Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে সাড়ে ২২ হাজার কৃষক প্রণোদনা পাচ্ছেন

প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে সাড়ে ২২ হাজার কৃষক প্রণোদনা পাচ্ছেন

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে হিট শকে ক্ষতিগ্রস্থ ২২ হাজার ৬০০ দরিদ্র ও প্রান্তিক বোরো চাষী প্রণোদনা পাচ্ছেন। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এসব কৃষকের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই কৃষকের তালিকা সম্পন্ন করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকের হতে প্রণোদনার টাকা পৌঁছে দেবে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গোপালগঞ্জে হিট শকে ৯,০২৮ হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে কৃষকের ১০৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির শিকার হয়েছে ৩৬ হাজার ২০০ কৃষক পরিবার।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, গত ৫ মে হিট শকে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার ধান ক্ষেতের ক্ষতি হয়। পরের দিন এসব ধান ক্ষেত ঝলসে যায়। এতে অন্তত ৩৬ হাজার ২০০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের তালিকা করে পাঠাতে বলা হয়েছে। সরকার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এসব কৃষকের হাতে প্রণোদনার টাকা পৌঁছে দেবে। তবে টাকার পরিমান কত হবে তা এখনও জানানো হয়নি। আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা তালিকা প্রেরণ করতে পারবো।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান মোঃ সাইদী রহমান বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুরের ভাঙ্গার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একলাচুর রহমান,  গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি অরবিন্দু কুমার রায় সহ কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্থ মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেন। এতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছে। অনেক কৃষক ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কৃষক গোপালপুর ইউনিয়নের সুভাষ পান্ডে (৪০) বলেন, হিট শকে আক্রান্ত ক্ষেত থেকে ধানের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরামর্শে ঔষুধ প্রয়োগ করে আমার ভাল ফল পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেতের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি এখান থেকে অন্তত ৭৫ ভাগ ধান ঘরে তুলতে পাররো। মাত্র ২৫ ভাগ ধান চিটা হতে পারে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষক রুবেল টিকাদার (৩৫) বলেন, ধান গবেষণার বিজ্ঞানীদের পরামর্শে  পটাস স্পে করার পর ধানের অবস্থা অনেক ভাল হয়েছে। নতুন করে দুর্যোগ না হলে অন্তত সংসার চালানো ও খরচের ধান ঘরে তুলতে পারবো বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, আমি টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। প্রথমে এসব জমির শতভাগ ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিলো। কিন্তু পরে আমাদের পরামর্শে কৃষক এ ক্ষেতের ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ধান রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমরা সব সময় কৃষকের পাশে আছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবে না

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত