Ajker Patrika

মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩, ২০: ৪৯
Thumbnail image

‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’—এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় মেয়র তাপসকে আদালতে তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। 

আজ রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল এ অভিযোগ দেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার বিষয়টি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাবেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদসহ সিনিয়র আইনজীবীরা।’ শাহ আহমদ বাদল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার প্রেক্ষাপটে গঠন করা অ্যাডহক কমিটির সদস্যসচিব। 

এর আগে মেয়র তাপসের বক্তব্য গত ২৪ মে আপিল বিভাগের নজরে আনেন এম আমীর-উল ইসলাম। শাহ আহমদ বাদল বলেন, ‘তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপিল বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছি।’

শাহ আহমদ বাদল আরও বলেন, ‘মেয়র তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা খুবই ঔদ্ধত্যপূর্ণ। তিনি সুশীল সমাজ সম্পর্কেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে এ ধরনের বক্তব্য নজিরবিহীন। এ ধরনের বক্তব্য বিচারপতি ও আইনজীবীরা আতঙ্কিত হয়েছেন। সে কারণে এটা আদালত অবমাননা। পেশিশক্তি ব্যবহার করে আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অবদমিত করার একটা পূর্বাভাস। এর যদি প্রতিকার না হয়, এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ও আচরণে আগামী দিনে আইনের শাসন-গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হবে।’

এর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাপসের বক্তব্যের কিছু অংশ গত ২৪ মে আদালতে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মেয়র বলেছেন, একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মনটা চায়, আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেওয়ার সেটিও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। বারের গত নির্বাচনের সাব-কমিটির প্রধান মশিউজ্জামানকে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যে সকল সুশীলরা আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।’

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ব্যারিস্টার আমীর আরও বলেন, ‘ব্যারিস্টার তাপস তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠনের আগেও অনেক বড় বড় আইনজীবী নেতা ছিলেন। কিন্তু যখন এই সংগঠন গঠন করা হয় তখন কিন্তু এই সব বিজ্ঞ, খ্যাতনামা, প্রাজ্ঞ, বড় বড় নেতাদের বাদ দিয়ে আমাদের মতো ছোট আইনজীবীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠন করা হয়। সুতরাং, এগুলো ভুললে চলবে না। সবাই খালি ইতিহাস ভুলে যায়। ইতিহাস ভুললে চলবে না। ওই সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আগে এটি দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত