কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. সোহরাব উদ্দিন। তাঁর প্রতীক ছিল ঈগল। এ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল কাহার আকন্দ। পরাজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘এই আসনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমি এই নির্বাচন মেনে নেইনি।’
মঙ্গলবার এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ।
আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ‘আমি এই নির্বাচন মেনে নেইনি। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব। এই আসনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।’
এদিকে, এই আসনে নির্বাচন করেছেন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন (ট্রাক প্রতীকে)। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে থাকলেও পাস করব।’ কিন্তু তিনি জামানাত হারিয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ দলীয় মনোনয়ন পায়নি। তাঁকে সরিয়ে এ আসনে নৌকা তুলে দেওয়া হয়েছিলো পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল কাহার আকন্দের হাতে। তিনি নৌকার মান রাখতে পারেননি। দুই বছর আগে পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হয়েছিলেন সোহরাব। স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে সোহরাব উদ্দিনের নিয়ন্ত্রণ খুবই শক্তিশালী।
সোহরাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। ২০১৪ সালে আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হইছে। স্বাধীনতার পরে অন্য কারও সময় তা সম্ভব হয়নি। এইজন্য ভোটার ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশা ছিলো আমার দ্বারা ব্যাপক উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা চায় সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আমার দ্বারা সামাজিক নিরাপত্তা পাবে। আর তাই ভোটাররা আমাকে বিজয়ী করিয়েছে। আওয়ামী লীগে থেকে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা কঠিন বিষয়। কিন্তু আমাদের নেত্রীর কথার উপর ভরসা রেখে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম।’
এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও বলেন, ‘এখানে একজন প্রার্থী ছিল মেজর আখতারুজ্জামান সাহেব। তিনি ঘোষণা দিছিলেন তিনি ঘুমিয়ে থাকলেও পাস করবেন। এরপরে উনার পক্ষে জানি না এটা সঠিক কিনা ভূয়া হতে পারে— এনএসআইয়ের নাম করে তারা আমার অনেক নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে ওইসময়। ইভেন এমনও বলা হইছে ট্রাকে না উঠলে গুলি করা হবে। এমন অনেক কথাবার্তা বলার পরেও আমাকে বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ও করুনা এমন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকে আমি জয়লাভ করেছি।’
প্রসঙ্গত, সোহরাব উদ্দিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট। অন্যদিকে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৯৯ ভোট।
আরও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. সোহরাব উদ্দিন। তাঁর প্রতীক ছিল ঈগল। এ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল কাহার আকন্দ। পরাজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘এই আসনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমি এই নির্বাচন মেনে নেইনি।’
মঙ্গলবার এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ।
আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ‘আমি এই নির্বাচন মেনে নেইনি। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব। এই আসনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।’
এদিকে, এই আসনে নির্বাচন করেছেন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন (ট্রাক প্রতীকে)। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে থাকলেও পাস করব।’ কিন্তু তিনি জামানাত হারিয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ দলীয় মনোনয়ন পায়নি। তাঁকে সরিয়ে এ আসনে নৌকা তুলে দেওয়া হয়েছিলো পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল কাহার আকন্দের হাতে। তিনি নৌকার মান রাখতে পারেননি। দুই বছর আগে পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হয়েছিলেন সোহরাব। স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে সোহরাব উদ্দিনের নিয়ন্ত্রণ খুবই শক্তিশালী।
সোহরাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। ২০১৪ সালে আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হইছে। স্বাধীনতার পরে অন্য কারও সময় তা সম্ভব হয়নি। এইজন্য ভোটার ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশা ছিলো আমার দ্বারা ব্যাপক উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা চায় সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আমার দ্বারা সামাজিক নিরাপত্তা পাবে। আর তাই ভোটাররা আমাকে বিজয়ী করিয়েছে। আওয়ামী লীগে থেকে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা কঠিন বিষয়। কিন্তু আমাদের নেত্রীর কথার উপর ভরসা রেখে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম।’
এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও বলেন, ‘এখানে একজন প্রার্থী ছিল মেজর আখতারুজ্জামান সাহেব। তিনি ঘোষণা দিছিলেন তিনি ঘুমিয়ে থাকলেও পাস করবেন। এরপরে উনার পক্ষে জানি না এটা সঠিক কিনা ভূয়া হতে পারে— এনএসআইয়ের নাম করে তারা আমার অনেক নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে ওইসময়। ইভেন এমনও বলা হইছে ট্রাকে না উঠলে গুলি করা হবে। এমন অনেক কথাবার্তা বলার পরেও আমাকে বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ও করুনা এমন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকে আমি জয়লাভ করেছি।’
প্রসঙ্গত, সোহরাব উদ্দিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট। অন্যদিকে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৯৯ ভোট।
আরও পড়ুন:
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
৮ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে