Ajker Patrika

২ বছর পর ফিরছে ঢাবির কেন্দ্রীয় নাট্যোৎসব

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ২১: ৩১
২ বছর পর ফিরছে ঢাবির কেন্দ্রীয় নাট্যোৎসব

প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় নাট্যোৎসব আয়োজন করে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ। কিন্তু করোনার কারণে ২০১৯ সালের পর আর নাট্যোৎসব আয়োজন সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে এ উৎসব আয়োজনের চেষ্টা করা হলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই বছর পর আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব। ২১ মার্চ থেকে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে চলবে এই উৎসব। সেই লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

মহড়ায় শিল্পীরাএবারের উৎসবে ৯টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজউদদীন আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারকে।

উদ্বোধনী দিনে বিভাগের অধ্যাপক ইসরাফিল শাহীন নির্দেশিত স্যামুয়েল বেকেটের নাটক ‘ওয়েটিং ফর গডো’ মঞ্চস্থ হবে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ নাটকের প্রদর্শনী। ২৭ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সাতটি নাটকের প্রদর্শনী শুরু হবে। ২৭ মার্চ দেবাশীষ কুমার নির্দেশিত ‘খারিজ’ ও আশরাফুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘কোথায় পাব তারে’ মঞ্চস্থ হবে। ২৮ মার্চ অপূর্ব চক্রবর্তীর ‘রেপার্টরি থিয়েটার এ প্লে’ ও ওয়াজেদ শাহরিয়ার হাশমীর ‘দ্য শ্যাডো অব হামিংবার্ড’ মঞ্চস্থ হবে। ২৯ মার্চ মঞ্চস্থ হবে নাদিরা আঞ্জুম মিমির ‘দ্যা টু ক্যারেক্টার প্লে’ ও তাসলিমা হোসেন নদীর ‘শেষ গোধূলির ঘুম’ এবং ইন্দ্রাণী দাস নিশির নির্দেশনায় নাটক ‘নাথবতী অনাথবৎ’। ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’ নাটকটির যাত্রাপালা রীতির নিরীক্ষামূলক উপস্থাপনা মঞ্চস্থ হবে। এর নির্দেশনায় আছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর নাহিদ খান।

‘দ্যা টু ক্যারেক্টার প্লে’ নাটকের মহড়ায় শিল্পীরাবিভাগের তরুণ ও সম্ভাবনাময় নাট্য নির্দেশকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় এই নাট্যোৎসব বরাবরই উৎসাহ জুগিয়ে আসছে। এবারের নাট্যোৎসবে অংশ নেওয়া নির্দেশকেরাও তাঁদের নির্দেশিত নাটকের প্রদর্শনী নিয়ে রোমাঞ্চিত। তাঁরা সেরে নিচ্ছেন সর্বশেষ প্রস্তুতি।

বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তাসলিমা হোসেন নদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাটকটি তুলতে বিভাগের সবাই খুব সহযোগিতা করেছে। অভিনেতারা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছে। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, আছে, কিন্তু সম্মিলিতভাবে সব কাটিয়ে উঠেছি আমরা ৷ আশা করি, দর্শকেরা কয়েকটি ভালো নাটক দেখতে পারবেন।’

অনুষ্ঠানের সময়সূচিউৎসবের শেষ মুহূর্তের জোর প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নানান প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে কাল (সোমবার) থেকে উৎসব শুরু হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রীয় নাট্যোৎসবের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা জ্ঞানমুখী শিল্পচর্চার মধ্য দিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র, মানুষ, পরিবেশকে অনুধাবনের চেষ্টা করি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে টানা এই উৎসব আমরা আয়োজন করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও যেন আরও বিশ্লেষণাত্মক কাজ করতে পারে এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে, সে জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত