মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ মেটাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভা ডেকেছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ শাজাহান খান। এ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন দলের কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের ছয় নেতাকে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে ওই নেতাদের কেউ সভায় যোগ দেননি। তাঁরা বলছেন, শাজাহান খানই দলীয় ঐক্যের অন্তরায়। তাঁর প্রতি দলের কারও আস্থা ও বিশ্বাস নেই।
তবে শাজাহান খানের দাবি, ছয় নেতার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। এ জন্য নির্ধারিত দিনে সভা হয়নি, পরবর্তী সময়ে হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিরোধসহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়। পরে বিরোধ মেটাতে মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের সাত নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এ জন্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খানকে।
সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর শাজাহান খান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি ও আনোয়ার হোসেনকে চিঠি দিয়ে গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকার অনুরোধ জানান। কিন্তু শাজাহান খানের ডাকা সভায় এই ছয় নেতার কেউই যোগ দেননি।
জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সভানেত্রী শেখ হাছিনা শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শাজাহান খান নিয়ম মানেন না। তাই তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি।’
বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, ‘শাজাহান খান নিজের মতো করে মিটিং ডাকলেন। আবার তিনি জেলায় তাঁর ভাই ও আওয়ামীবিরোধী লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন করছেন। তিনি সেখানে ভার্চুয়ালি বক্তব্যও দিচ্ছেন। এটা তো দ্বিমুখী আচরণ। তাঁর প্রতি দলের কোনো ব্যক্তির আস্থা ও বিশ্বাস নেই।’
সভায় ডাকা ছয় নেতার আরেকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শাজাহান খানের কথায়-কাজে মিল নেই। তাই আমরা ছয়জন কেউ তাঁর আহ্বানে সাড়া দিইনি। তিনি তাঁর লোকজন দিয়ে অবৈধভাবে মাদারীপুর ও রাজৈরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পাল্টা কমিটি করাচ্ছেন। তিনি আসলে কী চান, তা আমরা কেউ বুঝতেছি না।’
তবে শাজাহান খান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি সব সময়ই দলের নিয়ম মেনে রাজনীতি করি। এখনো তা-ই করছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় দলকে সংগঠিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন করা হচ্ছে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পরেও জেলা আওয়ামী লীগ ও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন সময়ে আমার বিরোধিতা করে বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাই তাঁদের কাজ। এসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান দলের বাইরে তাঁর নিজস্ব কিছু লোক নিয়ে আবার সেই আগের মতো তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। দলের সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান নয়, বরং সমস্যা সৃষ্টি করাই তাঁর কাজ।’
মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ মেটাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভা ডেকেছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ শাজাহান খান। এ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন দলের কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের ছয় নেতাকে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে ওই নেতাদের কেউ সভায় যোগ দেননি। তাঁরা বলছেন, শাজাহান খানই দলীয় ঐক্যের অন্তরায়। তাঁর প্রতি দলের কারও আস্থা ও বিশ্বাস নেই।
তবে শাজাহান খানের দাবি, ছয় নেতার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। এ জন্য নির্ধারিত দিনে সভা হয়নি, পরবর্তী সময়ে হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিরোধসহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়। পরে বিরোধ মেটাতে মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের সাত নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এ জন্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খানকে।
সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর শাজাহান খান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি ও আনোয়ার হোসেনকে চিঠি দিয়ে গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকার অনুরোধ জানান। কিন্তু শাজাহান খানের ডাকা সভায় এই ছয় নেতার কেউই যোগ দেননি।
জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সভানেত্রী শেখ হাছিনা শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শাজাহান খান নিয়ম মানেন না। তাই তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি।’
বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, ‘শাজাহান খান নিজের মতো করে মিটিং ডাকলেন। আবার তিনি জেলায় তাঁর ভাই ও আওয়ামীবিরোধী লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন করছেন। তিনি সেখানে ভার্চুয়ালি বক্তব্যও দিচ্ছেন। এটা তো দ্বিমুখী আচরণ। তাঁর প্রতি দলের কোনো ব্যক্তির আস্থা ও বিশ্বাস নেই।’
সভায় ডাকা ছয় নেতার আরেকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শাজাহান খানের কথায়-কাজে মিল নেই। তাই আমরা ছয়জন কেউ তাঁর আহ্বানে সাড়া দিইনি। তিনি তাঁর লোকজন দিয়ে অবৈধভাবে মাদারীপুর ও রাজৈরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পাল্টা কমিটি করাচ্ছেন। তিনি আসলে কী চান, তা আমরা কেউ বুঝতেছি না।’
তবে শাজাহান খান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি সব সময়ই দলের নিয়ম মেনে রাজনীতি করি। এখনো তা-ই করছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় দলকে সংগঠিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন করা হচ্ছে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পরেও জেলা আওয়ামী লীগ ও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন সময়ে আমার বিরোধিতা করে বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাই তাঁদের কাজ। এসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান দলের বাইরে তাঁর নিজস্ব কিছু লোক নিয়ে আবার সেই আগের মতো তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। দলের সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান নয়, বরং সমস্যা সৃষ্টি করাই তাঁর কাজ।’
তিনি জানান, জরুরি বিভাগের (রুম-৪) নিউরোসার্জারি বিভাগের ডা. মনিমুল আহমেদের গালে চড় মারেন আরিফ হোসেন (১৮)। এরপর আনসার সদস্যরা তাঁকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার পরিকল্পনা, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর এবং স্টারলিংকের মাধ্যমে ‘সাম্রাজ্যবাদী চক্রের’ আগ্রাসনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লায় পৌঁছেছে। ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন
৯ মিনিট আগেপরে ফজলুল করিমের বাবা এম এ কাইয়ুম মিয়ার মোবাইল নম্বরের ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগেকক্সবাজার সৈকতের কলাতলী ডিভাইন বিচ পয়েন্টে বালিয়াড়ি কেটে অবৈধভাবে তৈরি খালটি অবশেষে বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীবের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই ব্যবস্থা নেয়।
২৬ মিনিট আগে