Ajker Patrika

ফিলিস্তিনের হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে বিক্ষোভ–সমাবেশ

ঢাবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে এ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের হামাসের হামলার প্রতি সংহতির পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান ও সাহায্য পাঠানোর দাবি জানান। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার সভাপতি জালালুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া প্রমুখ। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর ধরে আমাদের ভাইয়েরা ওখানে (ফিলিস্তিন) নির্যাতিত-নিপীড়িত। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারছি না। এক সময় আমরা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত-নিপীড়িত ছিলাম, আমাদের মা-বোন, ভাই ও শিশুরা নির্যাতিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের জনগণের ব্যথা আমরা অনুভব করতে পারি। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে রয়েছে।’

জামালুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ বলেন, ‘সবার আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংহতি জানানোর দরকার ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলের পক্ষে নেওয়া ছাড়া কোনো কিছু দেখছি না। ফিলিস্তিনের লোকেরা দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে দখলদারদের তাড়াতে হয়। বর্তমানে যারা প্রশ্ন তোলে কে আগে আক্রমণ করেছে, কে পরে আক্রমণ করেছে—তারা হলো পৃথিবীর সব স্বৈরাচারের স্বপক্ষীয়। ভূমি দখল করে হাসপাতালে হামলা করে, মসজিদে হামলা করে, জনগণের প্রতি নির্বিচারে হামলা করে—সে জায়গায় যারা হামলার শিকার তারাই তো প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এটা জানা কথা। বাংলাদেশে এ রকম একটি শ্রেণি রয়েছে, যারা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতিরোধের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যেই প্রতিরোধ শুরু হয়েছে সেটা গাজা উপত্যকা থেকে গিয়ে পশ্চিম ফিলিস্তিনে যুক্ত হবে ইনশা আল্লাহ। আমরা এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেব না।’

সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্টে এক্সসেপ্ট ইসরায়েল (ইসরায়েল বাদে) লেখা ছিল, সেটা তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই এক্সসেপ্ট ইসরায়েল লেখা পুনর্বহাল চাই। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের শুরু থেকে বৈরী মনোভাব ছিল, থাকবে। ইসরায়েল মুসলমানদের শত্রু, আমাদের শত্রু সেটা সচেতনভাবে ও স্বজ্ঞানে ঘোষণা দিতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত