিক আমি। জুলহাসের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাঁর সঙ্গে আমি তর্কে জড়াই নাই। আমি তাঁকে শুধু একটা কথাই বলেছি, আপনার কাছে যদি বৈধ কাগজপত্র থাকে, তা বের করেন, আর আমার কাছে যে কাগজপত্র রয়েছে, তা-ও বের করব।

নারায়ণগঞ্জে শিবিরের সাবেক সভাপতিকে মারধর। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে শিবিরের সাবেক সভাপতিকে মারধর। ছবি: আজকের পত্রিকা

কাগজ অনুযায়ী যদি আমি না পাই, তাহলে স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যাব। আমি সব আইনিপ্রক্রিয়া মেনেই করছিলাম। কিন্তু তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।’

জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, ‘হঠাৎ আমি খবর পাই এক্সকাভেটর দিয়ে দোকান ভেঙে ফেলছে। আমি তাঁকে বারবার বলি, দেশে আইন আছে। আপনি সিটি করপোরেশনে যান। আইনগত প্রক্রিয়ায় সামনে আগান। তিনি যদি এভাবে গায়ের জোরে সব দখল করে নেন, তা তো কাম্য নয়। আর আমরা তাঁকে কোনো আঘাত করি নাই।’

সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে দোকান এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে—এই খবর শুনে আমি সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে ঘটনাস্থলে যাই। তখন সাঈদ নামের যে ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটান, তাঁকে জিজ্ঞেস করি কেন এই দোকান ভাঙলেন।

তিনি আমাকে বলেন, আমার জমিতে যাওয়ার জন্য রাস্তা দরকার, তাই এটা ভাঙা হয়েছে। পরে আমি তাঁকে বলি, আপনার কাছে যদি এই জমির মালিকানা থাকে, তাহলে আপনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোকানের দখল নিতেন। আপনি কেন এভাবে ভাঙচুর করে দোকানের ক্ষয়ক্ষতি করলেন? তিনি কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত