Ajker Patrika

নতুন সেক্টরগুলোতে পুরোনো ভোগান্তি

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা
নতুন সেক্টরগুলোতে পুরোনো ভোগান্তি

গ্যাস, পানিসহ উন্নয়নের অজুহাতে খোঁড়াখুঁড়ি এবং সংস্কারের অভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন সেক্টরগুলোর সড়কের অবস্থা বেহাল। স্থানীয় সাংসদ ও কাউন্সিলররা নির্বাচনের আগে এসব সড়ক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা কথা রাখেননি বলে অভিযোগ উত্তরাবাসীর।

উত্তরখান মাস্টারবাড়ীর বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, আবদুল্লাহপুর থেকে মৈনারটেক পর্যন্ত সড়কের কিছু অংশের সংস্কারকাজ কিছুদিন আগে হয়েছে। কিন্তু যেটুকুর কাজ হয়েছে, সেটুকুই ভালো আছে। কিন্তু ভালো বলে যে রাস্তার কাজ করা হয়নি, তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চরম বেহাল হয়েছে। এমন দশা হয়েছে যে, কোনো প্রসূতি ওই রাস্তা দিয়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার আগে সন্তান প্রসব হয়ে যাবে।

উত্তরখান সরকারবাড়ীর রুহুল আমিন সরকার বলেন, মাজার থেকে চামুরখান সড়কের অবস্থা এতই বেহাল যে, রিকশা-অটোরিকশা দিয়ে গেলে যে সময় লাগে, হেঁটে গেলেও প্রায় একই সময় লাগে। নানা কারণ দেখিয়ে সবাই খোঁড়াখুঁড়ি করে, কিন্তু রাস্তা ঠিক করে না কেউ।

কাঁচকুড়ার বাসিন্দারা জানান, দক্ষিণখান থেকে কাঁচকুড়া বাজার যাতায়াতের প্রধান সড়কটি উন্নয়নের অভাবে অচল হয়ে গেছে। বছরের পর বছর যায়, কিন্তু সংস্কার হয় না। এ ছাড়া কাঁচকুড়া বাজার থেকে বাওথার, বেতুলী সড়ক, বাতুড়িয়া সড়ক, পলাশিয়া ও আমাইয়া সড়কেরও একই অবস্থা।

দক্ষিণখান আশকোনার মো. জুয়েল বলেন, ‘খোঁড়াখুঁড়ির কারণে হজ ক্যাম্প থেকে গাওয়াইর, প্রেমবাগান, সিটি কমপ্লেক্স, হলান সড়ক তিন বছর ধরে বেহাল। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে, এরপরও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। ফলে রিকশা-অটোরিকশায় চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব সড়ক থেকে মেডিকেল রোড এবং আব্দুর রাজ্জাক রোডের অবস্থা আরও ভয়ংকর। তবু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা কাউন্সিলরদের কোনো নজর নেই।

শাহ কবীর মাজার রোডে ইজিবাইকচালক মো. মিন্টু বলেন, ‘আজমপুর থেকে সিএনজি পাম্প পর্যন্ত ম্যানহোলের ঢাকনা তুলে অর্ধেক মাস ধরে পরিষ্কারের কাজ করা হয়। এ সময় সড়কে লেগে থাকে তীব্র যানজট। পাঁচ মিনিটের পথ এক ঘণ্টায়ও যাওয়া যায় না। এদিকে, মাজার থেকে চামুরখান সড়কের অবস্থা আরও খারাপ।

তুরাগের বাদালদির ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, খোঁড়াখুঁড়ির কারণে তুরাগের বাদালদি ও বাউনিয়া সড়কের করুণ দশা। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিদিন দু-তিনটি করে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবু কেউ কোনো সংস্কার করছে না।

তুরাগবাসী জানান, তুরাগের চন্ডালভোগ মধ্যপাড়ার সড়ক, নলভোগের প্রধান সড়ক, তারারটেক রোড, রানাভোলা, ফুলবাড়িয়া, সিরাজ মার্কেট, ভাবনারটেক, ধরঙ্গেরটেক ও রাজাবাড়ি এলাকায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যার ফলে বৃষ্টি হলেই বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও মার্কেটে পানি ওঠে।

এ ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়িতে পুরো সড়কই ভাঙাচোরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ হাবিব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়র মহোদয় কিছুদিনের মধ্যে এলাকার রাস্তাঘাটের সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা একটু অপেক্ষা করি। আসলে মাঝে মাঝে একটু একটু করে বরাদ্দ আসে, ওই বরাদ্দ দিয়েই সব ওয়ার্ডে উন্নয়নকাজ করা হচ্ছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত