Ajker Patrika

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজন গ্রেপ্তার, দলে ছিল ১৯ জন

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৩০
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজন গ্রেপ্তার, দলে ছিল ১৯ জন

রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এপিবিএন পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লম্বাশিয়া লোহার ব্রিজ এলাকা থেকে একটি ওয়ান শুটারগানসহ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুর্শিদ আমিন, মো. আনাছ ও নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ শনিবার বেলা ১টায় ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার (এসপি) নাঈমুল হক সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে মোট ১৯ জন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। আজিজুল হকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এসপি নাঈমুল হক জানান, মুহিবুল্লাহকে গুলি করার সময় পাঁচজন অংশ নেয়। বাকিরা বাইরে পাহারায় ছিল। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে সন্ত্রাসীরা বৈঠক করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুর্শিদ আমিন, মো. আনাছ ও নুর মোহাম্মদএর আগে সন্দেহভাজন আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে কক্সবাজার আদালতে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামের এক রোহিঙ্গা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। 

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ (৪৮) নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বা আল-ইয়াকিনকে দায়ী করা হয়েছিল। এ সময় আরসার কয়েকজন অস্ত্রধারীর নাম প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত