নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু হলো।
পিপি মোশারফ হোসেন কাজল জানান, গত ২৯ মার্চ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিন তারেক ও জোবায়দার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর গত দুটি ধার্য তারিখে শুনানি হয়। আজ ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। আদালত আদেশে বলেছেন, পলাতক আসামিদের পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের আইনগত কোনো সুযোগ নেই।
এই মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রাণালয় থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্নের জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত। গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে ডা. জোবায়দাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানু। এর পরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এসংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা। গত বছর ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবায়দার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু হলো।
পিপি মোশারফ হোসেন কাজল জানান, গত ২৯ মার্চ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিন তারেক ও জোবায়দার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর গত দুটি ধার্য তারিখে শুনানি হয়। আজ ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। আদালত আদেশে বলেছেন, পলাতক আসামিদের পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের আইনগত কোনো সুযোগ নেই।
এই মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রাণালয় থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্নের জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত। গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে ডা. জোবায়দাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানু। এর পরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এসংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা। গত বছর ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবায়দার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে