বাপ্পী শাহরিয়ার (চকরিয়া) কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বন্যার পানি কমে গেছে। এখনো ১২টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, গোখাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেত তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য, কৃষি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সড়কের (মিনি বাজার রোড) তিন কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রপার কাকারায় ১০০ মিটার সড়ক নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। শান্তিবাজার-ইয়াংছা সড়কের অসংখ্য জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বমুবিলছড়ি, চিরিংগা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের চিত্র ভেসে উঠছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কাকারা মিনিবাজারের বাসিন্দা আব্দু রাজ্জাক বলেন, ‘চার দিন ধরে বন্যার পানিতে বন্দিজীবন পার করেছি। এখন পানি নামছে, দুর্ভোগ দ্বিগুণ হচ্ছে। মিনি বাজার সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক অংশে দেবেও গেছে। প্রতিবছর বন্যার পানিতে পুরো চকরিয়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি বেড়িবাঁধ।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও মানুষ চুলায় আগুন জালাতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জরুরিভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি করছি।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার ৫ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬৪২টি চিংড়িঘের ও ৯৪২ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৫ হাজার ৬৮২টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ২২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৬২ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার পানিতে ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় এলজিইডির আওতাধীন ৪২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাকারা, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, হারবাং ও পূর্ব বড় ভেওলায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধসে গেছে।’

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বন্যার পানি কমে গেছে। এখনো ১২টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, গোখাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেত তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য, কৃষি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সড়কের (মিনি বাজার রোড) তিন কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রপার কাকারায় ১০০ মিটার সড়ক নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। শান্তিবাজার-ইয়াংছা সড়কের অসংখ্য জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বমুবিলছড়ি, চিরিংগা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের চিত্র ভেসে উঠছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কাকারা মিনিবাজারের বাসিন্দা আব্দু রাজ্জাক বলেন, ‘চার দিন ধরে বন্যার পানিতে বন্দিজীবন পার করেছি। এখন পানি নামছে, দুর্ভোগ দ্বিগুণ হচ্ছে। মিনি বাজার সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক অংশে দেবেও গেছে। প্রতিবছর বন্যার পানিতে পুরো চকরিয়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি বেড়িবাঁধ।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও মানুষ চুলায় আগুন জালাতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জরুরিভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি করছি।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার ৫ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬৪২টি চিংড়িঘের ও ৯৪২ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৫ হাজার ৬৮২টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ২২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৬২ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার পানিতে ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় এলজিইডির আওতাধীন ৪২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাকারা, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, হারবাং ও পূর্ব বড় ভেওলায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধসে গেছে।’
বাপ্পী শাহরিয়ার (চকরিয়া) কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বন্যার পানি কমে গেছে। এখনো ১২টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, গোখাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেত তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য, কৃষি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সড়কের (মিনি বাজার রোড) তিন কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রপার কাকারায় ১০০ মিটার সড়ক নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। শান্তিবাজার-ইয়াংছা সড়কের অসংখ্য জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বমুবিলছড়ি, চিরিংগা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের চিত্র ভেসে উঠছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কাকারা মিনিবাজারের বাসিন্দা আব্দু রাজ্জাক বলেন, ‘চার দিন ধরে বন্যার পানিতে বন্দিজীবন পার করেছি। এখন পানি নামছে, দুর্ভোগ দ্বিগুণ হচ্ছে। মিনি বাজার সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক অংশে দেবেও গেছে। প্রতিবছর বন্যার পানিতে পুরো চকরিয়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি বেড়িবাঁধ।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও মানুষ চুলায় আগুন জালাতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জরুরিভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি করছি।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার ৫ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬৪২টি চিংড়িঘের ও ৯৪২ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৫ হাজার ৬৮২টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ২২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৬২ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার পানিতে ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় এলজিইডির আওতাধীন ৪২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাকারা, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, হারবাং ও পূর্ব বড় ভেওলায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধসে গেছে।’

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বন্যার পানি কমে গেছে। এখনো ১২টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, গোখাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেত তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য, কৃষি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সড়কের (মিনি বাজার রোড) তিন কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রপার কাকারায় ১০০ মিটার সড়ক নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। শান্তিবাজার-ইয়াংছা সড়কের অসংখ্য জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বমুবিলছড়ি, চিরিংগা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের চিত্র ভেসে উঠছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কাকারা মিনিবাজারের বাসিন্দা আব্দু রাজ্জাক বলেন, ‘চার দিন ধরে বন্যার পানিতে বন্দিজীবন পার করেছি। এখন পানি নামছে, দুর্ভোগ দ্বিগুণ হচ্ছে। মিনি বাজার সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক অংশে দেবেও গেছে। প্রতিবছর বন্যার পানিতে পুরো চকরিয়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি বেড়িবাঁধ।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও মানুষ চুলায় আগুন জালাতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জরুরিভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি করছি।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার ৫ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬৪২টি চিংড়িঘের ও ৯৪২ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৫ হাজার ৬৮২টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ২২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৬২ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার পানিতে ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় এলজিইডির আওতাধীন ৪২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাকারা, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, হারবাং ও পূর্ব বড় ভেওলায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধসে গেছে।’

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
৩ মিনিট আগে
খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ।
১০ মিনিট আগে
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, শনিবার সারা রাত ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে স্টেশনের রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এমনকি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে ছিল। তাই বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছেড়েছে।

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, শনিবার সারা রাত ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে স্টেশনের রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এমনকি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে ছিল। তাই বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছেড়েছে।

উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
১০ আগস্ট ২০২৩
খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ।
১০ মিনিট আগে
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ। এ সময় খুলনা জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান, জেলার মুনীর হোসাইনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে বন্দীদের নতুন ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল গত শনিবার (২৫ অক্টোবর)। কিন্তু খুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এই কার্যক্রম এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে মাটি ভরাটের কিছু কাজ হলেও পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, ‘আজ শনিবার নতুন কারাগারে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বন্দী সেখানে নেওয়া হবে। এ ছাড়া যশোর জেল থেকেও কিছু সাজাপ্রাপ্ত বন্দী নতুন কারাগারে আনা হবে। ফলে খুলনা ও যশোরের কারাগার কিছুটা চাপমুক্ত হবে।’
কারা সূত্র জানায়, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরোনো (বর্তমান) কারাগারেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে নতুন কারাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া বর্তমান জেলখানা ঘাট এলাকায় থাকা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
খুলনায় দুটি কারাগার চলমান রাখার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগির এটি গেজেট হিসেবে প্রকাশ করা হলে পৃথক নামে দুটি কারাগার আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, কার্যক্রম শুরু হলে দুই কারাগারে জেল সুপার ও জেলার আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এখন বর্তমান কর্মকর্তারা দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ভৈরব নদের তীরে ১১৩ বছরের পুরোনো খুলনা কারাগারে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী আছেন। সেখানে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দীদের। তাই খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কের জয় বাংলা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ হাজার বন্দী থাকতে পারবেন। তবে আপাতত ২ হাজার বন্দী রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। পরে প্রয়োজন পড়লে পৃথক প্রকল্প নিয়ে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

এই নতুন কারাগার নির্মাণের প্রকল্প ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৪৪ কোটি টাকা। স্থান নির্ধারণ, জমি অধিগ্রহণসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে। এরপর ২০১৭ সালে প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫১ কোটি টাকা এবং কাজ শেষের লক্ষ্য নেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০ জুন। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০২৩ সালে ফের প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে হয় ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সময় বাড়ানো হয় আটবার।
প্রকল্প অফিস থেকে জানা গেছে, নতুন এই কারাগার নির্মাণ করা হচ্ছে সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দীদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্ক শেড থাকছে। একইভাবে বন্দীদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকবে। আরও থাকবে কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল গ্রন্থাগার, খাবারের কক্ষ, আধুনিক সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দীদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এই ওয়ার্ডে সাধারণ নারী বন্দী থাকতে পারবেন না। সেখানে শিশুদের জন্য লেখাপড়া, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতিচর্চার ব্যবস্থা থাকবে। কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দীদের হস্তশিল্পের কাজের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্ক শেড, বিনোদনকেন্দ্র ও নামাজের ঘর থাকবে।
কারা সূত্র জানায়, বন্দীদের প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে পৃথক সীমানা প্রাচীর রয়েছে। একশ্রেণির বন্দীদের অন্য শ্রেণির বন্দীর সঙ্গে মেশার সুযোগ নেই। ভেতরে শুধু প্রাচীর রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ড্রেন, ফুটপাত, পয়োবর্জ্য শোধনকেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, দুটি পুকুর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাটি ভরাটের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ ছাড়াও কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ। এ সময় খুলনা জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান, জেলার মুনীর হোসাইনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে বন্দীদের নতুন ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল গত শনিবার (২৫ অক্টোবর)। কিন্তু খুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এই কার্যক্রম এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে মাটি ভরাটের কিছু কাজ হলেও পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, ‘আজ শনিবার নতুন কারাগারে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বন্দী সেখানে নেওয়া হবে। এ ছাড়া যশোর জেল থেকেও কিছু সাজাপ্রাপ্ত বন্দী নতুন কারাগারে আনা হবে। ফলে খুলনা ও যশোরের কারাগার কিছুটা চাপমুক্ত হবে।’
কারা সূত্র জানায়, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরোনো (বর্তমান) কারাগারেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে নতুন কারাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া বর্তমান জেলখানা ঘাট এলাকায় থাকা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
খুলনায় দুটি কারাগার চলমান রাখার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগির এটি গেজেট হিসেবে প্রকাশ করা হলে পৃথক নামে দুটি কারাগার আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, কার্যক্রম শুরু হলে দুই কারাগারে জেল সুপার ও জেলার আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এখন বর্তমান কর্মকর্তারা দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ভৈরব নদের তীরে ১১৩ বছরের পুরোনো খুলনা কারাগারে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী আছেন। সেখানে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দীদের। তাই খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কের জয় বাংলা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ হাজার বন্দী থাকতে পারবেন। তবে আপাতত ২ হাজার বন্দী রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। পরে প্রয়োজন পড়লে পৃথক প্রকল্প নিয়ে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

এই নতুন কারাগার নির্মাণের প্রকল্প ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৪৪ কোটি টাকা। স্থান নির্ধারণ, জমি অধিগ্রহণসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে। এরপর ২০১৭ সালে প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫১ কোটি টাকা এবং কাজ শেষের লক্ষ্য নেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০ জুন। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০২৩ সালে ফের প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে হয় ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সময় বাড়ানো হয় আটবার।
প্রকল্প অফিস থেকে জানা গেছে, নতুন এই কারাগার নির্মাণ করা হচ্ছে সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দীদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্ক শেড থাকছে। একইভাবে বন্দীদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকবে। আরও থাকবে কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল গ্রন্থাগার, খাবারের কক্ষ, আধুনিক সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দীদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এই ওয়ার্ডে সাধারণ নারী বন্দী থাকতে পারবেন না। সেখানে শিশুদের জন্য লেখাপড়া, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতিচর্চার ব্যবস্থা থাকবে। কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দীদের হস্তশিল্পের কাজের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্ক শেড, বিনোদনকেন্দ্র ও নামাজের ঘর থাকবে।
কারা সূত্র জানায়, বন্দীদের প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে পৃথক সীমানা প্রাচীর রয়েছে। একশ্রেণির বন্দীদের অন্য শ্রেণির বন্দীর সঙ্গে মেশার সুযোগ নেই। ভেতরে শুধু প্রাচীর রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ড্রেন, ফুটপাত, পয়োবর্জ্য শোধনকেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, দুটি পুকুর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাটি ভরাটের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ ছাড়াও কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
১০ আগস্ট ২০২৩
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
৩ মিনিট আগে
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং ২০২৪ সালের পরাজিত শত্রুরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জের বড় বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা—সবকিছু নির্ভর করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার, নারীর শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপির উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক কে এম বাবর আলী, সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দারা, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব মো. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান প্রমুখ।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং ২০২৪ সালের পরাজিত শত্রুরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জের বড় বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা—সবকিছু নির্ভর করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার, নারীর শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপির উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক কে এম বাবর আলী, সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দারা, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব মো. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান প্রমুখ।

উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
১০ আগস্ট ২০২৩
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
৩ মিনিট আগে
খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ।
১০ মিনিট আগে
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
১০ আগস্ট ২০২৩
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
৩ মিনিট আগে
খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ।
১০ মিনিট আগে
সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
১ ঘণ্টা আগে