নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ও তাঁর চাচা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ জানিয়েছেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের দাবি, এমপি ও তাঁর চাচা মিলে তাঁদের পূর্বপুরুষদের জমি দখল করে সেখানে বিনোদনের স্থান ও বিলাসবহুল বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। জমি ফেরত চাওয়ায় তাঁদের ওপর জীবননাশের হুমকি আসছে উল্লেখ করে জীবনের নিরাপত্তা ও তাদের জমি ফেরত চান ভুক্তভোগীরা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমপি ও তাঁর চাচার হাত থেকে সাঁওতালদের জমি, বসতবাড়ি, জীবন ও সম্মান রক্ষার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বপ্নপুরি নামে গড়ে ওঠা বিশাল এবং আধুনিক বিনোদনকেন্দ্রটি তাঁদের পূর্বপুরুষদের জমি দখল করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে। এই পার্কে আছে বিলাসবহুল হোটেল, মোটেল, লেক ও নানা ধরনের রাইড। প্রায় ৩০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিনোদনকেন্দ্রে সাঁওতাল ও মাহালি সম্প্রদায়ের তিনটি কবরস্থান আছে। একটি কবরস্থানের ওপর এমপি শিবলীর বিলাসবহুল বাড়ি নির্মিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী বিশুরাম মরমু বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং আকর্ষণীয় এই বিনোদনকেন্দ্র। কিন্তু স্বপ্নপুরি যে শত শত সাঁওতালের জীবনের স্বপ্ন ও আশা-আকাংখ্যা কেড়ে নিয়েছে, তা কেউ জানে না। কবরস্থানের ওপরে গড়ে ওঠা বিলাসবহুল বাড়িটি প্রতিনিয়ত সাঁওতাল সম্প্রদায়কে কষ্টের অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করে রাখে ৷ আমরা সাঁওতাল ও মাহালি জনগোষ্ঠীর মানুষ এই ভূখণ্ডের সব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তানবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ সমস্ত আন্দোলনে সাঁওতালরা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। আশা ছিল স্বাধীন দেশে আমরা মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচার পরিবেশ পাব। কিন্তু আমাদের জীবন, সম্মান ও সম্পদের ওপর আক্রমণ তো কমছেই না, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েই চলেছে। আপনারা জানেন, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। বিভিন্নভাবে সেখান থেকে তারা উচ্ছেদ হচ্ছে, জমি হারাচ্ছে এমনকি জমি রক্ষা করতে গিয়ে জীবনও হারাচ্ছে।’
উপস্থিত ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে উঠে আসে, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাঁওতালদের পূর্বপুরুষের জমিজমা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত এমপি শিবলী সাদিক ও তাঁর আপন চাচা দেলোয়ার হোসেন একজন কুখ্যাত ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা। তাঁরা দুজন মিলে বিশাল এক বাহিনী লালন-পালন করেন। এদের দিয়ে এহেন কোনো অপরাধ নাই, যা তাঁরা করান না। সাঁওতালদের জমিই শুধু তাঁরা দখল করেন নাই, বন বিভাগের বিপুল পরিমাণ জমিও তাঁরা আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত বক্তব্যে।
ভুক্তভোগী গণেশ হেমব্রম বলেন, ‘আমার জমির ওপরে ওরা ময়লা ফেলে। আমার বাপ-দাদার কেউই তার কাছে জমি বিক্রি করে নাই। তাও তারা একই কথা বারবার বলে। এক জমি আমরা কয়বার বিক্রি করছি তাহলে? গ্রামের মানুষ ভয়ে কথা বলে না। আমার বাপ-দাদার জমি আমি ফেরত চাইছি।’
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ও তাঁর চাচা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ জানিয়েছেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের দাবি, এমপি ও তাঁর চাচা মিলে তাঁদের পূর্বপুরুষদের জমি দখল করে সেখানে বিনোদনের স্থান ও বিলাসবহুল বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। জমি ফেরত চাওয়ায় তাঁদের ওপর জীবননাশের হুমকি আসছে উল্লেখ করে জীবনের নিরাপত্তা ও তাদের জমি ফেরত চান ভুক্তভোগীরা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমপি ও তাঁর চাচার হাত থেকে সাঁওতালদের জমি, বসতবাড়ি, জীবন ও সম্মান রক্ষার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বপ্নপুরি নামে গড়ে ওঠা বিশাল এবং আধুনিক বিনোদনকেন্দ্রটি তাঁদের পূর্বপুরুষদের জমি দখল করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে। এই পার্কে আছে বিলাসবহুল হোটেল, মোটেল, লেক ও নানা ধরনের রাইড। প্রায় ৩০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিনোদনকেন্দ্রে সাঁওতাল ও মাহালি সম্প্রদায়ের তিনটি কবরস্থান আছে। একটি কবরস্থানের ওপর এমপি শিবলীর বিলাসবহুল বাড়ি নির্মিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী বিশুরাম মরমু বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং আকর্ষণীয় এই বিনোদনকেন্দ্র। কিন্তু স্বপ্নপুরি যে শত শত সাঁওতালের জীবনের স্বপ্ন ও আশা-আকাংখ্যা কেড়ে নিয়েছে, তা কেউ জানে না। কবরস্থানের ওপরে গড়ে ওঠা বিলাসবহুল বাড়িটি প্রতিনিয়ত সাঁওতাল সম্প্রদায়কে কষ্টের অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করে রাখে ৷ আমরা সাঁওতাল ও মাহালি জনগোষ্ঠীর মানুষ এই ভূখণ্ডের সব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তানবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ সমস্ত আন্দোলনে সাঁওতালরা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। আশা ছিল স্বাধীন দেশে আমরা মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচার পরিবেশ পাব। কিন্তু আমাদের জীবন, সম্মান ও সম্পদের ওপর আক্রমণ তো কমছেই না, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েই চলেছে। আপনারা জানেন, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। বিভিন্নভাবে সেখান থেকে তারা উচ্ছেদ হচ্ছে, জমি হারাচ্ছে এমনকি জমি রক্ষা করতে গিয়ে জীবনও হারাচ্ছে।’
উপস্থিত ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে উঠে আসে, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাঁওতালদের পূর্বপুরুষের জমিজমা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত এমপি শিবলী সাদিক ও তাঁর আপন চাচা দেলোয়ার হোসেন একজন কুখ্যাত ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা। তাঁরা দুজন মিলে বিশাল এক বাহিনী লালন-পালন করেন। এদের দিয়ে এহেন কোনো অপরাধ নাই, যা তাঁরা করান না। সাঁওতালদের জমিই শুধু তাঁরা দখল করেন নাই, বন বিভাগের বিপুল পরিমাণ জমিও তাঁরা আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত বক্তব্যে।
ভুক্তভোগী গণেশ হেমব্রম বলেন, ‘আমার জমির ওপরে ওরা ময়লা ফেলে। আমার বাপ-দাদার কেউই তার কাছে জমি বিক্রি করে নাই। তাও তারা একই কথা বারবার বলে। এক জমি আমরা কয়বার বিক্রি করছি তাহলে? গ্রামের মানুষ ভয়ে কথা বলে না। আমার বাপ-দাদার জমি আমি ফেরত চাইছি।’
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৫ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে