Ajker Patrika

পুলিশের সহায়তায় ক্যাম্পাস ত্যাগ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার অধ্যক্ষের

কুমিল্লা প্রতিনিধি
ভিক্টোরিয়া কলেজ মসজিদে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভিক্টোরিয়া কলেজ মসজিদে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কলেজ ছেড়ে গেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাসার ভূঞা। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে তাঁকে ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বিষয়টি রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কলেজের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং দাবিগুলো পূরণে দুই কার্যদিবস সময়সীমা বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো আশ্বাস বা রোডম্যাপ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা সোমবার বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, সুস্পষ্ট আশ্বাস না পেয়ে তাঁরা ৯ দফা থেকে সরাসরি অধ্যক্ষের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে যান। তাঁদের দাবিগুলো ছিল—অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ডিগ্রি শাখার জন্য পৃথক আধুনিক ক্যাম্পাস, সিসিটিভি ও লাইটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার, মাদকসেবী ও বহিরাগত ঠেকাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি, বাস ও মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু, আবাসিক এলাকা ও হোটেল পাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, আধুনিক ওয়াশরুম ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনায় আলাদা ফান্ড এবং আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা। এসব দাবি নিয়ে সোমবার বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলাকালে তাঁরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষকে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে। শুরুতে পরীক্ষা ভবনে এবং পরে কলেজ মসজিদের ভেতরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। রাত ১০টার দিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছান। পরে পুলিশ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঞাকে কলেজ মসজিদ এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে তার বাসায় নিয়ে যায়।

কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ বলেন, ‘অধ্যক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, তিনি আর কলেজে ফিরবেন না। বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত আমি এখন থেকে রুটিন দায়িত্ব পালন করব।’

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রশাসনের নির্দেশে আমরা অধ্যক্ষকে রাত সোয়া ১১টার দিকে বাসায় পৌঁছে দিই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত