Ajker Patrika

অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক, পরে তিনজনকে ছেড়ে দিল প্রশাসন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় ছয়টি অবৈধ ড্রেজার জব্দসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে আটক তিনজনকে থানায় হস্তান্তরের কথা সেনাক্যাম্প জানালেও প্রশাসন তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে। তবে আটক ব্যক্তিরা সরকারি ড্রেজিং প্রকল্পের লোক বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তিনটি ড্রেজারও ছেড়ে দেওয়া হয় এবং অপর তিনটি প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে আড়িয়াল খাঁ নদে ভাঙ্গা-সদরপুর এলাকার রাতভর এই অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর ১৫ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও থানা-পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি।

ফরিদপুর সেনাক্যাম্প এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আড়িয়াল খাঁ নদে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন (ড্রেজিং) চলছে। এমন অভিযোগে গতকাল রাত ১০টা থেকে আজ রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোট ছয়টি অবৈধ ড্রেজার জব্দ করা হয় এবং তিনজনকে আটক করা হয়। পরে আটক ব্যক্তিদের ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অবৈধ বালু উত্তোলনের তথ্য প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনী অভিযান চালাতে প্রস্তুত আছে। সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ও ড্রেজার পরিচালনাকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য জনসাধারণকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।

ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানতে চাইলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন জানান, আটক তিনজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। তাঁদের থানায় এনে ছবি তোলার পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছেড়ে দিয়েছেন। এ জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হলেও পরে জানতে পারি তাঁরা সরকারি ড্রেজিং প্রকল্পের লোক। পরে তিনটি ড্রেজারসহ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য তিনটির প্রকৃত মালিক পাওয়া যায়নি, সেগুলো আমাদের নজরদারিতে নদীতেই রয়েছে। মালিকের সন্ধান পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত