Ajker Patrika

পারভেজ হত্যা: আদালতে দুই আসামির দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি। তাঁরা হলেন মাহাথির হাসান ও আল কামাল শেখ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের খাস কামরায় জবানবন্দি দেন আসামি মাহাথির হাসান (২০)। এর আগের দিন গতকাল বুধবার আসামি আল কামাল শেখ (১৯) একই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামি আল কামাল শেখকে ২১ এপ্রিল সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তিনি আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে চাইলে তাঁকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে আজ দুপুরের দিকে আসামি মাহাথির হাসানকে আদালতে হাজির করে বনানী থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেন, মাহাথির পারভেজ হত্যায় নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এরপর তাঁকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়ার পর তিনি বিস্তারিত জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে মাহাথির ও কামাল পারভেজ হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এবং ওই ঘটনায় আর কে কে জড়িত ছিল, তাঁদের নাম প্রকাশ করেছেন।

গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি চায়ের দোকানে আড্ডার সময় ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের নিয়ে এসে পারভেজকে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারনামীয় আট আসামি হলেন: মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। তাঁদের মধ্যে এজাহারে সোবহান নিয়াজ তুষারের পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে এবং হৃদয় মিয়াজীর পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একই ইউনিটের যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে।

এই মামলার অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) গতকাল সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২১ এপ্রিল এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানিকে (১৯) সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এই মামলার প্রধান আসামি মেহরাজকে গতকাল গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে এখনো আদালতে হাজির করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত