Ajker Patrika

জব্দ মোবাইল ফোন-আইপ্যাড-পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে মেঘনার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ হন মেঘনা আলম। ছবি: ফেসবুক
২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ হন মেঘনা আলম। ছবি: ফেসবুক

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মডেল মেঘনা আলম। আজ রোববার (২২ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করেন তিনি।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার আদেশ হতে পারে।

মেঘনা আলম আদালতে হাজির হয়ে এই আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন জব্দ থাকা মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট জিম্মায় চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে মেঘনা আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা ভুল হবে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ, গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক, আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালিয়ে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।’

মেঘনা আলম আরও বলেন, মিস বাংলাদেশ খেতাবে ভূষিত একজনকে এভাবে হয়রানি করা বৈশ্বিক লজ্জার বিষয়। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আদালত তাঁকে জামিন দেন। ওই দিনই কারামুক্ত হন তিনি। এরপর থেকে তিনি জামিনে আছেন।

গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মেঘনাকে ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দুই-তিনজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫ মিলিয়ন ডলার চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন। এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যাঁরা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত