ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ঘটনার পর চারদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কে মুমূর্ষু রোগীসহ হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে আসে স্বজনেরা। খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় স্টোররুম থেকে আগুন লাগে। তবে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ।
সুভাষ বাড়ৈ বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি দ্বিতীয় তলার স্টোররুমে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবন্ধকতা পোহাতে হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া ছিল। আমরা তালা ও কাচের দেয়াল ভেঙে সেখানে প্রবেশ করি। পরে ২৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি, যার কারণে হাসপাতালটি অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
এদিকে আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাসপাতালে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনেরা। তারা রোগীদের নিয়ে হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে আসে।
হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে অসংখ্য রোগী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। অনেক মুমূর্ষু রোগীকেও হাসপাতাল চত্বরে শুইয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁদের ঘিরে আতঙ্কিত চোখে বসে আছে স্বজনেরা।
দুই দিন আগে প্রসূতি ভাবিকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজবাড়ী জেলার চন্দনাপুর গ্রামের ফিরোজা বেগম। সোমবার রাত ১০টার দিকে তাঁর ভাবি বাচ্চা প্রসব করেন। ঘটনার পর ভাবিকে রেখেই নবজাতক নিয়ে নিচে নেমে আসেন তিনি।
ফিরোজা বেগম বলেন, ‘চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল, অন্ধকার লাগছিল। আমরা নাক কাপড় দিয়ে ঢেকে কোনোভাবে নিচে নেমে এসেছি। অনেক লোক তাড়াহুড়ো করে নামতে থাকে। কিন্তু আমার ভাবিকে রক্ত দেওয়া হচ্ছিল এবং যন্ত্রপাতি লাগানো থাকায় তাঁকে নিচে নামাতে পারিনি।’
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা থেকে নিজের পাঁচ বছরের ছেলের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করাতে এসেছেন মাসুম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘চারদিকে ধোঁয়ায় যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন মানুষ যে যেভাবে পারে নামতে শুরু করে। আমার সামনে মুমূর্ষু রোগীকে আনা হয়, নার্সরা তখন তাকে স্যালাইন দিচ্ছিল। ধোঁয়ায় অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার স্যালাইন রেখেই নিচে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।’ এ সময় হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
হাসপাতালটির উপপরিচালক দীপক কুমার বলেন, হঠাৎ হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোররুমে অগ্নিকাণ্ড হয়। তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়। ওই স্টোররুমে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, ফ্রিজসহ নানা সরঞ্জাম ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ঘটনার পর চারদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্কে মুমূর্ষু রোগীসহ হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে আসে স্বজনেরা। খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় স্টোররুম থেকে আগুন লাগে। তবে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ।
সুভাষ বাড়ৈ বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি দ্বিতীয় তলার স্টোররুমে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবন্ধকতা পোহাতে হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া ছিল। আমরা তালা ও কাচের দেয়াল ভেঙে সেখানে প্রবেশ করি। পরে ২৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি, যার কারণে হাসপাতালটি অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
এদিকে আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাসপাতালে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনেরা। তারা রোগীদের নিয়ে হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে আসে।
হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে অসংখ্য রোগী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। অনেক মুমূর্ষু রোগীকেও হাসপাতাল চত্বরে শুইয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁদের ঘিরে আতঙ্কিত চোখে বসে আছে স্বজনেরা।
দুই দিন আগে প্রসূতি ভাবিকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজবাড়ী জেলার চন্দনাপুর গ্রামের ফিরোজা বেগম। সোমবার রাত ১০টার দিকে তাঁর ভাবি বাচ্চা প্রসব করেন। ঘটনার পর ভাবিকে রেখেই নবজাতক নিয়ে নিচে নেমে আসেন তিনি।
ফিরোজা বেগম বলেন, ‘চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল, অন্ধকার লাগছিল। আমরা নাক কাপড় দিয়ে ঢেকে কোনোভাবে নিচে নেমে এসেছি। অনেক লোক তাড়াহুড়ো করে নামতে থাকে। কিন্তু আমার ভাবিকে রক্ত দেওয়া হচ্ছিল এবং যন্ত্রপাতি লাগানো থাকায় তাঁকে নিচে নামাতে পারিনি।’
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা থেকে নিজের পাঁচ বছরের ছেলের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করাতে এসেছেন মাসুম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘চারদিকে ধোঁয়ায় যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন মানুষ যে যেভাবে পারে নামতে শুরু করে। আমার সামনে মুমূর্ষু রোগীকে আনা হয়, নার্সরা তখন তাকে স্যালাইন দিচ্ছিল। ধোঁয়ায় অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার স্যালাইন রেখেই নিচে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।’ এ সময় হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
হাসপাতালটির উপপরিচালক দীপক কুমার বলেন, হঠাৎ হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোররুমে অগ্নিকাণ্ড হয়। তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়। ওই স্টোররুমে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, ফ্রিজসহ নানা সরঞ্জাম ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোস্ট গার্ড জানায়, এফবি জামিলা নামের ট্রলারটি ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের ফিসারি ঘাট থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। একদিন পরই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তাঁরা তীরে যোগাযোগ করতে পারেনি। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে গতকাল তাঁরা নেটওয়ার্ক পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন কল করে সহযোগিতা..
৬ মিনিট আগেপুশ ইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান। এর আগে গত ১১ জুলাই একই উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশ ইন করে বিএসএফ।
২১ মিনিট আগেরাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৭ ঘণ্টা আগে