নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র ও শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারির সময় গাদাগাদি করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাঁশখালি, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও কর্ণফুলী উপজেলার উপকূলে তিন লাখের বেশি মানুষ বসবাস করেন। এ ছয় উপকূলীয় জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ থেকে ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। গতবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় আশ্রয় নেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮১১ জন মানুষ। পাশাপাশি আশ্রয় নেয় প্রায় এক লাখ গবাদিপশুও।
ওই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি। অনেক সাইক্লোন সেন্টারে গাদাগাদি করে আশ্রয় নেন মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে এবারও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হবে বলে জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সবাইকে মাস্ক পড়ার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যতটা সম্ভব এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা। সম্ভব হলে সন্দেহভাজন রোগীদের আলাদা রাখার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইয়াস মোকাবিলায় জেলা উন্নয়ন সভায় স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। শুকনো খাবার পর্যাপ্ত মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এনজিও এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত পেলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং উপজেলা কমিটিগুলো নিয়ে বৈঠকে বসে বিস্তারিত কর্মপরিধি সাজাব।
আবহাওয়া অফিস সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলেছে।
গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হেনেছিল। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন খাতে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ওইসময়ে ২৮৪টি মেডিকেল টিম, চার হাজার ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র (প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলসহ) প্রস্তুত ছিল।
চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র ও শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারির সময় গাদাগাদি করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাঁশখালি, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও কর্ণফুলী উপজেলার উপকূলে তিন লাখের বেশি মানুষ বসবাস করেন। এ ছয় উপকূলীয় জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ থেকে ১২০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। গতবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় আশ্রয় নেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮১১ জন মানুষ। পাশাপাশি আশ্রয় নেয় প্রায় এক লাখ গবাদিপশুও।
ওই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি। অনেক সাইক্লোন সেন্টারে গাদাগাদি করে আশ্রয় নেন মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে এবারও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হবে বলে জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সবাইকে মাস্ক পড়ার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যতটা সম্ভব এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা। সম্ভব হলে সন্দেহভাজন রোগীদের আলাদা রাখার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইয়াস মোকাবিলায় জেলা উন্নয়ন সভায় স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। শুকনো খাবার পর্যাপ্ত মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এনজিও এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত পেলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং উপজেলা কমিটিগুলো নিয়ে বৈঠকে বসে বিস্তারিত কর্মপরিধি সাজাব।
আবহাওয়া অফিস সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলেছে।
গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হেনেছিল। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন খাতে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ওইসময়ে ২৮৪টি মেডিকেল টিম, চার হাজার ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র (প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলসহ) প্রস্তুত ছিল।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৭ মিনিট আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
১ ঘণ্টা আগে‘নতুন একটি রাজনৈতিক দল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছে, আমরা নাকি সংস্কার, অংশীদারত্বের রাজনীতি, গণ-অভ্যুত্থানে কোনো ভূমিকা রাখিনি। তোমরা নতুন ছাত্রদের দল, জামায়াতের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে তোমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না।’
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
১ ঘণ্টা আগে