Ajker Patrika

রাতভর ভিপি নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টানা কয়েক ঘণ্টা চলে এই হামলা ও পাল্টা হামলা। এতে উভয় দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

ঘটনার সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর রাত দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার বকুলবাড়িয়া এলাকায় অবরুদ্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা তাঁকে ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে গলাচিপা ও আশপাশের এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর গলাচিপা ও দশমিনায় গণঅধিকার পরিষদের একাধিক সভায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দেন নুরুল হক নুর। এর প্রতিবাদে বুধবার রাতে চর কাজলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে পাল্টা কর্মসূচি দেয় গণঅধিকার পরিষদ।

রাত ৮টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা চর কাজল বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, চলে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও পাল্টা আক্রমণ।

গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করে বলা হয়, চর বিশ্বাস ও চর শিবায় তাদের কার্যালয়গুলোতে হামলা চালান বিএনপির কর্মীরা। এতে নুরুল হক নুরের ছোট ভাই আমিনুল ইসলামসহ ২৫-৩০ জন আহত হন।

গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘটনার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘নুরুল হক নুর যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সহনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ভিপি নুর তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ এলাকায় বিএনপির একটি অংশ অশান্তি তৈরি করেছে। আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, যা কোনো গণতান্ত্রিক দলের আচরণ হতে পারে না। এ ঘটনা আমরা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবহিত করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত