নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ভ্রাম্যমাণ আদালতে দিনমজুরদের কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের আদেশে বিচারিক ক্ষমতা হারানো খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত আপিল বিভাগে গিয়েও তা ফিরে পাননি।
বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে হাইকোর্টে দেওয়া রায় চেম্বার বিচারপতি বহাল রাখার পর আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকীর নেতৃত্বে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসাইনের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে আদালত তিন মাসের মধ্যে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।
আপিলে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোরশেদ এবং ইউএনওর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
গত ২০ নভেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই দিনমজুকে কারাদণ্ড দেন ওই ইউএনও। ওই সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন এক দিনমজুর। তাতে সাড়া দিয়ে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে দেওয়া সাজা কেন অবৈধ হবে না এবং তাঁদের কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একই সঙ্গে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দেন আদালত। জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির ডিসিকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়।
এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গেলে গত ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এদিকে ওই ইউএনও অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন গত ৮ জানুয়ারি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর সরকারি ছুটি মঞ্জুর করেছে। কিন্তু তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে রিট আবেদনকারী দিনমুজুর আবুল কালামকে জোর করে ধরে এনে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষরও নেন। সেই স্বাক্ষর করা কাগজকে হলফনামা বানিয়ে ইউএনও হাইকোর্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিন হাইকোর্টে গিয়ে ইউএনও কর্তৃক জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে হাইকোর্টের নজরে আনেন।
গত ৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ: কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সারা দেশে তোলপাড় হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধের সাথে-পাঁচে না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে। গত ১ আগস্ট রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেওয়ার কাজ করতে গেলে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুজন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন। দিনমজুরের কারাদণ্ডের পর বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
চট্টগ্রামে দুই দিন মজুরকে আইনি সহায়তা দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসানসহ অন্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে দিনমজুরদের কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের আদেশে বিচারিক ক্ষমতা হারানো খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত আপিল বিভাগে গিয়েও তা ফিরে পাননি।
বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে হাইকোর্টে দেওয়া রায় চেম্বার বিচারপতি বহাল রাখার পর আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকীর নেতৃত্বে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসাইনের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে আদালত তিন মাসের মধ্যে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।
আপিলে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোরশেদ এবং ইউএনওর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
গত ২০ নভেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই দিনমজুকে কারাদণ্ড দেন ওই ইউএনও। ওই সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন এক দিনমজুর। তাতে সাড়া দিয়ে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে দেওয়া সাজা কেন অবৈধ হবে না এবং তাঁদের কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একই সঙ্গে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দেন আদালত। জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির ডিসিকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়।
এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গেলে গত ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এদিকে ওই ইউএনও অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন গত ৮ জানুয়ারি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর সরকারি ছুটি মঞ্জুর করেছে। কিন্তু তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে রিট আবেদনকারী দিনমুজুর আবুল কালামকে জোর করে ধরে এনে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষরও নেন। সেই স্বাক্ষর করা কাগজকে হলফনামা বানিয়ে ইউএনও হাইকোর্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিন হাইকোর্টে গিয়ে ইউএনও কর্তৃক জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে হাইকোর্টের নজরে আনেন।
গত ৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ: কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সারা দেশে তোলপাড় হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধের সাথে-পাঁচে না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে। গত ১ আগস্ট রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেওয়ার কাজ করতে গেলে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুজন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন। দিনমজুরের কারাদণ্ডের পর বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
চট্টগ্রামে দুই দিন মজুরকে আইনি সহায়তা দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসানসহ অন্যরা।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর সেচ খালের বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নীলফামারীতে ৩০ একর জমির আমন ধান চারা নষ্ট হয়ে গেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের কালীতলা ভাট্টাতলি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে ওই সেচ খালে জেলা সদরের চাঁদেরহাট স্লুইসগেট থেকে দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়ি লেলাং ইউনিয়নে নিখোঁজের ১১ দিন পর হাত-মুখ বাঁধা অটোরিকশাচালক সন্তোষ চন্দ্র নাথ (৩৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) লেলাং ইউনিয়নের লালপুলসংলগ্ন এলাকার লেলাং খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সন্তোষ নাথ লেলাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সীমান্ত মহাজন বাড়ির
২৫ মিনিট আগেরাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ রোববার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, আজ রাত ৮টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২২০ মেগাওয়াট।
৩০ মিনিট আগেপ্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির..
১ ঘণ্টা আগে