নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘শ্বশুরের মিথ্যা মামলা-হামলায় আমি জর্জরিত। আমি এসবের কোনো বিচার চাই না। আমার কোটি টাকার ব্যবসা নষ্টেরও কোনো বিচারই চাই না। আমার সন্তানকে তিনি (শ্বশুর) জিম্মি করে রেখেছেন, আমি শুধু আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত জোড় করে একটাই অনুরোধ, তিনি যেন আমার মেয়েকে ফিরে পেতে সহায়তা করেন। আমি এক অসহায় পিতা।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই আকুতি জানান রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার সোনাপুরের পাইকারি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালে মহাখালীর ওয়ারলেস গেটের বাইতুল আমান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা মাঈনুদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। এর এক বছর পর আমার স্ত্রীর গর্ভে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়, যার নাম সানজিদা আক্তার। বর্তমান বয়স ৮ বছর। বিয়ের প্রায় চার বছর পর ২০১৬ সালে আমি হজে যাই। আমার মেয়ের বয়স তখন ৩ বছর। হজে যাওয়ার আগে কেরানীগঞ্জ ইসলাম প্লাজা মার্কেটে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকান ক্রয় করি। সেই দোকান বায়না সূত্রে ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়, বাকি টাকা পরিশোধ করার আগে আমার ফ্লাইট হয়ে যায়। ২০ লাখ টাকা আমার এক বন্ধুর কাছে রাখা ছিল। তাই আমার এক বন্ধু ও শ্বশুরকে বলি দুজন মিলে দোকানের মালিককে টাকাটা দিয়ে দলিল করে নিতে। আমার শ্বশুর আমার বন্ধুর কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে বলেন যে, আমার কাছে রেখে যাও, তোমার কষ্ট করতে হবে না। আমি নিয়ে দিয়ে আসব। সরল মনে আমার বন্ধু টাকাটা রেখে চলে যায়।’
দেলোয়ার বলেন, ‘আমি প্রায় দুই মাস পর হজ থেকে এসে শুনতে পাই আমার দোকান কেনা হয় নাই, আমার শ্বশুর টাকা খরচ করে ফেলেছেন। আমার টাকাটা আমাকে না জানিয়ে তাঁর ছোট মেয়ে তামান্নাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জীবনের প্রথম কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। অনেক তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা ফেরত না পেয়ে একপর্যায়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। পরে টাকা দেওয়ার কথা বলে মাওলানা মাঈনুদ্দিন সাহেব তাঁর মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। মেয়েকে বাসায় নেওয়ার পর থেকে তাঁরা আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি আমার মা, বড় ভাই, ভাবি, ছোট বোন, বোনজামাইসহ বহুবার তাঁদের বাসায় যাই, যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁরা ঘরের গেট না খুলে বরং আমার শালা সাব্বির আহমেদ এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেকের দিয়ে আমার মা-ভাবিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং স্থানীয় প্রভাবশালীর মাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে, যদি এখানে থাকি, তাহলে পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দেবে। আমরা ভয় পেয়ে তখন নিজ বাড়িতে চলে যাই। এর এক সপ্তাহ পরে আমার স্ত্রী আমার কাছে ডিভোর্স চিঠি পাঠায়।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘অন্যদিকে মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য আমাকে ও আমার আইনজীবীকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের আইনজীবী পরিকল্পিতভাবে মীমাংসা করার কথা বলে আমাকে মামলাগুলো তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। আমি সরল মনে তাদের কথা বিশ্বাস করে মামলাগুলো তুলে নিই। কিন্তু তাঁরা কোনো মীমাংসায় না এসে বরং আমার নামে একের পর এক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ছয়টি মামলা দায়ের করেন। আমার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার একমাত্র মেয়ে সানজিদা আক্তারের সঙ্গে একটিবারও আমার কোনো যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। আমি আমার মেয়ে সানজিদা আক্তার এবং সমস্যা নিরসনের জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদন করতে থাকি। কিন্তু আমার মেয়ের মুখটি একবার দেখার জন্য কেউ কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি। আমি মেয়েকে দেখার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি। কী করব বুঝতে পারছি না। আমার কলিজার সঙ্গে আমার পাঁচ বছর কোনো কথা বলা ও দেখা করার সুযোগ হয় নাই এবং আমি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমার মেয়ের জন্য কাপড়-চোপড়, বই-খাতা, কলম ইত্যাদি পাঠাই, সেগুলো রিসিভ না করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। তারা কী ভেবে কেন এমন করছে জানি না। আমার মেয়ে আদৌ কি বেঁচে আছে? নাকি মেরে ফেলেছে তা-ও বুঝতে পারছি না।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ‘আমি এসবের কোনো বিচারও চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাতজোড় করে আমার সন্তানকে ভিক্ষা চাই। আমি এক অসহায় বাবা। তিনি যেন আমাকে ন্যায়বিচার পেতে এবং আমার মেয়েকে ফিরে পেতে সহায়তা করেন।’
এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে মাঈনুদ্দিনের মুঠোফোনে কল করলে একজন নারী কলটি রিসিভ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং বনানী থানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার একটা বাটপার, তোরা তার চামচা। তোরা কিসের সাংবাদিক, কী জানতে চাস। বনানী থানায় আইসা আমার লগে দেখা কর।’
এ সময় তাঁর নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলতে অস্বীকার করেন।
‘শ্বশুরের মিথ্যা মামলা-হামলায় আমি জর্জরিত। আমি এসবের কোনো বিচার চাই না। আমার কোটি টাকার ব্যবসা নষ্টেরও কোনো বিচারই চাই না। আমার সন্তানকে তিনি (শ্বশুর) জিম্মি করে রেখেছেন, আমি শুধু আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত জোড় করে একটাই অনুরোধ, তিনি যেন আমার মেয়েকে ফিরে পেতে সহায়তা করেন। আমি এক অসহায় পিতা।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই আকুতি জানান রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার সোনাপুরের পাইকারি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালে মহাখালীর ওয়ারলেস গেটের বাইতুল আমান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা মাঈনুদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। এর এক বছর পর আমার স্ত্রীর গর্ভে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়, যার নাম সানজিদা আক্তার। বর্তমান বয়স ৮ বছর। বিয়ের প্রায় চার বছর পর ২০১৬ সালে আমি হজে যাই। আমার মেয়ের বয়স তখন ৩ বছর। হজে যাওয়ার আগে কেরানীগঞ্জ ইসলাম প্লাজা মার্কেটে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকান ক্রয় করি। সেই দোকান বায়না সূত্রে ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়, বাকি টাকা পরিশোধ করার আগে আমার ফ্লাইট হয়ে যায়। ২০ লাখ টাকা আমার এক বন্ধুর কাছে রাখা ছিল। তাই আমার এক বন্ধু ও শ্বশুরকে বলি দুজন মিলে দোকানের মালিককে টাকাটা দিয়ে দলিল করে নিতে। আমার শ্বশুর আমার বন্ধুর কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে বলেন যে, আমার কাছে রেখে যাও, তোমার কষ্ট করতে হবে না। আমি নিয়ে দিয়ে আসব। সরল মনে আমার বন্ধু টাকাটা রেখে চলে যায়।’
দেলোয়ার বলেন, ‘আমি প্রায় দুই মাস পর হজ থেকে এসে শুনতে পাই আমার দোকান কেনা হয় নাই, আমার শ্বশুর টাকা খরচ করে ফেলেছেন। আমার টাকাটা আমাকে না জানিয়ে তাঁর ছোট মেয়ে তামান্নাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জীবনের প্রথম কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। অনেক তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা ফেরত না পেয়ে একপর্যায়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। পরে টাকা দেওয়ার কথা বলে মাওলানা মাঈনুদ্দিন সাহেব তাঁর মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। মেয়েকে বাসায় নেওয়ার পর থেকে তাঁরা আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি আমার মা, বড় ভাই, ভাবি, ছোট বোন, বোনজামাইসহ বহুবার তাঁদের বাসায় যাই, যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁরা ঘরের গেট না খুলে বরং আমার শালা সাব্বির আহমেদ এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেকের দিয়ে আমার মা-ভাবিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং স্থানীয় প্রভাবশালীর মাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে, যদি এখানে থাকি, তাহলে পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দেবে। আমরা ভয় পেয়ে তখন নিজ বাড়িতে চলে যাই। এর এক সপ্তাহ পরে আমার স্ত্রী আমার কাছে ডিভোর্স চিঠি পাঠায়।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘অন্যদিকে মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য আমাকে ও আমার আইনজীবীকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের আইনজীবী পরিকল্পিতভাবে মীমাংসা করার কথা বলে আমাকে মামলাগুলো তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। আমি সরল মনে তাদের কথা বিশ্বাস করে মামলাগুলো তুলে নিই। কিন্তু তাঁরা কোনো মীমাংসায় না এসে বরং আমার নামে একের পর এক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ছয়টি মামলা দায়ের করেন। আমার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার একমাত্র মেয়ে সানজিদা আক্তারের সঙ্গে একটিবারও আমার কোনো যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। আমি আমার মেয়ে সানজিদা আক্তার এবং সমস্যা নিরসনের জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদন করতে থাকি। কিন্তু আমার মেয়ের মুখটি একবার দেখার জন্য কেউ কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি। আমি মেয়েকে দেখার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি। কী করব বুঝতে পারছি না। আমার কলিজার সঙ্গে আমার পাঁচ বছর কোনো কথা বলা ও দেখা করার সুযোগ হয় নাই এবং আমি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমার মেয়ের জন্য কাপড়-চোপড়, বই-খাতা, কলম ইত্যাদি পাঠাই, সেগুলো রিসিভ না করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। তারা কী ভেবে কেন এমন করছে জানি না। আমার মেয়ে আদৌ কি বেঁচে আছে? নাকি মেরে ফেলেছে তা-ও বুঝতে পারছি না।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ‘আমি এসবের কোনো বিচারও চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাতজোড় করে আমার সন্তানকে ভিক্ষা চাই। আমি এক অসহায় বাবা। তিনি যেন আমাকে ন্যায়বিচার পেতে এবং আমার মেয়েকে ফিরে পেতে সহায়তা করেন।’
এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে মাঈনুদ্দিনের মুঠোফোনে কল করলে একজন নারী কলটি রিসিভ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং বনানী থানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার একটা বাটপার, তোরা তার চামচা। তোরা কিসের সাংবাদিক, কী জানতে চাস। বনানী থানায় আইসা আমার লগে দেখা কর।’
এ সময় তাঁর নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলতে অস্বীকার করেন।
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে লাঠি ও ঝাড়ুমিছিল হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলার দীঘিনালা উপজেলায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ দীঘিনালা উপজেলা শাখা এই বিক্ষোভ করে।
২ মিনিট আগেট্রাকের মালিক বগুড়ার মালীপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ট্রাকটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি।’ এরপর বিষয়টি ওসিকে জানানো হলে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আপনার ট্রাকটি উদ্ধার করতেই হবে। তা না হলে এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। এরপর ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
১২ মিনিট আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত কুমিল্লার মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদল। আজ রোববার দুপুরে তারা দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের উখারী গ্রামে মাহতাবের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং পারিবার
১৬ মিনিট আগেনরসিংদীর শিবপুরে ডোবায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের মুন্সেফেরচর (ইটাখোলা) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু দুটি হলো মুন্সেফেরচর কাঁঠালতলা এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া (০৩) ও একই এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে মায়ামনি (০৩)।
৩২ মিনিট আগে