নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়ায় জনগণের বাক্স্বাধীনতা ও তথ্য প্রাপ্তি-সুরক্ষার প্রশ্নে শাসকের পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় তারা।
সংগঠনের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধ দমনের নামে কার্যত প্রতিবাদ দমনের সমস্ত আয়োজন নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। যার মর্মবস্তু ছিল জনগণের মতামতকে ক্রিমিনাইলজ করা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রদান করা। রাষ্ট্রের গোপনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে জনগণের তথ্যের অধিকার সংকুচিত করা আবার ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারকে হরণ করে রাষ্ট্রীয় নজরদারির আওতায় আনা।
আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ইত্যাদি বিষয়ে জনগণের আবেগকে পুঁজি করে আওয়ামী সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’-এর বৈধতা আদায় করতে চেয়েছিল। যার ভয়াবহতা পরবর্তী সময়ে এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়াতেও জনগণের আবেগকে পুঁজি করে মতপ্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা দৃশ্যমান। খসড়ায় উল্লেখিত কয়েকটি বিতর্কিত ধারা যা বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পুনরাবৃত্তি ও বর্তমান সরকারের শ্রেণি চরিত্রের প্রকাশ বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে খসড়া অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, ধারা ৮ (১), (২), (৩) এ মহাপরিচালকের অনুরোধক্রমে বিটিআরসির তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা কার্যত অস্বচ্ছ ও জবাবদিহিহীন। বিগত সময়েও জনশৃঙ্খলা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, প্রতিরক্ষা ইত্যাদির কথা বলে সরকার নিরঙ্কুশ ফিল্টারিং, ব্লকিং ও সেন্সরশিপ জারি রেখেছিল। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন মতো প্রকাশ ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল মনে করে, অধ্যাদেশের ধারা ৩৬ (১) এ পুলিশ বাহিনীর সীমাহীন ক্ষমতা চর্চার আরেকটি সুযোগ থাকছে পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ (১) ধারা, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ (১) ধারার পুনঃস্থাপন হয়েছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে। এর মধ্য দিয়ে পুলিশি হয়রানি, যেকোনো তথ্যের সম্প্রচার বন্ধ এবং জনগণের মতপ্রকাশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ আছে। আবার ধারা ৩৬ (২) অনুসারে তল্লাশি রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নিকট জমা দেওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা আইনে উল্লেখ নেই। এ ক্ষেত্রেও নাগরিকের জন্য কোনো সুরক্ষাকবজ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ২৬-এর মধ্য দিয়ে ব্লাসফেমি আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের নিবর্তনমূলক আইনের বৈধতা আদায়ের জন্য জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করেছে ৷ এ ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়।
খসড়া অধ্যাদেশের ৩১ ধারা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৷ একই আইন আইসিটি অ্যাক্টের ৭৯ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩৭ ধারায় উল্লেখ আছে। কিন্তু সেবা প্রদানকারী এবং ডেটা সেন্টারগুলো জনগণের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে, সরকার কর্তৃক এই সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে তথ্য চুরি হলে এর কোনো প্রতিকার আইনে উল্লেখ নেই ৷ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানেও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক আন্দোলনকারীদের তথ্য সংগ্রহ, কল রেকর্ড সংগ্রহ, ব্যক্তিগত আলাপচারিতার ওপর নজরদারির ঘটনা ঘটেছে ৷ সরকার কর্তৃক জনগণের গোপনীয়তার অধিকার হরণ হলে তার প্রতিকার অধ্যাদেশে উল্লেখ করা জরুরি। অন্যথায় এই অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে জনগণের গোপনীয়তার অধিকার সুরক্ষিত হয় না।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল মনে করে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ‘২৪–এর খসড়ায় গণ–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। বরং অনেক অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্ট ধারার পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। জনগণের মতপ্রকাশকে ফৌজদারি অপরাধের আওতামুক্ত রেখে নাগরিকের গোপনীয়তা ও রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের নীতিকে সামনে রেখে সাইবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। অন্যথায় এই আইনও শাসকের নিপীড়নের যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়ায় জনগণের বাক্স্বাধীনতা ও তথ্য প্রাপ্তি-সুরক্ষার প্রশ্নে শাসকের পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় তারা।
সংগঠনের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধ দমনের নামে কার্যত প্রতিবাদ দমনের সমস্ত আয়োজন নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। যার মর্মবস্তু ছিল জনগণের মতামতকে ক্রিমিনাইলজ করা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রদান করা। রাষ্ট্রের গোপনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে জনগণের তথ্যের অধিকার সংকুচিত করা আবার ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারকে হরণ করে রাষ্ট্রীয় নজরদারির আওতায় আনা।
আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ইত্যাদি বিষয়ে জনগণের আবেগকে পুঁজি করে আওয়ামী সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’-এর বৈধতা আদায় করতে চেয়েছিল। যার ভয়াবহতা পরবর্তী সময়ে এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়াতেও জনগণের আবেগকে পুঁজি করে মতপ্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা দৃশ্যমান। খসড়ায় উল্লেখিত কয়েকটি বিতর্কিত ধারা যা বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পুনরাবৃত্তি ও বর্তমান সরকারের শ্রেণি চরিত্রের প্রকাশ বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে খসড়া অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, ধারা ৮ (১), (২), (৩) এ মহাপরিচালকের অনুরোধক্রমে বিটিআরসির তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা কার্যত অস্বচ্ছ ও জবাবদিহিহীন। বিগত সময়েও জনশৃঙ্খলা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, প্রতিরক্ষা ইত্যাদির কথা বলে সরকার নিরঙ্কুশ ফিল্টারিং, ব্লকিং ও সেন্সরশিপ জারি রেখেছিল। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন মতো প্রকাশ ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল মনে করে, অধ্যাদেশের ধারা ৩৬ (১) এ পুলিশ বাহিনীর সীমাহীন ক্ষমতা চর্চার আরেকটি সুযোগ থাকছে পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ (১) ধারা, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ (১) ধারার পুনঃস্থাপন হয়েছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে। এর মধ্য দিয়ে পুলিশি হয়রানি, যেকোনো তথ্যের সম্প্রচার বন্ধ এবং জনগণের মতপ্রকাশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ আছে। আবার ধারা ৩৬ (২) অনুসারে তল্লাশি রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নিকট জমা দেওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা আইনে উল্লেখ নেই। এ ক্ষেত্রেও নাগরিকের জন্য কোনো সুরক্ষাকবজ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ২৬-এর মধ্য দিয়ে ব্লাসফেমি আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের নিবর্তনমূলক আইনের বৈধতা আদায়ের জন্য জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করেছে ৷ এ ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়।
খসড়া অধ্যাদেশের ৩১ ধারা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৷ একই আইন আইসিটি অ্যাক্টের ৭৯ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩৭ ধারায় উল্লেখ আছে। কিন্তু সেবা প্রদানকারী এবং ডেটা সেন্টারগুলো জনগণের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে, সরকার কর্তৃক এই সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে তথ্য চুরি হলে এর কোনো প্রতিকার আইনে উল্লেখ নেই ৷ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানেও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক আন্দোলনকারীদের তথ্য সংগ্রহ, কল রেকর্ড সংগ্রহ, ব্যক্তিগত আলাপচারিতার ওপর নজরদারির ঘটনা ঘটেছে ৷ সরকার কর্তৃক জনগণের গোপনীয়তার অধিকার হরণ হলে তার প্রতিকার অধ্যাদেশে উল্লেখ করা জরুরি। অন্যথায় এই অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে জনগণের গোপনীয়তার অধিকার সুরক্ষিত হয় না।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল মনে করে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ‘২৪–এর খসড়ায় গণ–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। বরং অনেক অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্ট ধারার পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। জনগণের মতপ্রকাশকে ফৌজদারি অপরাধের আওতামুক্ত রেখে নাগরিকের গোপনীয়তা ও রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের নীতিকে সামনে রেখে সাইবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। অন্যথায় এই আইনও শাসকের নিপীড়নের যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে