Ajker Patrika

ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের শঙ্কা

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ০৭
ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের শঙ্কা

পবিত্র ঈদুল ফিতরে গ্রামে ফিরতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তির আশা নেই। কারণ, সংস্কারকাজ চলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিসহ কুমিল্লার কয়েকটি স্থানে যানজট হচ্ছে। যানজটের কারণে মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলকারী নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ। 

জানা যায়, মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে যানজটের কারণে এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগছে। ঈদযাত্রায় এ অংশে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছেন, এবার করোনার প্রকোপ কম। বেশিসংখ্যক মানুষ ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর, হাসানপুর এলাকায় চার লেনের সংস্কারকাজের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংস্কারকাজ চলাকালীন চার লেনের যানবাহনগুলো দুই লেনে চলাচল করেছে। এ সময় ভিআইপিদের গাড়ি ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও যাত্রীবাহী যানবাহন নিয়ম লঙ্ঘন করে চলাচল করে। এতে মহাসড়কের ওই অংশে যানজট সৃষ্টি হয়। অনেক সময় সংস্কার এলাকার কয়েক কিলোমিটারে সৃষ্টি হওয়া যানজট ধীরে ধীরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও কুমিল্লার দিকে চান্দিনা এলাকা পর্যন্ত পৌঁছায়। 

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, কুমিল্লা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে এক বছর মেয়াদি চার লেনের পরীক্ষামূলক সংস্কারকাজ গত বছরের নভেম্বর মাসে চান্দিনা উপজেলা থেকে শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সংস্কারকাজটি পুরোদমে চালু হয়। বিটুমিন ও পাথর ভারত থেকে হিলি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে আনার কারণে মাঝেমধ্যে সংকট দেখা দেয়। তখন সংস্কারকাজ বন্ধ রাখতে হয়। তা ছাড়া বৃষ্টি ও অতিরিক্ত রোদের কারণেও মাঝেমধ্যে সংস্কারকাজ বন্ধ রাখতে হয়। তবে ঘোষণা না দিলেও যানজট এড়াতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই সংস্কারকাজ বন্ধ রাখতে হবে। 

এ বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহাসড়কের সংস্কারকাজের সময় চার লেনের যানবাহনগুলো দুই লেনে চলাচল করে। তখন কিছু চালক নিয়ম ভেঙে আগে যাওয়ার চেষ্টা করলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। 

ওসি আরও বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে আমাদের হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।’ 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার হরিপুর জব্বার ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে উচাখিলা-ত্রিশাল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত দম্পতির নাতি রিফাত (৫) ও অটোরিকশাচালক বাদল মিয়াসহ (৩২) তিনজন আহত হন।

নিহতরা হলেন মো. এবাদুল হক মণ্ডল (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুন (৫০)। নিহত এবাদুল হক মণ্ডল উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ভালুকার নগরবাড়ী এলাকায় কটন গ্রুপে ডাইনিং হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরের দিকে ত্রিশাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এই দম্পতি নাতিকে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দাখিলের দিকে যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় এলে অটোরিকশাটির সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি সড়কের পাশা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মো. এবাদুল হক নিহত হন। তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক মণ্ডল বলেন, ‘এবাদুল হক তার স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে তার অসুস্থ মাকে দেখতে আসছিল। বাড়ি আসার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নাতি রিফাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

‎২৮ বছরে সাড়ে ১২ লাখ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করেছে বাঁধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজভিত্তিক দেশের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ গত ২৮ বছরে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ব্যাগ রক্ত বিনা মূল্যে সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া বিনা মূল্যে ২৬ লাখ ৩ হাজার ৯৪৭ জন মানুষকে রক্তের গ্রুপ জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬১টি জেলার ৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হচ্ছে বাঁধন। ‎

আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।

আজ বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে উদ্‌যাপন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় র‍্যালি করেন সংগঠনটির কর্মীরা। এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদসহ বাঁধনের উপদেষ্টা ও বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।

সংগঠনটির এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘আটাশের আহ্বান, নিঃস্বার্থ হোক রক্তদান’।

র‍্যালি শুরুর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাঁধন দীর্ঘ ২৮ বছর পারি দিয়েছে। এই ২৮ বছর ধরে সংগঠনটি স্বেচ্ছায় মানবতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধন মানবতার কাজে আরও এগিয়ে আসুক।

‎বাঁধন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান রিন্টু বলেন, ‘গত ২৮ বছরে আমরা যদিও প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ব্যাগ রক্ত বিনা মূল্যে সরবরাহ করেছি, কিন্তু আমাদের সংগঠনের সবচেয়ে বড় অবদান বলতে পারি—রক্তদানে মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা। দেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণদের এবং রক্তদানে সক্ষম সুস্থ মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে পেরেছি। তাই এখন প্রতিবছর দেশে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করছে।’

‎‎বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি এস এম কামরুজ্জামান কাফি ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ রেযা জুনাইদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধন কর্মীসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা।

‎১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল থেকে যাত্রা শুরু করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন। স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, অন্যান্য সেবা ও সচেতনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে বাঁধন।

এর পাশাপাশি গত বছর বন্যায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চাঁদপুরসহ সাতক্ষীরা এলাকায় ৭ হাজার ৫০০টির বেশি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সহযোগিতা করেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া চলতি বছর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠন করে রক্তদান করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অতীতের আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বংশাল ও মোহাম্মদপুর থানার নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন সেন্টারের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতা-কর্মীরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বংশাল থানার কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত আজকের পত্রিকাকে জানান, দুটি থানার কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাদের থামাতে গিয়েছিল অনেকে। পরে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

আর্থিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি নিশ্চিত না।’

এনসিপির ঢাকা মহানগরীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতার মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন।

অভিযোগ রয়েছে, রিয়ান বংশালের নেতাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন। এর পর থেকে রিয়ানের কাছে টাকা ফেরত চাইতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বংশালের নেতারা। আজ কনভেনশন হলে রিয়ানের মুখোমুখি হন বংশালের নেতারা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অষ্টগ্রামে খেলার সময় বিলে পড়ে ৩ শিশুর মৃত্যু, পরিবারে শোকের ছায়া

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বাড়ি সামনে খেলা করার সময় বিলের পানিতে পড়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত শিশুরা হলেন দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর গ্রামের মাইন্না বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মিশকাত (৫), মাসুক মিয়ার ছেলে মাহিন (৬) ও সাত্তার মিয়ার ছেলে তানিল মিয়া (৫)।

স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে আলীনগর পশ্চিমপাড়া মাইন্না বাড়ির তানিল, মাহিন ও মিশকাত—তিন শিশু মিলে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু পানিতে পড়ে ডুবে যায়।

দীর্ঘ সময় শিশুদের দেখতে না পেয়ে স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়িসংলগ্ন উত্তর দিকের বিলের পানিতে খোঁজতে গিয়ে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু, কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্য জনকে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুঃখজনক খবর। একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত