Ajker Patrika

দায়িত্ব পালনকালে বাধার শিকার হন ৮৬ শতাংশ মানবাধিকারকর্মী: সিজিএসের প্রতিবেদন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১০: ৪৪
দায়িত্ব পালনকালে বাধার শিকার হন ৮৬ শতাংশ মানবাধিকারকর্মী: সিজিএসের প্রতিবেদন 

তৃণমূল পর্যায়ের দায়িত্ব পালনকালে ৮৬ শতাংশ মানবাধিকারকর্মী নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন বলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৪৬ শতাংশ মনে করেন মানবাধিকার পরিস্থিতি গুরুতর, ৬২ শতাংশ মনে করেন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার পরিবেশ নিরাপদ নয়। 

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় দেশের ৩৬টি জেলা থেকে ৫০ জন উত্তরদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণার জরিপ প্রক্রিয়াটি চলতি বছরের ২৪মে শুরু করে, শেষ করা হয়েছে ২৪ জুন। 

গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষক দলের প্রধান ডা. আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, আমাদের এই গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন, তাঁরা কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন, সেই সব বিষয় পরিস্থিতিতে তুলে ধরেছেন। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। 

গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ মানবাধিকারকর্মী জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রীয় সংস্থা তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারি কর্তাব্যক্তিদের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন। মানবাধিকার নিশ্চিতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী হিসেবে সরকারি দলকে চিহ্নিত করেছেন ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন এমন সংস্থার নেতৃস্থানীয়রা জানিয়েছেন, হয়রানি করতে ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যমান কিছু আইন, যেমন—ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮। 

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, হুমকি, হয়রানি, ভয়ভীতি ও নিপীড়নের মতো প্রতিবন্ধকতায় মানবাধিকারকর্মীদের কর্মক্ষেত্র সীমিত হয়ে আসছে। প্রভাব পড়েছে তাদের জীবনে (২৮ দশমিক ৬ শতাংশ)। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ছেড়েছেন তাঁরা (১০ দশমিক ৭ শতাংশ)। বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা (২৫ দশমিক ৫ শতাংশ), দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্তের ভয়ে (২০ দশমিক ৫ শতাংশ), সুষ্ঠু তদন্তের অভাবে (১৭ দশমিক ৮ শতাংশ), তদন্তকারী সংস্থার প্রতি অনাস্থা (১৫ দশমিক ১ শতাংশ)। ফলে মানবাধিকারকর্মীরা হুমকি ও নিপীড়নের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন কম (৩৬ শতাংশ অভিযোগ করেন না)। 

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, বিচারিক কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছে অনেকে—এটা গবেষণায় এসেছে। নানা ধরনের বিচারিক হয়রানি হচ্ছে। এটা নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। মানবাধিকারকর্মীরা প্রতিকারের জন্য মানববন্ধন করছেন। কিন্তু প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। মানবাধিকার কমিশন থাকলেও প্রতিকার পাওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। 

নিউএজের সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, তাঁদের কথা সরকারি সংস্থাগুলো শোনে। কমিশনের বড় দুর্বলতা হচ্ছে, সরকার কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য নয়। তবু যদি সরকার কমিশনের কথা শোনে, তাহলে সরকারকে বলুন বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে। কারাবন্দীদের নির্যাতন বন্ধ করতে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

আগের তিন ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পাবেন না

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত