ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন চিকিৎসকেরা। দাবির বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক ব্লকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টায় সর্বস্তরের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠকে পূর্বনির্ধারিত চারটি দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
প্রথম দুটি দাবির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। হামলাকারীদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব হাসপাতাল এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এখনো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন হয়নি, সেসব স্থানে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সচিব মহোদয় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, শিগগিরই এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হবে এবং স্বাস্থ্য সেবার পরিবেশ আরও নিরাপদ হবে। তৃতীয় এবং চতুর্থ দাবি যথাক্রমে স্বাস্থ্য পুলিশ গঠন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়ে দীর্ঘ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সচিব মহোদয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবির বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করা হবে, যেখানে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন অসংগতি, যেমন ক্যাডার বৈষম্য ও রেফারেল সিস্টেমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে পূর্ববর্তী খসড়ার আলোকে আরও তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এই সময়ের ভেতরে পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়ায় যে অসংগতিগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন এবং আরেকটি খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করবেন। চিকিৎসক সমাজ আলোচনা পর্যালোচনা করে সেই খসড়ার ওপরে কোনো সংশোধনী থাকলে তাঁদের পক্ষ থেকে মতামত পেশ করবেন। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ফরওয়ার্ডিং দিয়ে দেওয়া হবে আইনটি পাস করানোর জন্য।’
আর স্বাস্থ্য পুলিশের ব্যাপারে ওনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ফরওয়ার্ডিং দিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেবেন। অফিস টাইম শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা লিখিত প্রেস রিলিজ দিতে পারেননি, এ বিষয়ে আগামীকাল লিখিত প্রেস রিলিজ দেবেন।
ডা. আহাদ বলেন, ‘সরকারের এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় আমরা সকল হাসপাতালে পূর্ণ সেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিচ্ছি। এই আন্দোলনে আমাদের পাশে থেকে সর্বদা সহযোগিতা করার জন্য আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আলম, হাসপাতাল প্রশাসন, দেশের সর্বস্তরের শ্রদ্ধেয় চিকিৎসকবৃন্দ, রেসিডেন্ট ও ট্রেইনি ডাক্তার, ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং মিডিয়ার ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও ডাক্তারদের যৌক্তিক যেকোনো আন্দোলনে আপনাদের পাশে পাব।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন চিকিৎসকেরা। দাবির বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক ব্লকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টায় সর্বস্তরের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠকে পূর্বনির্ধারিত চারটি দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
প্রথম দুটি দাবির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। হামলাকারীদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব হাসপাতাল এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এখনো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন হয়নি, সেসব স্থানে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সচিব মহোদয় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, শিগগিরই এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হবে এবং স্বাস্থ্য সেবার পরিবেশ আরও নিরাপদ হবে। তৃতীয় এবং চতুর্থ দাবি যথাক্রমে স্বাস্থ্য পুলিশ গঠন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়ে দীর্ঘ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সচিব মহোদয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবির বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করা হবে, যেখানে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন অসংগতি, যেমন ক্যাডার বৈষম্য ও রেফারেল সিস্টেমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে পূর্ববর্তী খসড়ার আলোকে আরও তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এই সময়ের ভেতরে পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়ায় যে অসংগতিগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন এবং আরেকটি খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করবেন। চিকিৎসক সমাজ আলোচনা পর্যালোচনা করে সেই খসড়ার ওপরে কোনো সংশোধনী থাকলে তাঁদের পক্ষ থেকে মতামত পেশ করবেন। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ফরওয়ার্ডিং দিয়ে দেওয়া হবে আইনটি পাস করানোর জন্য।’
আর স্বাস্থ্য পুলিশের ব্যাপারে ওনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ফরওয়ার্ডিং দিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেবেন। অফিস টাইম শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা লিখিত প্রেস রিলিজ দিতে পারেননি, এ বিষয়ে আগামীকাল লিখিত প্রেস রিলিজ দেবেন।
ডা. আহাদ বলেন, ‘সরকারের এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় আমরা সকল হাসপাতালে পূর্ণ সেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিচ্ছি। এই আন্দোলনে আমাদের পাশে থেকে সর্বদা সহযোগিতা করার জন্য আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আলম, হাসপাতাল প্রশাসন, দেশের সর্বস্তরের শ্রদ্ধেয় চিকিৎসকবৃন্দ, রেসিডেন্ট ও ট্রেইনি ডাক্তার, ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং মিডিয়ার ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও ডাক্তারদের যৌক্তিক যেকোনো আন্দোলনে আপনাদের পাশে পাব।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ মিনিট আগেধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর কাঁচিঝুলি আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত হয়।
৪৩ মিনিট আগেবাগেরহাটের বিশ্বঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামাত উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমাতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে একটি মাছের ঘেরের হাঁটুপানি থেকে এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা এলাকার নিজেদের মাছের ঘের থেকে থানা-পুলিশ যুবকের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
১ ঘণ্টা আগে