লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৯ বছরের তরুণ খালেদ মাহমুদ সুজন। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর শহরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। শরীরে বিদ্ধ হওয়া আটটি বুলেট নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সুজন। চিকিৎসক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিতে হবে। তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তাঁর পরিবার। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেধাবী কলেজছাত্রের বেঁচে থাকা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা এলাকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শাহীন কাদিরের ছেলে সুজন। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী। তাঁর ছোট দুই ভাই সোহান হোসেন ও শিহাব হোসেন। সোহান হোসেনও বাবার মতো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। আর শিহাব অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। পাঁচ সদস্যের এ সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সুজন। পরিবার ও নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে খণ্ডকালীন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন সুজন।
সুজনের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় গত ৪ আগস্ট আন্দোলন চলছিল। সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সুজন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে সজুনসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় মারা যান চার শিক্ষার্থী।
গুলিবিদ্ধ সুজনকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর পরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশনের মাধ্যমে দুটি গুলি বের করা হয়। এখনো তাঁর ঘাড়, গলায়, ফুসফুসসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আটটি গুলি রয়েছে। যেগুলো এখনো বের করা সম্ভব হয়নি।
আজ বুধবার বিকেলে সুজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ সুজনকে কফিল উদ্দিন ও আজাদ চৌধুরী নামের দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে ঘর থেকে বের করছেন। কোনোভাবেই সুজন দাঁড়াতে পারছেন না। পাশে তাঁর বাবা ও ছোট ভাই সোহান দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
সেই দিনের বর্বরতার বর্ণনা দিয়ে সুজন বলেন, ‘৪ আগস্ট দুপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি বুলেট প্রবেশ করে। অপারেশনে দুটি গুলি বের করলেও আটটি এখনো শরীরের ভেতর রয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। এখনো সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পাইনি। স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সবার সহযোগিতা চাই।’
সুজনের স্বজন কফিল উদ্দিন ও আজাদ চৌধুরী তাঁকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
ঘটনার দিন সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘সুজনের দেশে এই চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। প্রতিটি গুলি খুব ক্রিটিক্যাল। গুলির কারণে শরীরে ইনফেকশন দেখা দেবে। তাই বিদেশেই উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শরীর থেকে গুলিগুলো বের করলেই তার জীবন বাঁচানো সম্ভব। যেকোনো সময় শরীরের ভেতরে গুলিগুলো বিস্ফোরিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।’
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রদের ওপর গুলি বর্ষণকারীরা ছাড় পাবে না, তাদের ধরতে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। অপরাধী যতই বড় বা শক্তিশালী হোক না কেন, ধরা পড়তে হবেই।’
জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ‘হতাহত শিক্ষার্থীদের পাশে জেলা প্রশাসন সব সময় আছে, থাকবে। পাশাপাশি যারা তাদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে, কেউ রেহাই পাবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। উদ্ধার করা হবে অবৈধ সব অস্ত্র। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
১৯ বছরের তরুণ খালেদ মাহমুদ সুজন। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর শহরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। শরীরে বিদ্ধ হওয়া আটটি বুলেট নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সুজন। চিকিৎসক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিতে হবে। তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তাঁর পরিবার। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেধাবী কলেজছাত্রের বেঁচে থাকা।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা এলাকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শাহীন কাদিরের ছেলে সুজন। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী। তাঁর ছোট দুই ভাই সোহান হোসেন ও শিহাব হোসেন। সোহান হোসেনও বাবার মতো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। আর শিহাব অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। পাঁচ সদস্যের এ সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সুজন। পরিবার ও নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে খণ্ডকালীন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন সুজন।
সুজনের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় গত ৪ আগস্ট আন্দোলন চলছিল। সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সুজন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে সজুনসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় মারা যান চার শিক্ষার্থী।
গুলিবিদ্ধ সুজনকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর পরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশনের মাধ্যমে দুটি গুলি বের করা হয়। এখনো তাঁর ঘাড়, গলায়, ফুসফুসসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আটটি গুলি রয়েছে। যেগুলো এখনো বের করা সম্ভব হয়নি।
আজ বুধবার বিকেলে সুজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ সুজনকে কফিল উদ্দিন ও আজাদ চৌধুরী নামের দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে ঘর থেকে বের করছেন। কোনোভাবেই সুজন দাঁড়াতে পারছেন না। পাশে তাঁর বাবা ও ছোট ভাই সোহান দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
সেই দিনের বর্বরতার বর্ণনা দিয়ে সুজন বলেন, ‘৪ আগস্ট দুপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি বুলেট প্রবেশ করে। অপারেশনে দুটি গুলি বের করলেও আটটি এখনো শরীরের ভেতর রয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। এখনো সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পাইনি। স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সবার সহযোগিতা চাই।’
সুজনের স্বজন কফিল উদ্দিন ও আজাদ চৌধুরী তাঁকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
ঘটনার দিন সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘সুজনের দেশে এই চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। প্রতিটি গুলি খুব ক্রিটিক্যাল। গুলির কারণে শরীরে ইনফেকশন দেখা দেবে। তাই বিদেশেই উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শরীর থেকে গুলিগুলো বের করলেই তার জীবন বাঁচানো সম্ভব। যেকোনো সময় শরীরের ভেতরে গুলিগুলো বিস্ফোরিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।’
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রদের ওপর গুলি বর্ষণকারীরা ছাড় পাবে না, তাদের ধরতে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। অপরাধী যতই বড় বা শক্তিশালী হোক না কেন, ধরা পড়তে হবেই।’
জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ‘হতাহত শিক্ষার্থীদের পাশে জেলা প্রশাসন সব সময় আছে, থাকবে। পাশাপাশি যারা তাদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে, কেউ রেহাই পাবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। উদ্ধার করা হবে অবৈধ সব অস্ত্র। এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) দরপত্রের মাধ্যমে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দিপু ফরাজি ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বাঁধ সংস্কারের ঠিকাদারি কাজ পান। উপজেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে তাঁদের বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
৩০ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
৪৩ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
১ ঘণ্টা আগে