গাজীপুর প্রতিনিধি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের প্রতি নির্যাতনের জবাব হিংসায় নয় ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে বললে আমার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। মাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার ভাই অত্যাচারে মারা গেছেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের বহু সহকর্মী খুন হয়েছেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। আর কোনো রাজনৈতিক দলের এত মানুষ মারা গেছে কিনা, জানি না। গত ১৬ বছরে আমাদের দলের বহু নেতা–কর্মীর বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই নির্যাতনের জবাব যদি তাদের মতো দিই, তাহলে তো হবে না। তারা অধম বলে আমরা অধম হব নাকি। আমরা এর জবাব ৩১ দফা সফল করার মাধ্যমে দেব। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তাদের জবাব দেওয়া হবে।
আজ বুধবার বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। কর্মশালায় গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখানে যারাই আছেন প্রত্যেকের নামে একটি হলেও গায়েবি মামলা রয়েছে। এত নির্যাতন সহ্য করে জেল খেটেছেন আপনারা, কষ্ট করেছেন। কেন আপনারা এমন কাউকে সুযোগ দেবেন যে আপনাদের সব কষ্টে পানি ঢেলে দেবে। কিছু লোক তাঁদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সব কষ্টে পানি ঢেলে দিচ্ছে। কেন তাঁদের সেই সুযোগ দেবেন আপনারা?
তারেক রহমান আরও বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আপনাদেরও জনগণের দিকে তাকাতে হবে। আপনাদেরও বুঝতে হবে কী করলে জনগণ আপনাকে আরও পছন্দ করবে। আপনার অধীনে অনেক নেতা-কর্মী থাকবে। তাদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবারের দুষ্ট বাচ্চাদের যেমন টাইট দিয়ে রাখতে হয়, তেমনি দলের ভেতরও দুষ্টরা আছেন, থাকতে পারে। আমাদের এই দুষ্টদের টাইট দিয়ে রাখতে হবে। তারা হয়তো দলের অনেক ক্ষতি করে ফেলছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। এই আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার। এটি জনগণের দায়িত্ব না। আমরা নিজেদের সংযত রাখব এবং আমাদের সহকর্মীদের সংযত রাখতে চেষ্টা করব। মানুষ চায় না এমন কাজ কেন আপনি করবেন, যেখানে আপনাদের আস্থার সংকট দেখা দেবে।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার যখন জনগণকে অধিকারবঞ্চিত করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল, তখন আমি বলেছিলাম টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এর অর্থ হলো, জনগণের বাক্স্বাধীনতা ও জনগণের অর্থনৈতিক অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশে কী হবে, তা বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে। টেক ব্যাক বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য দেশের মানুষের সহযোগিতায় দেশের গণতন্ত্রকামী দলগুলো স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। স্বৈরাচারের মাথা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গত ১৬ বছর তারা নিজেদের আখের গোছাতে ভিনদেশে তাঁদের প্রভুকে খুশি করতে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
গাজীপুরে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় গাজীপুর শহরে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি কেন্দ্রীয় বিষয়ক কমিটির আয়োজনে গাজীপুর মহানগরের রথখোলায় বঙ্গ তাজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার। বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শহী উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দীন সরকার, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাজহারুল আলম, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল আলম রনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের প্রতি নির্যাতনের জবাব হিংসায় নয় ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে বললে আমার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। মাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার ভাই অত্যাচারে মারা গেছেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের বহু সহকর্মী খুন হয়েছেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। আর কোনো রাজনৈতিক দলের এত মানুষ মারা গেছে কিনা, জানি না। গত ১৬ বছরে আমাদের দলের বহু নেতা–কর্মীর বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই নির্যাতনের জবাব যদি তাদের মতো দিই, তাহলে তো হবে না। তারা অধম বলে আমরা অধম হব নাকি। আমরা এর জবাব ৩১ দফা সফল করার মাধ্যমে দেব। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তাদের জবাব দেওয়া হবে।
আজ বুধবার বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। কর্মশালায় গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখানে যারাই আছেন প্রত্যেকের নামে একটি হলেও গায়েবি মামলা রয়েছে। এত নির্যাতন সহ্য করে জেল খেটেছেন আপনারা, কষ্ট করেছেন। কেন আপনারা এমন কাউকে সুযোগ দেবেন যে আপনাদের সব কষ্টে পানি ঢেলে দেবে। কিছু লোক তাঁদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সব কষ্টে পানি ঢেলে দিচ্ছে। কেন তাঁদের সেই সুযোগ দেবেন আপনারা?
তারেক রহমান আরও বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আপনাদেরও জনগণের দিকে তাকাতে হবে। আপনাদেরও বুঝতে হবে কী করলে জনগণ আপনাকে আরও পছন্দ করবে। আপনার অধীনে অনেক নেতা-কর্মী থাকবে। তাদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবারের দুষ্ট বাচ্চাদের যেমন টাইট দিয়ে রাখতে হয়, তেমনি দলের ভেতরও দুষ্টরা আছেন, থাকতে পারে। আমাদের এই দুষ্টদের টাইট দিয়ে রাখতে হবে। তারা হয়তো দলের অনেক ক্ষতি করে ফেলছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। এই আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার। এটি জনগণের দায়িত্ব না। আমরা নিজেদের সংযত রাখব এবং আমাদের সহকর্মীদের সংযত রাখতে চেষ্টা করব। মানুষ চায় না এমন কাজ কেন আপনি করবেন, যেখানে আপনাদের আস্থার সংকট দেখা দেবে।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার যখন জনগণকে অধিকারবঞ্চিত করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল, তখন আমি বলেছিলাম টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এর অর্থ হলো, জনগণের বাক্স্বাধীনতা ও জনগণের অর্থনৈতিক অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশে কী হবে, তা বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে। টেক ব্যাক বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য দেশের মানুষের সহযোগিতায় দেশের গণতন্ত্রকামী দলগুলো স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। স্বৈরাচারের মাথা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গত ১৬ বছর তারা নিজেদের আখের গোছাতে ভিনদেশে তাঁদের প্রভুকে খুশি করতে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
গাজীপুরে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় গাজীপুর শহরে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি কেন্দ্রীয় বিষয়ক কমিটির আয়োজনে গাজীপুর মহানগরের রথখোলায় বঙ্গ তাজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার। বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শহী উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দীন সরকার, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাজহারুল আলম, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল আলম রনি।
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে সিলেটের বহুল আলোচিত প্রভাবশালী পরিবহন শ্রমিকনেতা সেলিম আহমদ ফলিক ও রুনু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে বিস্ফোরক ও ভাঙচুরের মামলায় জামিন নিতে গেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক শরীফুল হক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৫ মিনিট আগেনাসির উদ্দিন বলেন, ‘আজ কাজী আমজাদ সাইদ (২০) ও সবুজা বেগম (৪০) নামের দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমজাদ ঘটনার সময় উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। আর সবুজা বেগম স্কুলে আয়ার কাজ করতেন। গতকাল আয়ান খান (১২) ও রাফসি (১২) নামের দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।’
২৬ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পিয়াইন নদ থেকে মুকিত আহমদ (১৮) নাম এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
৩২ মিনিট আগেসান্তাহার রেলওয়ে থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে প্রবেশ করছিল। সেই মুহূর্তে মোটরসাইকেল আরোহী নাসিম মাহমুদ জয় রেলক্রসিং দিয়ে দ্রুত পার হতে গেলে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে
৩৩ মিনিট আগে