Ajker Patrika

১৫ বছরের পুরোনো বগি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৩
১৫ বছরের পুরোনো বগি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন

২০০৭ সালে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে চীন থেকে আনা ১৪টি বগি যুক্ত করা হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত বগিগুলো ওই ট্রেনে ব্যবহৃত হয়। গত দুই বছর আর ব্যবহৃত হয়নি। ১৫ বছরের পুরোনো সেই বগিগুলোই এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে বিজয় ও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে। সেটি আবার ঢাকঢোল পিটিয়ে আজ সোমবার উদ্বোধন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন প্রয়োজন থাকলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিশেষ করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক নতুন ট্রেন যুক্ত হচ্ছে। অথচ পূর্বাঞ্চলে একটিও নতুন ট্রেন যুক্ত হয়নি। শুধু কিছুদিন পরপর বগি পরিবর্তন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হচ্ছে।

২০১৯ সাল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে তিনটি নতুন ট্রেন যুক্ত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চালু হয় নতুন ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস। এক মাসের ব্যবধানে চালু হয় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। ঢাকা-বেনাপোল রুটে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে চালু হয় বেনাপোল এক্সপ্রেস। ওই বছরের অক্টোবরে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেসে সংযোজন হয় নতুন কোচ। এই সময়ে পূর্বাঞ্চলে একটিও নতুন ট্রেন যুক্ত হয়নি। 

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয় ১৯৯৮ সালে। এটি ২০০৭ সাল পর্যন্ত ইরানি বগি দিয়ে চলাচল করে। সে বছরই সাদা চীনা বগি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই ১৪টি চীনা বগি সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। সেই বগিগুলোই এবার ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ও ঢাকা নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হলো। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা সাহেব উদ্দিন বলেন, ‘আজকে যুক্ত হওয়া সাদা চায়না বগিগুলো সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পাওয়া। এগুলো নতুনভাবে সংস্কারের মাধ্যমে উপযোগী করে বিজয়-উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত করা হয়েছে।’ 

আজ সকাল ৯টায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলো উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন। 

অন্যদিকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বগি সংযোজন ঢাকায় দুপুরে উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এইচএম ইব্রাহিম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে টাকা ধার চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার দায়ে দেবর সাদিকুর রহমান সাদিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন।

নারায়ণগঞ্জ আদলত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, ২০২২ সালের ২ জুলাই রাতে সাদিকুর তাঁর ভাবি রাজিয়া সুলতানা কাকলীর কাছে টাকা ধার চান। এ সময় ভাবি রাজিয়া টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পরে রাজিয়ার ঘুমন্ত ছেলে তালহাকেও (৮) কুপিয়ে হত্যা করে আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পরদিন নিহত রাজিয়ার মা তাসলিমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তে দেবর সাদিকুরের সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার মামলার আদেশ দেন আদালত।

সাদিকুর রহমান আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দ এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপসো স্যালাইন ফার্মাতে ৫৭০ শ্রমিক ছাঁটাই: থালা নিয়ে রাস্তায় সন্তানেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আজ দুপুরে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাবার চাকরি নেই। তাই মা-বাবার সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে থালা হাতে রাস্তায় বসেছে প্রায় অর্ধশত শিশু। মা-বাবা যখন চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন, সন্তানেরা তখন ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাঁদের পাশে বসে আছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে শ্রম অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায় মালিক-শ্রমিক সমঝোতা বৈঠক বৃহস্পতিবার আলোচনা ছাড়াই ভেস্তে গেছে।

জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর দেশের বৃহত্তম ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠান অপসোনিন লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অপসো স্যালাইন ফার্মা কর্তৃপক্ষ ৫৭০ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করে। এর পর থেকে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন। এর ফলে আট দিন ধরে কারখানাটি অচল হয়ে আছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার সামনে শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁদের কোমলমতি সন্তানেরাও যুক্ত হয়।

শ্রমিক গোপাল চন্দ বলেন, ‘বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে মালিক-শ্রমিক বৈঠক হয়েছে, কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার আবারও বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আমরা তো মরবই। তবে ঘরে বসে মরতে চাই না, তাই রাস্তায় নেমেছি।’

শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় বলেন, ‘শ্রম অধিদপ্তরে আবারও সভা হওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ জানিয়েছে, তারা আর শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে না। এরপর শ্রমিকেরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে অপসো স্যালাইন ফার্মার সামনে আন্দোলন চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী সরকারি কলেজে পরিবহন ব্যবস্থার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সরকারি কলেজে নিজস্ব পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, জাতীয় শিক্ষা বোর্ড তথা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী সরকারি কলেজ। এই কলেজে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজের নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা কম থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের বাসাবাড়ি থেকে যাতায়াত করেন।

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে ক্যাম্পাসে আসেন। গণপরিবহনে বিভিন্ন সময় চালকদের দুর্ব্যবহার ও শ্রমিকদের হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। এ ছাড়াও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো শিক্ষার্থী। ৪ নভেম্বর কলেজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান নিহত হন।

দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো নিজস্ব পরিবহন নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালী সরকারি কলেজের নিজস্ব পরিবহন চালু না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বহিষ্কার

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫২
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর জেলা শাখার অধীন নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। তাঁর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল (৫ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম তাঁকে সরকারি কৃষি প্রণোদনা না দেওয়ায় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে তাঁকে পেটান। এ সময় রাহাত হাসান কাইয়ুমের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মী ফজলুও ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এই ঘটনায় কাইয়ুম ও ফজলুর বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে এবং ফজলু (৩২) একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত