Ajker Patrika

‘সবকিছু ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৩: ৫৫
‘সবকিছু ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি’

ঈদের পর কঠোরতম লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আংশিক দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি। ফুটপাতে নামতে শুরু করেছেন হকারেরা। সোমবার সকালে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটির পর সাপ্তাহিক কার্যদিবসের দ্বিতীয় দিন সোমবার ব্যাংক, বিমাসহ খুলেছে অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে আগের তিন দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল। তবে বিভিন্ন চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কমেনি।

কয়েক বছর ধরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় ভ্যানে পিঠা বিক্রি করেন বিক্রমপুরের নজরুল ইসলাম (৪৮)। সোমবার সকালেও বনশ্রীর বি-ব্লকে তাঁকে পিঠা বিক্রি করতে দেখা গেছে। তিনি জানালেন, সব সময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হয়। পুলিশ দেখলেই দোকান গোটান তিনি।

মৌচাক এলাকায় ভোরের কাগজ পত্রিকা অফিসসংলগ্ন গলিতে টং দোকানে চা বিক্রি করেন সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকার শাহীন মিয়া (৫০)। তিনি জানান, ঈদের পর লকডাউনের প্রথম দুদিন দোকান খুলতে পারেননি। গতকাল থেকে দোকান খোলা শুরু করেছেন। কেউ বাধা দেয়নি।

শান্তিনগর মোড়, কাকরাইল মোড়, পুরানা পল্টনে হকারদের চা-বিস্কুট, পান-সিগারেট, আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রকাশ্যে খোলা ছিল স্টেশনারির ও মোবাইল রিচার্জের দোকান। কিছু দোকান পুরোপুরি খোলা রাখলেও, কিছু দোকান আংশিক খোলা রেখে দোকানিরা চালিয়ে যাচ্ছেন বেচাবিক্রি।

নাম প্রকাশ না করে শান্তিনগরের সবুজ লাইব্রেরির বিক্রেতা জানান, দিনের পর দিন দোকান বন্ধ। বেচাবিক্রি বন্ধ। কিন্তু মালিক তো দোকান ভাড়া এক টাকাও ছাড় দেয় না। তাই বাঁচার জন্য নিরুপায় হয়ে তিনি দোকান খুলেছেন।

পুরানা পল্টন মোড়ের পাশে চা-সিগারেট-পান বিক্রি করছেন একাধিক হকার। পাশেই দাঁড়ানো ছিল পুলিশের গাড়ি। লকডাউনে বেচাবিক্রিতে পুলিশ কোনো অসুবিধা করে কি না, জানতে চাইলে এক হকার মুচকি হেসে বললেন, ‘মামা, সবকিছু ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি।’ 

পল্টন এলাকায় কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপরিদর্শক মো. শামীম হোসাইনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের পরে ব্যাংক, বিমাসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক অফিস খুলেছে। ফলে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন অলিগলিতে কেউ কেউ দোকান খুলছে, তবে পুলিশের টহল দেখলে বন্ধ করে দিচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হলে আরও কঠোর হতে হবে, মানুষজনকে মারধর করতে হবে, সেটা তো সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত