Ajker Patrika

জাতীয় দলের ফুটবলার মোরসালিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় দলের ফুটবলার শেখ মোরছালিন। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় দলের ফুটবলার শেখ মোরছালিন। ছবি: সংগৃহীত

যৌতুক দাবির অভিযোগে জাতীয় দলের ফুটবলার শেখ মোরসালিনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার মামলার বাদী মোরসালিনের সাবেক স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মোরসালিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বাদীর আইনজীবী ইচফাকুর রহমান গালিব জানান, উভয়ের মধ্যে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় আপস হওয়ায় মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ার সেঁজুতি বিনতে সোহেল মোরসালিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদী সেঁজুতির জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগ আমলে নেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন মোরসালিন। বিয়ের পর থেকে বাদী সেঁজুতি আসামির প্রকৃত চেহারা, পরধন লোভী ও পরনারী আসক্তি বুঝতে পারেন।

আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার বাদীকে মানসিক চাপ দেন এবং বলেন যে বাদীর পিতার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা আসামির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর বাদী অনুনয়-বিনয় করে আসামিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁর পিতা-মাতার যা সাধ্য ছিল, তা বিয়ের সময় খরচ করেছেন। পিতা-মাতার মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিলে তাঁদের পথে বসতে হবে।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, পাষণ্ড, পরধন লোভী আসামি মোরসালিন বাদী সেঁজুতি বিনতে সোহেলকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। পরে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন অধিক পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে সেঁজুতি উপায়ন্তর না পেয়ে তাঁর পিতা-মাতার বাসায় চলে আসেন।

পরে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় মোরসালিন তাঁর স্ত্রীর বাসায় আসেন। এ সময় সেঁজুতি মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে তিনি জানান, ‘আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি।’ তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেঁজুতির পিতা-মাতা আসামিকে অনুরোধ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। তখন আসামি তাঁর স্ত্রী সেঁজুতি ও তাঁর পিতা-মাতাকে গালাগালি ও হুমকি দিতে থাকেন।

মামলায় আরও বলা হয়, আসামি মোরসালিন বাদীর নিকট যৌতুক চেয়েছেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করে যৌতুক নিরোধ আইনে অপরাধ সংঘটিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছর মদকাণ্ডে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোরসালিন। এরপর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে সেঁজুতিকে বিয়ে করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচিত হন মোরসালিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত