নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
পাহাড়-টিলা কাটা নিষিদ্ধ। পানির উৎস জলাধার-পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী দুই নিষেধাজ্ঞাই অমান্য করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সম্প্রসারণের জন্য পুকুর ভরাট করছেন তিনি। আর সে কাজ করতে মাটির জোগান আসছে পাহাড় কেটে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট অপেক্ষাকৃত উঁচু পাহাড়-টিলার জায়গা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পানির উৎস ভরাটও নিষিদ্ধ। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাট করলেও গতকাল রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার থেকে রাঙ্গাপানি চা-বাগানে যাওয়ার পথে হাতের ডানে ৩০০ ফুট গেলেই বিশাল এক পাহাড়। সেখানে একাধিক এক্সকাভেটর ব্যবহার করে শ্রমিক দিয়ে চলছে পাহাড় কাটা। চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় বাসিন্দা বদি সওদাগরের নেতৃত্বে পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ের অনেকটা কেটে সাবাড় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদি সওদাগর কোনো ধরনের সদুত্তর না দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল বারবার কেটে দেন। একপর্যায়ে বিরক্তি প্রকাশ করে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী এলাকায় ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। তিনি জামায়াত সমর্থিত হিসেবে পরিচিত। তবে দলীয় কোনো পদে নেই তিনি। ইউপি ভবন সম্প্রসারণ করতে তিনি পরিষদেরই বড় একটি পুকুর ভরাট করছেন। এ জন্য কাটছেন পাহাড়।
উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এস আকাশ বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পুকুর পানি নিষ্কাশন ও অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুকুর ভরাটের কারণে জলাধার নষ্ট হওয়ায় এই এলাকায় অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলাও দুঃসাধ্য হবে।’
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতিকর কোনো কাজ আমি করছি না। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব পাহাড় কাটছি সম্প্রসারিত ইউপি ভবন নির্মাণের জন্য। এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য পাহাড় কাটা তো অপরাধ নয়। বিষয়টি ইউএনওর নলেজে দিয়েছি।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। পাহাড় কাটা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানি না। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য অধিদপ্তরের কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাহাড়-টিলা কাটা নিষিদ্ধ। পানির উৎস জলাধার-পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী দুই নিষেধাজ্ঞাই অমান্য করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সম্প্রসারণের জন্য পুকুর ভরাট করছেন তিনি। আর সে কাজ করতে মাটির জোগান আসছে পাহাড় কেটে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট অপেক্ষাকৃত উঁচু পাহাড়-টিলার জায়গা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পানির উৎস ভরাটও নিষিদ্ধ। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাট করলেও গতকাল রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার থেকে রাঙ্গাপানি চা-বাগানে যাওয়ার পথে হাতের ডানে ৩০০ ফুট গেলেই বিশাল এক পাহাড়। সেখানে একাধিক এক্সকাভেটর ব্যবহার করে শ্রমিক দিয়ে চলছে পাহাড় কাটা। চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় বাসিন্দা বদি সওদাগরের নেতৃত্বে পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ের অনেকটা কেটে সাবাড় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদি সওদাগর কোনো ধরনের সদুত্তর না দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল বারবার কেটে দেন। একপর্যায়ে বিরক্তি প্রকাশ করে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী এলাকায় ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। তিনি জামায়াত সমর্থিত হিসেবে পরিচিত। তবে দলীয় কোনো পদে নেই তিনি। ইউপি ভবন সম্প্রসারণ করতে তিনি পরিষদেরই বড় একটি পুকুর ভরাট করছেন। এ জন্য কাটছেন পাহাড়।
উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এস আকাশ বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পুকুর পানি নিষ্কাশন ও অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুকুর ভরাটের কারণে জলাধার নষ্ট হওয়ায় এই এলাকায় অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলাও দুঃসাধ্য হবে।’
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতিকর কোনো কাজ আমি করছি না। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব পাহাড় কাটছি সম্প্রসারিত ইউপি ভবন নির্মাণের জন্য। এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য পাহাড় কাটা তো অপরাধ নয়। বিষয়টি ইউএনওর নলেজে দিয়েছি।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। পাহাড় কাটা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পুকুর ভরাটও নিষিদ্ধ। বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড় কাটা এবং পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানি না। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য অধিদপ্তরের কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাদীর ভাই জাফর হোসেনসহ আরও কয়েকজন বর্তমানে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা এখন একটি বাংকারে অবস্থান করছেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. মো. আতোয়ার রহমান তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী...
১৫ মিনিট আগেওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে পরীক্ষা বর্জন করে দুপুরে কলেজমাঠে ফুটবল খেলেন। পরে ছয়-সাতজন বন্ধু মিলে পদ্মা নদীর ধলারমোড়ের চরে গিয়ে আবারও ফুটবল খেলেন এবং শেষে গোসলে নামেন। এ সময় স্রোতে ভেসে যান মারুফ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তামিমও স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যান।
৩০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনের পর থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য হাসিবুল্লাহ ও মাসুম বিল্লাহর মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে আজ বুধবার এনসিপির কর্মিসভা শুরুর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেজলাবদ্ধতা, আবাসনসংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন কয়েক শ শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগে