গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের রাজাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত বর্তমানে বন্ধ থাকা ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তাঁরা সাত মাসের বকেয়া বেতনসহ অন্য পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় ভুক্তভোগী দুই শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক মহাসড়কের একপাশে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সার্ভিস বেনিফিট এবং নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীন বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিও জানানো হয়।
ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা দাবি করেন, কোনো কোনো শ্রমিক ২০০৬ সাল থেকে এবং তারও আগে থেকে এ কারখানায় চাকরি করেছেন। বর্তমানে কারখানা বন্ধ থাকলেও সাত মাস যাবৎ বকেয়া বেতনসহ প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পায়নি। অনেক শ্রমিকের কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ৮–১০ লাখ টাকাও পাওনা রয়েছে। তাদের বেতনসহ অন্য পাওনা সাত মাস যাবৎ আটকে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বেতন না পাওয়ায় তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বারবার মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাদের বেতন পরিশোধ করছে না। যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান তাঁরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম জানান, এক বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, সার্ভিস বেনিফিট, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা, নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীনের টাকা এখনো পরিশোধ করেনি।
শফিউল আলম আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকার ইতিমধ্যে মালিককে সুদমুক্ত ১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, লোন পাওয়ার পর এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত সব শ্রমিক ও স্টাফদের মধ্যে লোনের টাকা বিতরণ করেনি মালিকপক্ষ। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। লোনের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করার পরও অবশিষ্ট ১৪ কোটির টাকার বেশি অর্থ বকেয়া থাকবে শ্রমিক–কর্মচারীদের। বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
শফিউল আলম বলেন, ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। কারখানাটি বন্ধ হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক–কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। শ্রমিকদের কর্মকালীন কয়েক মাসের বেতন ও বন্ধকালীন আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধসংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ শ্রম আইনের সুবিধা থেকে কমিয়ে এনে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী সরকার থেকে পাওনা লোনের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। এর পরও ১৪ কোটি টাকা পাওনা থাকবেন গাজীপুরের ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা।
কারখানা চলাকালীন মেকানিক্যাল সেকশনের উপব্যবস্থাপক (ডেপুটি ম্যানেজার) পদে থাকা সবিমল ঘোষ বলেন, ‘২০১১ সালে আমি ডার্ড কম্পোজিট লিমিটেড কারখানায় যোগদান করি। বকেয়া বেতন না পাওয়ায় আমরা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সার্ভিস বেনিফিটের পাওনাও বাকি রয়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের চড়া দাম থাকায় নিয়মিত কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা দুষ্কর হয়ে পড়ছে।’
সবিমল ঘোষ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হোক। তা ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আমাদের চাকরিচ্যুত করেছে। শুনেছি, সরকার আমাদের বকেয়া পরিশোধের জন্য ডার্ড কোম্পানিকে ১৩ কোটি টাকা লোন দিয়েছে। আমাদের বকেয়া বেতনসহ সব পাওনা দ্রুত পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করছি।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছেন।
ডার্ড গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফয়েজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে শ্রমিকদের ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। একসঙ্গে সব টাকা পরিশোধ করা যায় না। বাকি টাকা দ্রুতই পরিশোধ করে দেব।’
গাজীপুরের রাজাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত বর্তমানে বন্ধ থাকা ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তাঁরা সাত মাসের বকেয়া বেতনসহ অন্য পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় ভুক্তভোগী দুই শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক মহাসড়কের একপাশে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সার্ভিস বেনিফিট এবং নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীন বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিও জানানো হয়।
ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা দাবি করেন, কোনো কোনো শ্রমিক ২০০৬ সাল থেকে এবং তারও আগে থেকে এ কারখানায় চাকরি করেছেন। বর্তমানে কারখানা বন্ধ থাকলেও সাত মাস যাবৎ বকেয়া বেতনসহ প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পায়নি। অনেক শ্রমিকের কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ৮–১০ লাখ টাকাও পাওনা রয়েছে। তাদের বেতনসহ অন্য পাওনা সাত মাস যাবৎ আটকে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বেতন না পাওয়ায় তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বারবার মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাদের বেতন পরিশোধ করছে না। যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান তাঁরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম জানান, এক বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, সার্ভিস বেনিফিট, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা, নারী শ্রমিকদের প্রসূতিকালীনের টাকা এখনো পরিশোধ করেনি।
শফিউল আলম আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকার ইতিমধ্যে মালিককে সুদমুক্ত ১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, লোন পাওয়ার পর এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত সব শ্রমিক ও স্টাফদের মধ্যে লোনের টাকা বিতরণ করেনি মালিকপক্ষ। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। লোনের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করার পরও অবশিষ্ট ১৪ কোটির টাকার বেশি অর্থ বকেয়া থাকবে শ্রমিক–কর্মচারীদের। বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
শফিউল আলম বলেন, ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। কারখানাটি বন্ধ হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক–কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। শ্রমিকদের কর্মকালীন কয়েক মাসের বেতন ও বন্ধকালীন আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধসংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ শ্রম আইনের সুবিধা থেকে কমিয়ে এনে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী সরকার থেকে পাওনা লোনের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। এর পরও ১৪ কোটি টাকা পাওনা থাকবেন গাজীপুরের ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা।
কারখানা চলাকালীন মেকানিক্যাল সেকশনের উপব্যবস্থাপক (ডেপুটি ম্যানেজার) পদে থাকা সবিমল ঘোষ বলেন, ‘২০১১ সালে আমি ডার্ড কম্পোজিট লিমিটেড কারখানায় যোগদান করি। বকেয়া বেতন না পাওয়ায় আমরা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সার্ভিস বেনিফিটের পাওনাও বাকি রয়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের চড়া দাম থাকায় নিয়মিত কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা দুষ্কর হয়ে পড়ছে।’
সবিমল ঘোষ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হোক। তা ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আমাদের চাকরিচ্যুত করেছে। শুনেছি, সরকার আমাদের বকেয়া পরিশোধের জন্য ডার্ড কোম্পানিকে ১৩ কোটি টাকা লোন দিয়েছে। আমাদের বকেয়া বেতনসহ সব পাওনা দ্রুত পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করছি।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছেন।
ডার্ড গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফয়েজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে শ্রমিকদের ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। একসঙ্গে সব টাকা পরিশোধ করা যায় না। বাকি টাকা দ্রুতই পরিশোধ করে দেব।’
বাংলাদেশের প্রথম নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৪২ মিনিট আগেযশোরে গুলিবিদ্ধ হানিফ হোসেন (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মী মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। শুক্রবার রাত ৭ টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুলিবাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার রাজারহাট ও উলিপুর থানা-পুলিশ পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে