Ajker Patrika

কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ১৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা 

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ৫৬
Thumbnail image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়াসহ ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলায় আহত ইমন নিজামীর ভাই আলী হাসান রিফাত গতকাল বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম। 

এর আগে, গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মঞ্চে ওঠা নিয়ে কোটালীপাড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইমন নিজামী ও ছাত্রলীগ কর্মী শাহাবুদ্দিন দাড়িয়ার মাঝে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এই দুই নেতার সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 

এ সময় ইমন নিজামী, শাহাবুদ্দিন দাড়িয়াসহ পাঁচজন আহত হয়। গুরুতর আহত ইমন নিজামীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এদিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে তাঁর নির্দেশে হামলা চালানো হয়। আন্দোলনকারীরা শামিম দাড়িয়ার বহিস্কারের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা সদর ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে শামিম দাড়িয়ার বহিস্কারের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এই ৪৮ ঘণ্টা আগামীকাল শনিবার দুপুরে শেষ হবে। আমরা এই সময়ের মধ্যে শামিম দাড়িয়ার বহিস্কার দাবি করছি। যদি তাঁকে বহিস্কার না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বলেন, ‘আমি দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিরসনের চেষ্টা করেছি। আমি কাউকে মারপিট করার নির্দেশ দেইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’ 

এদিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রপের সংঘর্ষে তিনদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি উপজেলা আওয়ামী লীগ। 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দ্রুতই ছাত্রলীগের দুই গ্রপের বিরোধপূর্ণ বিষয়টি রাজনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে মিটিয়ে ফেলব।’ 

কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। উপজেলা সদর ও এর আশপাশের এলাকায় এখনো পুলিশ মোতায়েন আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত