Ajker Patrika

নরসিংদীতে নারীকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন 

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে নারীকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন 

নরসিংদীতে ছুরিকাঘাত করে ইয়াছমিন আক্তার রিতা (৩৩) নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক আ. ন. ম ইলিয়াস আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জাহাঙ্গীর আলমের যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।’ 

দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম (২৫) কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের উসমান গনির ছেলে। নিহত ইয়াছমিন আক্তার রিতা একই জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর এলাকার কবির মিয়ার মেয়ে। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, পলাশ উপজেলার তারগাঁও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি ইয়াছমিন আক্তার রিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের। চাকরির সুবাদে ব্র্যাক অফিসের ভেতরেই বসবাস করতেন বাবুর্চি ইয়াছমিন আক্তার রিতা। প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাকরি করেন। প্রেমের টানে প্রায়ই পলাশের তারগাঁও ব্র্যাক অফিসে যাতায়াত ছিল জাহাঙ্গীর আলমের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও রিতাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় জাহাঙ্গীর আলম। 

একদিন ছুটির দিনে গোপনে ব্র্যাক অফিসের ভেতরে দুজন রাত কাটানোর পর ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর সকালে রিতাকে পেটে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় চিকিৎসকেরা রিতাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিতা মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

পুলিশ তদন্তের পর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। মামলার অভিযোগ গঠনের পর ২ মাস ২২ দিনে মাত্র ৭ কার্যদিবসে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মামলার রায় দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত