উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় বেতন ভাতার দাবিতে গার্মেন্টস মালিকের বাড়ির সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শ্রমিকেরা। শনিবার ইফতারের পর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর সড়কের ২৯ বাসার সামনে বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
এ সময় তাঁরা ‘বাচ্চার দুধ নাই, ঘরে খাবার নাই’, ‘যাব না রে যাব না, ঘরে ফিরে যাব না’, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, মালিকের শাস্তি চাই’ সহ নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
গাজীপুরের বাসন এলাকার ‘জিম এন্ড জেসি কম্পোজিট’ নামক গার্মেন্টসের প্রায় শতাধিক শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে গার্মেন্টসটির মালিক মো. আনিছুজ্জামান পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
এ সময় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের হাতে ‘শ্রমিক শ্রেণি রাস্তায় কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, মালিকের শাস্তি চাই’সহ নানা পোস্টার ব্যানার দেখা যায়।
এদিকে আন্দোলন চলাকালে রাত ১০টার দিকে গার্মেন্টসটির শাহনাজ নামের একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা ছয় শতাধিক শ্রমিক এক মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাঁদের শ্রমিকদের পাঁচশত শ্রমিক বাসন এলাকার ওই গার্মেন্টসের ভেতর আন্দোলন করছেন। বাকি একশত শ্রমিক উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের মালিকের বাসার সামনে অবস্থান করে আন্দোলন করছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে একজন ওই গার্মেন্টসটির অপারেটর সানজিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেতনের জন্য গার্মেন্টস মালিকের বাসার সামনে ও কারখানায় আন্দোলন করছি। কিন্তু মালিক আমাদেরকে বেতন ভাতা না দিয়ে পালিয়ে গেছেন। সবাই ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। আর আমরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করছি।’
অপরদিকে সুইং অপারেটর মনোয়ারুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস মিলিয়ে ১৮ হাজার টাকা পাই। আমার মতো এমন সবাই নানা অঙ্কের টাকা পাবে। একদিকে বেতনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। অন্যদিক মালিক ঈদ করতে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।’
এদিকে রোজা রেখে বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পানি ও খেজুর দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিয়েছে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর মসজিদ। ওই মসজিদ ও সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. বশির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনরত শ্রমিকেরা রোজা রাখার পরও বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
এমতাবস্থায় একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মসজিদের পক্ষ থেকে আমরা তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। অপরদিকে থানার ওসিও শ্রমিকদের খাওয়ার জন্য বিস্কুট কিনে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গার্মেন্টসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাইনি।’
ওই বাসার সিকিউরিটি গার্ড মো. আফাস ও কেয়ারটেকার সুমন আজকের পত্রিকাকে জানান, জিম এন্ড জেসি কম্পোজিট গার্মেন্টসের মালিক আনিছুজ্জামান পঞ্চম তলার ‘এ’ ও ‘বি’ ফ্ল্যাটে থাকেন। ওই ফ্ল্যাট দুটির মালিক তিনি নিজেই। আজকে তিনি ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া চলে গেছেন। এখন ফ্ল্যাটে তাঁদের কেউই নেই।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গাজীপুরের বাসনের একটি গার্মেন্টসের শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের মালিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করছে। তবে শ্রমিকেরা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটাননি। শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন।
রাজধানীর উত্তরায় বেতন ভাতার দাবিতে গার্মেন্টস মালিকের বাড়ির সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শ্রমিকেরা। শনিবার ইফতারের পর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর সড়কের ২৯ বাসার সামনে বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
এ সময় তাঁরা ‘বাচ্চার দুধ নাই, ঘরে খাবার নাই’, ‘যাব না রে যাব না, ঘরে ফিরে যাব না’, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, মালিকের শাস্তি চাই’ সহ নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
গাজীপুরের বাসন এলাকার ‘জিম এন্ড জেসি কম্পোজিট’ নামক গার্মেন্টসের প্রায় শতাধিক শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে গার্মেন্টসটির মালিক মো. আনিছুজ্জামান পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
এ সময় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের হাতে ‘শ্রমিক শ্রেণি রাস্তায় কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, মালিকের শাস্তি চাই’সহ নানা পোস্টার ব্যানার দেখা যায়।
এদিকে আন্দোলন চলাকালে রাত ১০টার দিকে গার্মেন্টসটির শাহনাজ নামের একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা ছয় শতাধিক শ্রমিক এক মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাঁদের শ্রমিকদের পাঁচশত শ্রমিক বাসন এলাকার ওই গার্মেন্টসের ভেতর আন্দোলন করছেন। বাকি একশত শ্রমিক উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের মালিকের বাসার সামনে অবস্থান করে আন্দোলন করছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে একজন ওই গার্মেন্টসটির অপারেটর সানজিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেতনের জন্য গার্মেন্টস মালিকের বাসার সামনে ও কারখানায় আন্দোলন করছি। কিন্তু মালিক আমাদেরকে বেতন ভাতা না দিয়ে পালিয়ে গেছেন। সবাই ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। আর আমরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করছি।’
অপরদিকে সুইং অপারেটর মনোয়ারুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস মিলিয়ে ১৮ হাজার টাকা পাই। আমার মতো এমন সবাই নানা অঙ্কের টাকা পাবে। একদিকে বেতনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। অন্যদিক মালিক ঈদ করতে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।’
এদিকে রোজা রেখে বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পানি ও খেজুর দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিয়েছে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর মসজিদ। ওই মসজিদ ও সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. বশির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনরত শ্রমিকেরা রোজা রাখার পরও বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
এমতাবস্থায় একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মসজিদের পক্ষ থেকে আমরা তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। অপরদিকে থানার ওসিও শ্রমিকদের খাওয়ার জন্য বিস্কুট কিনে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গার্মেন্টসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাইনি।’
ওই বাসার সিকিউরিটি গার্ড মো. আফাস ও কেয়ারটেকার সুমন আজকের পত্রিকাকে জানান, জিম এন্ড জেসি কম্পোজিট গার্মেন্টসের মালিক আনিছুজ্জামান পঞ্চম তলার ‘এ’ ও ‘বি’ ফ্ল্যাটে থাকেন। ওই ফ্ল্যাট দুটির মালিক তিনি নিজেই। আজকে তিনি ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া চলে গেছেন। এখন ফ্ল্যাটে তাঁদের কেউই নেই।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গাজীপুরের বাসনের একটি গার্মেন্টসের শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের মালিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করছে। তবে শ্রমিকেরা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটাননি। শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন।
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে