শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
সারা দেশের মতো একসময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের খেজুরের রস সংগ্রহকারী গাছিদের ব্যস্ততাও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন সেই ব্যস্ততা আর নেই, নেই তাড়াও। থেমে গেছে খেজুর রস সংগ্রহ করে বিক্রির প্রতিযোগিতাও। দিন দিন কমে যাচ্ছে খেজুরগাছও। অনেক পুরোনো গাছগুলো থেকেও এখন আর বেশি রস মেলে না। লাগানো হয় না নতুন গাছ। পরিচর্যার অভাবে মারা যাচ্ছে এসব গাছ। বছরে একবার রস সংগ্রহের পর কেউ খোঁজ রাখে না এসব গাছের।
সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস। একসময় শীত এলেই এলাকার মানুষ খেজুরগাছ কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের সকালে কে কার আগে খেজুরগাছ কেটে প্রকৃতির উপহার খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারেন, সেই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়তেন। ছুটির দিনের শীতের সকালে খেজুর রসে তৈরি নানা পিঠা-পায়েস ছিল সব শ্রেণির মানুষের পছন্দের খাবার।
২৫/৩০ বছর আগেও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার শত শত খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করতেন গাছিরা। কিন্তু বিগত ২০ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, গাছ কেটে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে দেখা দিয়েছে খেজুরগাছের সংকট। এখন গাছ নেই বললেই চলে। তাই খেজুরের রস আর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের আওলাদ হক জানান, এখন আগের মতো খেজুরগাছ পাওয়া যায় না। দু-একটা গাছ থাকলেও সেই গাছ কাটতে কাউকে দেখি না। নিজের খেজুরগাছ না থাকায় পরের গাছ থেকে রস কিনে খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখন শহরে ঠান্ডা আর কুয়াশা কম থাকায় রসও আগের মতো মিষ্টি হয় না।
আটি গ্রামের মোবারক খন্দকার বলেন, ‘শীত এলেই আমার মন রস খুঁজে বেড়ায়। ছোটবেলা থেকে খেজুরের রস খাওয়ার অভ্যাস। এর স্বাদই আলাদা। এই রসের যে একটি মিষ্টি গন্ধ আছে, যেটি অন্য কোনো রসে নেই। ছোটবেলায় শীতের সকালে নিজেদের গাছের রস খেতাম। বাড়ি করার কারণে অনেক আগেই বাবা গাছগুলো কেটে ফেলেন। তাই এখন প্রতি গ্লাস ৪০ টাকা করে কিনে খেতে হচ্ছে।’
ফরিদপুর থেকে আসা গাছি জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ মাসের জন্য এখানে গাছ কাটতে আসি। আগে অনেক গাছ ছিল। ধীরে ধীরে অনেক গাছ মরে গেছে, এখন প্রায় ৩৪টি গাছ আছে, যেগুলো থেকে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা মিলিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ লিটার রস সংগ্রহ করি। প্রতিটি গাছে নেট দেওয়া আছে, যাতে রসে কোনো ময়লা না পড়ে। গাছ থেকে রস নামানোর পর রস ছেঁকে তারপর বিক্রি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখানে প্রতিদিনের রস প্রতিদিন শেষ হয়। অনেকে দূর থেকে নিতে আসে কিন্তু রস দিতে পারি না। ফিরিয়ে দিতে হয়। তাই এখন সবাইকে বলি ফোন করে অর্ডার দিয়ে আসতে, তাহলে আর ফিরে যেতে হবে না। বছরে এই তিন মাস শুধু আমি এই ব্যবসা করি, বাকি মাসগুলো গ্রামে অটো চালাই।’
সারা দেশের মতো একসময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের খেজুরের রস সংগ্রহকারী গাছিদের ব্যস্ততাও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন সেই ব্যস্ততা আর নেই, নেই তাড়াও। থেমে গেছে খেজুর রস সংগ্রহ করে বিক্রির প্রতিযোগিতাও। দিন দিন কমে যাচ্ছে খেজুরগাছও। অনেক পুরোনো গাছগুলো থেকেও এখন আর বেশি রস মেলে না। লাগানো হয় না নতুন গাছ। পরিচর্যার অভাবে মারা যাচ্ছে এসব গাছ। বছরে একবার রস সংগ্রহের পর কেউ খোঁজ রাখে না এসব গাছের।
সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস। একসময় শীত এলেই এলাকার মানুষ খেজুরগাছ কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের সকালে কে কার আগে খেজুরগাছ কেটে প্রকৃতির উপহার খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারেন, সেই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়তেন। ছুটির দিনের শীতের সকালে খেজুর রসে তৈরি নানা পিঠা-পায়েস ছিল সব শ্রেণির মানুষের পছন্দের খাবার।
২৫/৩০ বছর আগেও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার শত শত খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করতেন গাছিরা। কিন্তু বিগত ২০ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, গাছ কেটে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে দেখা দিয়েছে খেজুরগাছের সংকট। এখন গাছ নেই বললেই চলে। তাই খেজুরের রস আর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের আওলাদ হক জানান, এখন আগের মতো খেজুরগাছ পাওয়া যায় না। দু-একটা গাছ থাকলেও সেই গাছ কাটতে কাউকে দেখি না। নিজের খেজুরগাছ না থাকায় পরের গাছ থেকে রস কিনে খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখন শহরে ঠান্ডা আর কুয়াশা কম থাকায় রসও আগের মতো মিষ্টি হয় না।
আটি গ্রামের মোবারক খন্দকার বলেন, ‘শীত এলেই আমার মন রস খুঁজে বেড়ায়। ছোটবেলা থেকে খেজুরের রস খাওয়ার অভ্যাস। এর স্বাদই আলাদা। এই রসের যে একটি মিষ্টি গন্ধ আছে, যেটি অন্য কোনো রসে নেই। ছোটবেলায় শীতের সকালে নিজেদের গাছের রস খেতাম। বাড়ি করার কারণে অনেক আগেই বাবা গাছগুলো কেটে ফেলেন। তাই এখন প্রতি গ্লাস ৪০ টাকা করে কিনে খেতে হচ্ছে।’
ফরিদপুর থেকে আসা গাছি জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ মাসের জন্য এখানে গাছ কাটতে আসি। আগে অনেক গাছ ছিল। ধীরে ধীরে অনেক গাছ মরে গেছে, এখন প্রায় ৩৪টি গাছ আছে, যেগুলো থেকে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা মিলিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ লিটার রস সংগ্রহ করি। প্রতিটি গাছে নেট দেওয়া আছে, যাতে রসে কোনো ময়লা না পড়ে। গাছ থেকে রস নামানোর পর রস ছেঁকে তারপর বিক্রি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখানে প্রতিদিনের রস প্রতিদিন শেষ হয়। অনেকে দূর থেকে নিতে আসে কিন্তু রস দিতে পারি না। ফিরিয়ে দিতে হয়। তাই এখন সবাইকে বলি ফোন করে অর্ডার দিয়ে আসতে, তাহলে আর ফিরে যেতে হবে না। বছরে এই তিন মাস শুধু আমি এই ব্যবসা করি, বাকি মাসগুলো গ্রামে অটো চালাই।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই হ্যাকারের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে বিপুল ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এই হ্যাকারদের বিরুদ্ধে এলাকার জন্য বরাদ্দ বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন দপ্তরের ভাতা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
৩ মিনিট আগেযোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তাজবিউল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১০ মিনিট আগেদিনাজপুরের বিরামপুর রেলস্টেশনে চলন্ত ট্রেনে ওঠার সময় পা পিছলে পড়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আশরাফুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের একটি হাত ও একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শনিবার (১৭ মে) বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুড়ইল বিলসংলগ্ন বুড়িতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে