Ajker Patrika

চাকরিপ্রার্থী খুঁজতে ঘটক নিয়োগ করেছিলেন সাইফুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ২০: ১০
Thumbnail image

সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত। কাজ করতেন একটি গার্মেন্টস কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে। করোনার সময় চাকরি হারিয়ে শুরু করেন প্রতারণা। সাইফুল নিজেকে পরিচয় দিতেন র‍্যাব-৪-এ কর্মরত ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার হিসেবে। এই পরিচয় ব্যবহার করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এলাকায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে করতেন প্রতারণা। চাকরিপ্রার্থী খুঁজে পেতে নিয়োগ করেন স্থানীয় এক ঘটককে। বিভিন্ন এলাকায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার নামে পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে ঘটকের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের ফাঁদে ফেলতেন সাইফুল। 

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন। 

আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১২ জানতে পারে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এলাকায় র‍্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটকসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি র‍্যাবের ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করে র‍্যাব। পরে গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১-এর সহযোগিতায় ভুয়া আইডি কার্ড ও নিয়োগপত্র তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম (৩০), তাজন হোসেন (৩২), সাবান আলী (৬৮), এস এম জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও কাজী শাহিন (৩০)। 

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয় প্রতারক চক্রের সদস্যরাগ্রেপ্তার চক্রের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে জানিয়েছেন, র‍্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতারণার বিষয়টি আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে তাঁরা দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকা থেকে তাজন ও সাইফুলের নামে ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সাইফুলের নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা গত দুই বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। সাইফুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। প্রতারণার অংশ হিসেবে নিজেকে অবিবাহিত ও র‍্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ের জন্য ছয়জন পাত্রী দেখেছেন। 

মোমেন আরও জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে দুজনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত