সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
পাহাড়, বিস্তৃত উপত্যকায় ঘেরা ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত খাগড়াছড়ি জেলায় সংসদীয় আসন একটিই। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এ আসনের রাজনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠ ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা করছেন নানা হোমওয়ার্ক। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক আগ্রহ। শেষ পর্যন্ত কে হবেন এলাকার কর্ণধার, সেটিই এখন তাঁদের ভাবনার মূল বিষয়।
তবে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পার্বত্য এলাকার হিসাব-নিকাশ বরাবরই আলাদা। ভিন্ন বাস্তবতার কারণে এখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ জটিল। সমতলে লড়াইটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পার্বত্য এলাকায় তা নয়। এখানে আঞ্চলিক সংগঠনেরও বেশ প্রভাব রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর হবে আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত
বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তাই কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, তা অনেকটা নির্ভর করবে আঞ্চলিক দলটির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনের ওপর।
পরিসংখ্যান বলছে, নব্বই-পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় এই আসনে আওয়ামী লীগ জিতেছে পাঁচবার এবং বিএনপি জিতেছে মাত্র একবার।
বর্তমানে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এবারও তাঁর ওপরই আস্থা রাখতে চান দলটির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামনের নির্বাচনেও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এর আগে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ওপরই আমাদের ভরসা। তাঁর কোনো বিকল্প নেই।’
একই সুরে কথা বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চাকমা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান এমপির নেতৃত্বে খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, তাঁকে মনোনয়ন দিলেই দল খাগড়াছড়ির আসনটিতে জয়ী হবে।’
তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চাইবেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কংজরী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি এবারও দলের মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। না দিলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং পানছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমাও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে জেলা বিএনপিতে দৃশ্যত কোনো বিরোধ নেই। ২০০১ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া। তাঁর নেতৃত্বে এককাট্টা জেলা বিএনপি। তিনি বিএনপির শাসনামলে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। কবে সরকার বিদায় হবে, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। এই সরকারের অধীনে যেহেতু আমরা নির্বাচনে যাব না, সে ক্ষেত্রে প্রার্থী দেওয়ার প্রশ্নও আসে না।’
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ভোটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইউপিডিএফ নির্বাচনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় বিপুল ভোটার থাকলেও সেসব স্থানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রভাব কম। ফলে ভোটের ব্যবধান গড়ে দেবে দুর্গম পাহাড়ি-অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলো। তাই আগামী নির্বাচনে ইউপিডিএফ যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেই বিষয়ে দ্বিধা নেই। বিগত সংসদ নির্বাচনেও ইউপিডিএফ বিপুল ভোট পেয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলের প্রার্থীকে জয়ের সম্ভাব্য তালিকা থেকে বাদ রাখাটা কঠিন।
সংগঠনটির জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘দলের যেহেতু নিবন্ধন নেই, সে ক্ষেত্রে আমরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করব। পাহাড়িদের অধিকারের কথা বলার জন্য, সংসদে যাওয়ার জন্য আমরা নির্বাচন করব। তবে এখনো আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করিনি।’
পাহাড়, বিস্তৃত উপত্যকায় ঘেরা ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত খাগড়াছড়ি জেলায় সংসদীয় আসন একটিই। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এ আসনের রাজনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠ ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা করছেন নানা হোমওয়ার্ক। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক আগ্রহ। শেষ পর্যন্ত কে হবেন এলাকার কর্ণধার, সেটিই এখন তাঁদের ভাবনার মূল বিষয়।
তবে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পার্বত্য এলাকার হিসাব-নিকাশ বরাবরই আলাদা। ভিন্ন বাস্তবতার কারণে এখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ জটিল। সমতলে লড়াইটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পার্বত্য এলাকায় তা নয়। এখানে আঞ্চলিক সংগঠনেরও বেশ প্রভাব রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর হবে আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত
বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তাই কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, তা অনেকটা নির্ভর করবে আঞ্চলিক দলটির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনের ওপর।
পরিসংখ্যান বলছে, নব্বই-পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় এই আসনে আওয়ামী লীগ জিতেছে পাঁচবার এবং বিএনপি জিতেছে মাত্র একবার।
বর্তমানে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এবারও তাঁর ওপরই আস্থা রাখতে চান দলটির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামনের নির্বাচনেও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এর আগে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ওপরই আমাদের ভরসা। তাঁর কোনো বিকল্প নেই।’
একই সুরে কথা বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চাকমা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান এমপির নেতৃত্বে খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, তাঁকে মনোনয়ন দিলেই দল খাগড়াছড়ির আসনটিতে জয়ী হবে।’
তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চাইবেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কংজরী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি এবারও দলের মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। না দিলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং পানছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমাও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে জেলা বিএনপিতে দৃশ্যত কোনো বিরোধ নেই। ২০০১ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া। তাঁর নেতৃত্বে এককাট্টা জেলা বিএনপি। তিনি বিএনপির শাসনামলে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। কবে সরকার বিদায় হবে, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। এই সরকারের অধীনে যেহেতু আমরা নির্বাচনে যাব না, সে ক্ষেত্রে প্রার্থী দেওয়ার প্রশ্নও আসে না।’
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ভোটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইউপিডিএফ নির্বাচনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় বিপুল ভোটার থাকলেও সেসব স্থানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রভাব কম। ফলে ভোটের ব্যবধান গড়ে দেবে দুর্গম পাহাড়ি-অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলো। তাই আগামী নির্বাচনে ইউপিডিএফ যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেই বিষয়ে দ্বিধা নেই। বিগত সংসদ নির্বাচনেও ইউপিডিএফ বিপুল ভোট পেয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলের প্রার্থীকে জয়ের সম্ভাব্য তালিকা থেকে বাদ রাখাটা কঠিন।
সংগঠনটির জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘দলের যেহেতু নিবন্ধন নেই, সে ক্ষেত্রে আমরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করব। পাহাড়িদের অধিকারের কথা বলার জন্য, সংসদে যাওয়ার জন্য আমরা নির্বাচন করব। তবে এখনো আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করিনি।’
সৈয়দপুরে শিক্ষার্থী ইয়াসিন (১৯) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়। এ সময় এক ঘণ্টা সৈয়দপুর-পার্বতীপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
৬ মিনিট আগেসাত মাস আগে পারিবারিকভাবে এক সৌদিপ্রবাসীর সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ভিডিও কলে বিয়ে হয়েছিল ২০ বছরের এক তরুণীর। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন সেই বর। তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছে, দেশে ফিরে বউ পছন্দ হয়নি বলে বেঁকে বসেন বর। পরে ঘরে তোলার শর্তে বর তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন। তরুণীর পরিবারের আরও
২৯ মিনিট আগেরাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আটজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একযোগে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর রায়পুরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি বসতবাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি একনলা বন্দুক, ১০টি বুলেট সিসা কার্তুজ, তিন রাউন্ড গুলি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ১৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে