মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একসময়কার খরস্রোতা গোমতী নদীকে খাঁখাঁ বালুচরে পরিণত হতে দেখা গেছে। ভরা বর্ষায়ও কাঙ্ক্ষিত পানির দেখা পাওয়া যায়নি। কিন্তু চলতি বছর বর্ষার শুরুতে ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে যেন যৌবন ফিরে পেয়েছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী নদীটি। বর্তমানে গোমতীতে থইথই করছে পানি। এতে অবতারণা হয়েছে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের।
ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদীগুলোর একটি হলো গোমতী নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের ডুমুর নামক স্থানে উৎপত্তি হয়ে এঁকেবেঁকে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারত-বাংলাদেশের অন্যান্য যৌথ নদীর মতো গোমতীতেও বছরের অধিকাংশ সময় পানির দেখা পাওয়া যায় না। স্থানে স্থানে বিশাল এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে চর। এসব চরে সবজিসহ নানা ফসলের আবাদ হয় বারো মাস। এ বছর আকস্মিক ভারী বর্ষণে মৌসুমি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও গোমতীর বুকে থইথই পানি দেখে খুশি গোমতীপারের মানুষ।
কুমিল্লার গোমতী নদীতীরবর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া, আসাদনগর, মনোহরপুর, অলূয়া, রামনগর ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে থইথই করছে।
মালাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনেছি, এই নদীকে কেন্দ্র করে ৩০০ বছরে আগে মালাপাড়া বাজার গড়ে ওঠে। গোমতী নদীতে পানি না থাকায় একসময়ের নামডাকওয়ালা বাজারও এখন যেন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। বহু বছর পর নদীতে পানি দেখে পুরোনো স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এইতো সেদিন বড় বড় নৌকা ভিড়ত বাজারে।’
গোমতীপারের শতবর্ষী বৃদ্ধা আব্দুল মজিদ তিতু মেম্বার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘একসময় এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান পথ ছিল গোমতী নদী। নদীতে ছোট-বড় অনেক নৌকা চলত। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই বাজারে আসত পণ্য কেনাবেচার জন্য। এখানে ছিল একসময়ের অর্থকরী ফসল পাটের বৃহত্তম বাজার। সেই সঙ্গে চাল, আলু ও মাছের বিশাল বাজার বসত। এখন সেই ভরা নদী মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এ বছর নদীতে আবার পানি এসেছে দেখে অনেক ভালো লাগছে।’
জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুর-সোনাইমুড়ী থেকে উৎপত্তি হওয়া নদীটি কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি হয়ে মিলিত হয়েছে মেঘনা নদীর সঙ্গে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৫ মিটার। একসময়ের তীব্র খরস্রোতা গোমতীতে দীর্ঘদিন পানি না থাকায় নাব্যতা হারাতে থাকে। ‘খরস্রোতা’ পরিচয় মুছে এটি রূপ নিতে থাকে ‘রোগা খালে’। আর মানুষ হেঁটেই চলে যেত একসময়ের উন্মত্ত যৌবনা গোমতীর এপার থেকে ওপারে।
কিন্তু এবার গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকেই পাল্টে যেতে থাকে সেই চিত্র। কয়েক সপ্তাহের মাঝারি ও ভারী বর্ষণের সঙ্গে পাহাড়ি বানে যৌবন ফিরিয়ে দিতে থাকে তার। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পানি, সঞ্চার হতে থাকে প্রাণ। রোগা ভাব কাটিয়ে সে এখন পূর্ণ যৌবনা। খরস্রোতা না হলেও প্রবহমান।
গোমতীর সুদর্শন বেড়িবাঁধ ও নদীর পাড়ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ছোট ছোট বিনোদনকেন্দ্র। এগুলো ঘিরে শেষ বিকেলে জমে দর্শনার্থীদের ভিড়। নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সী নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় বাড়ে নদীর পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একসময়কার খরস্রোতা গোমতী নদীকে খাঁখাঁ বালুচরে পরিণত হতে দেখা গেছে। ভরা বর্ষায়ও কাঙ্ক্ষিত পানির দেখা পাওয়া যায়নি। কিন্তু চলতি বছর বর্ষার শুরুতে ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে যেন যৌবন ফিরে পেয়েছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী নদীটি। বর্তমানে গোমতীতে থইথই করছে পানি। এতে অবতারণা হয়েছে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের।
ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদীগুলোর একটি হলো গোমতী নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের ডুমুর নামক স্থানে উৎপত্তি হয়ে এঁকেবেঁকে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারত-বাংলাদেশের অন্যান্য যৌথ নদীর মতো গোমতীতেও বছরের অধিকাংশ সময় পানির দেখা পাওয়া যায় না। স্থানে স্থানে বিশাল এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে চর। এসব চরে সবজিসহ নানা ফসলের আবাদ হয় বারো মাস। এ বছর আকস্মিক ভারী বর্ষণে মৌসুমি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও গোমতীর বুকে থইথই পানি দেখে খুশি গোমতীপারের মানুষ।
কুমিল্লার গোমতী নদীতীরবর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া, আসাদনগর, মনোহরপুর, অলূয়া, রামনগর ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে থইথই করছে।
মালাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ‘আমার বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনেছি, এই নদীকে কেন্দ্র করে ৩০০ বছরে আগে মালাপাড়া বাজার গড়ে ওঠে। গোমতী নদীতে পানি না থাকায় একসময়ের নামডাকওয়ালা বাজারও এখন যেন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। বহু বছর পর নদীতে পানি দেখে পুরোনো স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এইতো সেদিন বড় বড় নৌকা ভিড়ত বাজারে।’
গোমতীপারের শতবর্ষী বৃদ্ধা আব্দুল মজিদ তিতু মেম্বার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘একসময় এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান পথ ছিল গোমতী নদী। নদীতে ছোট-বড় অনেক নৌকা চলত। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই বাজারে আসত পণ্য কেনাবেচার জন্য। এখানে ছিল একসময়ের অর্থকরী ফসল পাটের বৃহত্তম বাজার। সেই সঙ্গে চাল, আলু ও মাছের বিশাল বাজার বসত। এখন সেই ভরা নদী মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এ বছর নদীতে আবার পানি এসেছে দেখে অনেক ভালো লাগছে।’
জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুর-সোনাইমুড়ী থেকে উৎপত্তি হওয়া নদীটি কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি হয়ে মিলিত হয়েছে মেঘনা নদীর সঙ্গে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৫ মিটার। একসময়ের তীব্র খরস্রোতা গোমতীতে দীর্ঘদিন পানি না থাকায় নাব্যতা হারাতে থাকে। ‘খরস্রোতা’ পরিচয় মুছে এটি রূপ নিতে থাকে ‘রোগা খালে’। আর মানুষ হেঁটেই চলে যেত একসময়ের উন্মত্ত যৌবনা গোমতীর এপার থেকে ওপারে।
কিন্তু এবার গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকেই পাল্টে যেতে থাকে সেই চিত্র। কয়েক সপ্তাহের মাঝারি ও ভারী বর্ষণের সঙ্গে পাহাড়ি বানে যৌবন ফিরিয়ে দিতে থাকে তার। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পানি, সঞ্চার হতে থাকে প্রাণ। রোগা ভাব কাটিয়ে সে এখন পূর্ণ যৌবনা। খরস্রোতা না হলেও প্রবহমান।
গোমতীর সুদর্শন বেড়িবাঁধ ও নদীর পাড়ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ছোট ছোট বিনোদনকেন্দ্র। এগুলো ঘিরে শেষ বিকেলে জমে দর্শনার্থীদের ভিড়। নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সী নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় বাড়ে নদীর পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৯ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে