Ajker Patrika

জলাশয় ভরাটের জন্য সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
জলাশয় ভরাটের জন্য সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পার্শ্ববর্তী জলাশয় ভরাটের লক্ষ্যে ডাকাতিয়া নদীর সেতুর নিচ থেকে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। আর এতে করে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এর ফলে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

দেখা যায়, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার সীমানাবর্তী ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত খোর্দ্দ ও জগন্নাথপুর সেতু হিসেবে পরিচিত গুলজার সেতুর দুই পাশ থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। ডাকাতিয়া নদী খননের (ড্রেজিং) ড্রেজার দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করায় হুমকি ও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এই সেতু। 

সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে এসে এর সত্যতা পাওয়া যায়। যা বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৪ নম্বর ধারার ‘খ’ উপ-ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

‘খ’ উপ-ধারায় উল্লেখ রয়েছে, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে, অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ সেতুর মাত্র ৫০-৬০ ফুটের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডাকাতিয়া নদীর খোর্দ্দ ও জগন্নাথপুর সেতুর (গুলজার সেতু) পূর্ব পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এরপর বুধবার সেতুর পশ্চিম পাশ থেকে বালু উত্তোলন শুরু করা হলে সংবাদকর্মীদের খবর দেন এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে ডাকাতিয় নদী খনন (ড্রেজিং) কাজের ঠিকাদার মনতা কনস্ট্রাকশনের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে এ সময় মোবাইলে কথা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নাজমুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং সেতুর পাশ থেকে তাৎক্ষণিক বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দেন। 

এ সময় ম্যানেজার বলেন, সেতুর ১২০ ফুট পর থেকে বালু উত্তোলন করা যায়। কিন্তু ড্রেজারের অপারেটর ভুল করে সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করেছেন। তাই তাৎক্ষণিক বালু উত্তোলন বন্ধ করে তাঁকে (ড্রেজার অপারেট) সেতুর অন্তত দু শ ফুট পর থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত