Ajker Patrika

সড়কে ফেলা হতো গাছ, অস্ত্রের মুখে লুটে নিত সব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৮: ০৯
সড়কে ফেলা হতো গাছ, অস্ত্রের মুখে লুটে নিত সব

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে দুর্ধর্ষভাবে ডাকাত চক্র ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ সর্দারসহ ১১ জনকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থানার বালিয়ারপুর মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র প্রধান মো. শামিম ওরফে সব্দুল (৩০), দলটির অন্যতম হোতা আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (২৩), মো. ইখতিয়ার উদ্দিন (৩১), মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর সরকার (৪০), মো. সজীব ইসলাম (২৫), মো. জীবন সরকার (৩৪), স্বপন চন্দ্র রায় (২১), মো. মিনহাজুর ইসলাম (২০) ও মাধব চন্দ্র সরকার (২৬)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি শাবল, তিনটি রশি, একটি লোহার রড, একটি চাপাতি, দুটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি করাত, একটি হাউস কাটার, দুটি ছুরি, দুটি টর্চলাইট, ১১টি ব্যাগ, দুটি হ্যাক্সোব্লেড, একটি দা, দুটি লেজার লাইট, দুটি প্লাস, একটি দেশি কুড়াল ও এটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, এই চক্র কয়েকটি ধাপে পূর্ব পরিকল্পনায় কাজ করত। প্রথমে স্টেশনে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা নির্ধারিত বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে তথ্য দিত। সেই তথ্য পেয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দিত।

অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকত না, সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত।

আজ শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরাএই র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম ওরফে সব্দুল ও তাঁদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাঁদের নাম অনুসারে এ বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা-শামীম বাহিনী। এই বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে এবং গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছে। ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওত পেতে থাকত। ডাকাতি করার জন্য পূর্বনির্ধারিত স্থানের নিকটবর্তী স্টেশনে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা টার্গেট করা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিত। 

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করে মূল ডাকাত দলের কাছে তথ্য সরবরাহ করত। অনুকূল সংকেত পাওয়ামাত্রই ডাকাত দলের মধ্যে গাছ কাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা দ্রুত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দিত। অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যেত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকত না, সেখানে তারা চালকের চোখে লেজার লাইটের তীব্র আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত। 

এসব ডাকাতির ঘটনায় শামীম ও আনিসুর ওরফে ঠান্ডা একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিল। এ সময় তাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ২৫। এ ছাড়া তারা যে এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে, ওই এলাকার স্থানীয় অপরাধী ডাকাত ও মাদক কারবারিদের ছাড়াও পরিবহন শ্রমিক ও গুদামের কর্মচারী ও নৈশপ্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করত। ডাকাতিই হচ্ছে তাদের মূল পেশা। 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করত। পরে সার্বিক বিচার-বিবেচনা করে আনিসুর ওরফে ঠান্ডা, শামীম ও সালাউদ্দিন একত্রে বসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করে। কোন জায়গায় কখন কীভাবে ডাকাতি করা হবে, ডাকাতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কাকে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবে ডাকাতি সম্পন্ন করা হবে, ডাকাতি করা মালামাল কোথায় কখন কীভাবে পরিবহন, সংরক্ষণ ও কার কাছে বিক্রি করে অর্থ আদায় করা হবে ইত্যাদি পরিকল্পনা করত। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতির জন্য নির্ধারিত স্থানে সালাউদ্দিন আগেই গোপনে অবস্থান করে তথ্য সংগ্রহ করত। ডাকাতি শেষে নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগের বিষয়ে ঠান্ডা-শামীমকে পরিকল্পনা প্রদান করত এবং ঠান্ডা-শামীমের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করত। 

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ইখতিয়ার উদ্দিন এই বাহিনীর অন্যতম সদস্য। তিনি পেশায় গাড়িচালক। বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির ধরন অনুযায়ী মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ চাহিদা অনুযায়ী যানবাহন সরবরাহ করে তিনি নিজে চালকের ভূমিকা পালন করতেন। ডাকাতির আগে ঘটনাস্থল রেকি, ডাকাতির সময় ও ডাকাতি শেষে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন এবং ডাকাতির মালামাল পরিবহনের দায়িত্ব তিনি পালন করতেন। 

গ্রেপ্তারের সময় ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। ডাকাতির সময় তিনি তালা ভাঙা, দেয়াল ভাঙা, গাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করাসহ ডাকাতির মালামাল বিক্রির দায়িত্ব পালন করতেন। মিনহাজুল ও মাধব চন্দ্র গাছ কাটা ও লেজার লাইটের আলো ফেলতেন। এ ছাড়া তাঁরা ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ তথ্যদাতার কাজও করতেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে স্থানীয় অপরাধীদের সঙ্গে ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। 

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। সজীব ও জীবন পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক, স্বপন চন্দ্র পরিবহন শ্রমিক। তাঁরা এসব পেশার আড়ালে ডাকাত দলের সঙ্গে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন। ডাকাতি শেষে তাঁরা আবার নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত হয়ে পড়েন। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার আনিসুর ওরফে ঠান্ডা ২০০৪ সাল থেকে ডাকাতি করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে শামীমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সূত্রে তাঁরা একসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতেন। এ ছাড়া ঠান্ডা-শামীম বাহিনী তাদের ডাকাতির ধরন এবং চাহিদা অনুযায়ী ভাড়ায় লোকবল সংগ্রহ করে থাকে। এই বাহিনী এরই মধ্যে গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল এলাকায় বহু ডাকাতি করেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে। 

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতি থেকে প্রাপ্ত মালামালের অর্ধেক আনিসুর ওরফে ঠান্ডা এবং শামীম ভাগ করে নিতেন। বাকি অর্ধেক মালামাল অন্যদের কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হতো। তাঁরা ডাকাতি থেকে প্রাপ্ত সম্পদ ভোগবিলাস ও মামলার খরচ মেটাতে ব্যয় করতেন। আসামিরা সাম্প্রতিক সময়ে বগুড়ার শেরপুর এলাকার মহাসড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ব্যাটারির কারখানায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

খন্দকার আল মঈন জানান, শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি ডাকাতি মামলা এবং আনিসুর ওরফে ঠান্ডার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের পাঁচটি মামলা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রিন্টারের ভেতর পাচার হচ্ছিল হেরোইন, রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রিন্টারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে হেরোইন পাচারের সময় রাজশাহীতে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের শিরোইল রেলওয়ে মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়ারমানিকচক মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. আসারুল ওরফে রনি (২১) এবং সিরাজগঞ্জের রেল কলোনির বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৫০)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৪০ গ্রাম হেরোইন, একটি নষ্ট প্রিন্টার এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহীর একটি দল এই অভিযান চালায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসারুল ও জাহানারা দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন পাচার করছিলেন। তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।

র‍্যাব জানায়, শনিবার জাহানারা বেগম ট্রেনযোগে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসেন হেরোইন নেওয়ার জন্য। আসারুলের কাছে থাকা প্রিন্টার নেওয়ার সময় দুজনকে আটক করা হয়। পরে নষ্ট প্রিন্টারটির বক্স তল্লাশি করে টোনারের মধ্যে লুকানো অবস্থায় ৬৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কাজ করছি। এর বেশি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।

মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্গাপুর সীমান্ত থেকে মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কারুজ্জামান।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফান্দা নামক এলাকা থেকে এসব মাদক জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।

বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ নম্বর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফান্দা নামক এলাকা থেকে টহল দলটি মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রীর মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গত মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের এমপি পাড়ায় ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী শামীম মিয়া (৪২) গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের বেতগারড়া গ্রামের মাফু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নিহত আজেদা বেগম উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। আট বছর বয়সী ছেলে আতিক ও ১৬ বছর বয়সী মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে তাঁরা কোনোমতে জীবন যাপন করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভাবের সংসারে আজেদা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। শামীম হোটেলে কাজ করলেও নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্তি ও মোবাইল ফোনে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নারীর মৃত্যুর খবর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত