Ajker Patrika

যমুনার তীর থেকে ১১টি মর্টার শেল উদ্ধার

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ভূঞাপুর উপজেলার পাটিতাপাড়ায় যমুনা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হওয়া ১১টি মর্টার শেলের একটি অংশ — বুধবার সন্ধ্যায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভূঞাপুর উপজেলার পাটিতাপাড়ায় যমুনা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হওয়া ১১টি মর্টার শেলের একটি অংশ — বুধবার সন্ধ্যায় তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল।

বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় এক জেলের চোখে পড়ে এসব শেল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শেলগুলো উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, মো. শাহাদত নামে এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতো যমুনার পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ মাটির উপরিভাগে মরিচাধরা কিছু ধাতব বস্তু দেখতে পান। প্রথমে ভয় পেলেও পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। দ্রুতই ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে এবং খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

উদ্ধার হওয়া শেলগুলোর বেশ কয়েকটি জংধরা ও বিস্ফোরিত অবস্থায় ছিল। কিছু শেলের ভেতরে ফাঁপাও ছিল বলে জানান পুলিশ সদস্যরা।

এলাকাবাসীর ধারণা, মর্টার শেলগুলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। তাঁদের ভাষ্যমতে, ভূঞাপুরের পাটিতাপাড়া ও পাশের মাটিকাটা এলাকায় যমুনা নদীর তীরে একসময় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। সেই জাহাজ থেকেই এসব শেল ভেসে এসে নদীতীরে মাটির নিচে চাপা পড়েছিল বলে মনে করছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষদের মুখে শুনেছি—এই এলাকায় একবার পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। আজকের এই শেল উদ্ধারের ঘটনায় সেই স্মৃতি যেন আবারও ফিরে এল।’

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি নিজে শেলগুলো দেখেছি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে থানায় খবর দিই এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।’

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। অধিকাংশ শেলের ভেতরে বিস্ফোরক নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে শেলগুলো সেনা ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত