Ajker Patrika

রায়পুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি মারা গেছেন

লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি 
কিশোরগ্যাং সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।  ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগ্যাং সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (১৪ জুন) তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং সদস্য সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে অভিযুক্ত রহিম উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিহতের ভাই মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ চর আবাবিলের উদমারা এলাকায় জুয়ার আসর ও মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ৩ এপ্রিল স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

প্রথমে তাঁকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে সদর হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর শনিবার তিনি মারা যান।

কিশোরগ্যাং সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।  ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগ্যাং সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর আলম উদমারা সাহাদু উল্যা মাঝিবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মসজিদের আশপাশে মাদক ও জুয়া বন্ধে তাঁর ভূমিকার কারণেই কিশোর গ্যাংয়ের বিরাগভাজন হন তিনি। হামলায় নেতৃত্ব দেন কিশোর গ্যাং সদস্য জুবায়ের, বাহার ও সাব্বির।

এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রাজিয়া বেগম ৭ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং ১০ এপ্রিল মামলা রুজু হয়।

এর আগে একই এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় সুদেব শীল মনু নামে আরও একজন নিহত হন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করলেও থামেনি কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত