Ajker Patrika

অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩৪
সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফ (বাম থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফ (বাম থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী ও তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার (১৩ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অপর তিন আসামি হলেন আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। তাঁরা তিনজনই সুব্রত বাইনের সহযোগী।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আদালত অভিযোগপত্রটি নিয়ে মামলা বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ দেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, সুব্রত বাইন ও তাঁর সহযোগীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য অবৈধ অস্ত্র দখলে রেখেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

গত ২৭ মে আনুমানিক ভোররাত ৫টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে। অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ২৮ মে অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ) ধারায় মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান।

মামলার অভিযোগে বল হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন, তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাঁদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তাঁরা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। পরে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ৫ আগস্টের পর তিনি দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন ও চাঁদাবাজি শুরু করেন। তাঁর সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তাঁরা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাঁদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একই দিন বিকেলে আসামি এম এ এস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

‘নৌকা আউট, শাপলা ইন’, সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির চাওয়া

পারটেক্স এমডি রুবেল আজিজের ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত