Ajker Patrika

‘গণতন্ত্র ও শান্তির’ বার্তা নিয়ে শুরু হলো সিজিএসের বে অব বেঙ্গল সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ২৭
‘গণতন্ত্র ও শান্তির’ বার্তা নিয়ে শুরু হলো সিজিএসের বে অব বেঙ্গল সম্মেলন

‘গণতন্ত্র ও শান্তির’ বার্তা নিয়ে শুরু হয়েছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন। আজ শনিবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সকাল সাড়ে ৯টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন মালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাব মাদ্রিদের সদস্য মওসা মারা এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সময় খুবই জটিল। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে। এটা খুবই ভয়ের যে শান্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আশা ও সুযোগ আছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইন্দো প্যাসেফিক ইস্যুগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’

জিল্লুর বলেন, ‘গতবারের সম্মেলনে তাঁদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের সরকারই তাঁদের প্রশ্ন করেছে। তাই এবার সিজিএস সুযোগ নিয়েছে প্রমাণ করার জন্য। এটি বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।’

মওসা মারা বলেন, ‘পৃথিবীতে এখন জোটবদ্ধতা কমে যাচ্ছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো। কিছু কিছু দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে, যারা অন্য দেশগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চায়না ও আমেরিকা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্নভাবে অন্য দেশগুলোকে তাদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।’

গণতন্ত্রের বিষয়ে মওসা মারা বলেন, ‘এখন পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। মৌলবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’

মওসা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর একটি সমস্যা তৈরি করেছে। দুঃখের বিষয়—এই যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্যদিকে ইউরোপ নামের মহাদেশে কিছু ধনী দেশ আছে, কিন্তু তারা একত্রিত নয়। তারা নিজেদের মধ্যে বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছে।’

সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ ইন্দো প্যাসেফিকের দেশগুলো যেসব সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো এই সম্মেলনে দৃষ্টিগোচর করা হবে। মূলত ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন অধিবেশনে।’

আয়োজকদের তথ্যমতে, এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূরাজনীতি। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হবে বে অব বেঙ্গল অঞ্চলের দ্রুত বিকাশমান পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জানা-বোঝা। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। পাশাপাশি এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর কদমতলীতে যুবককে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সাজেদুর রহমান সাজু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর (দায়রা জজ) বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির নাম অনিক হোসেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি কদমতলীর খোরশেদ আলী সরদার রোডের বুড়ির বাড়ির মসজিদের পাশে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাজেদুর রহমান সাজুকে (২৮) গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করেন আসামি অনিক (২৭) ও তাঁর সহযোগীরা। সাজুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুর রহমান সাঈদ কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনিককে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মার চরে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে নিহত তিন: ২৩ জনকে আসামি করে মামলা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজশাহীর বাঘায় বসবাসরত মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গোলাগুলির খবর পেয়ে নিকটস্থ বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা, কয়েকটি তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলটি কোন থানার আওতাধীন—তা নির্ধারণ করতে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন মাঠে থাকেন, যার ফলে মামলা কার্যক্রমে বিলম্ব হয়। পরে নির্ধারিত হয়, ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। নিহত ব্যক্তিরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন; নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁরা বাঘার নিচ খানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

অন্যদিকে গতকাল সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। নিহত লিটনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। পেশায় তিনি কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন এবং কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতা ছিল, আমরা সরেজমিনে তা নির্ধারণ করেছি—এটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে গুলির খোসা ও রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বিকেলে কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন মণ্ডল গ্রুপের নিহতের পরিবার। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

অভিযুক্ত কাকন বাহিনীর প্রধান কাকন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাঝদিয়াড় গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়ে পদ্মা নদীর বালুমহাল ও চরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি বালুমহাল দখল ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গড়ে তোলেন সশস্ত্র ‘কাকন বাহিনী’। বর্তমানে এ বাহিনীর সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ৪০ জনের বেশি। তারা দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, বাঘা ও নাটোরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক মেয়রসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়রও আছেন। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিএমপি। ‎

‎গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এম রবিন হোসেন (৫৪), চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ইসাহাক সিকদার (৬৩), ছাত্রলীগের কর্মী মো. ইসতিয়াক মিলন (২৩), শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম আহমেদ রিপন (৪৮) এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্লাহ ওরফে রিমু (৫০)। ‎

‎ডিবির তথ্য অনুযায়ী, আজ ভোর ৪টার দিকে গুলশান বিভাগের একটি দল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে রবিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে তেজগাঁও বিভাগের একটি দল রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে ইসাহাক সিকদারকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির লালবাগ বিভাগের সদস্যরা ছাত্রলীগ কর্মী ইসতিয়াক মিলনকে গ্রেপ্তার করে। ‎

‎এ ছাড়া রাতে গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির সাইবার বিভাগের একটি দল ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে এবং পরে নিকুঞ্জ-২ এলাকা থেকে রায়হান রহমতুল্লাহ ওরফে রিমুকে গ্রেপ্তার করে।

‎ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রংপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কক্সবাজারে গ্ৰেপ্তার

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ময়নুল ইসলাম মমিনুল। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ময়নুল ইসলাম মমিনুল। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের কাউনিয়ায় ইউনিয়ন কৃষক দল নেতা মোবারক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ময়নুল ইসলাম মমিনুলকে (৪৫) কক্সবাজার থেকে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মকছেদ আলী।

মামলার বরাতে এসআই মকছেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্ৰামের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক আলী গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন।

এ ব্যাপারে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পাশাপাশি এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনেরা। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্বনাথ গ্ৰামে প্রতিবেশী মইনুল ইসলাম মমিনুলের বসতবাড়ির রান্নাঘরের পেছনে মোবারকের লাশ মাটিচাপা অবস্থায় দেখতে পান স্বজনেরা। এ সময় কৌশলে মমিনুল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রান্নাঘরের পেছনে মাটি খুঁড়ে মোবারকের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মোবারকের মা বাদী হয়ে মমিনুলকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মমিনুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন মধুরছড়া ৪ নম্বর ক্যাম্প এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি ময়নুল ইসলাম মমিনুলকে আটক করে র‍্যাব-১৫। পরে তাঁকে কক্সবাজার সদর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর থানা-পুলিশের হেফাজতে থাকা মমিনুলকে গ্ৰেপ্তার করে আজ কাউনিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তাঁকে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত