Ajker Patrika

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ ৩ সংস্থার কাজ নিয়ে মন্ত্রীর অসন্তোষ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

চট্টগ্রামে তিন সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সভায় তিন সংস্থার প্রতিনিধিদের থেকে কাজের সবশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁদের উত্তর মন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে এ সমন্বয় সভা হয়। 

সভায় চট্টগ্রামে তিন সংস্থার প্রতিনিধির কাছে চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে চান মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তখন কোনো প্রতিনিধি বলেন, কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আবার কোনো প্রতিনিধি বলেন, কমিটি হয়েছে। 

এই ধরনের বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও অনেকবার সমন্বয় সভায় একই ধরনের কথা শুনেছি। এই ধরনের কথা আর শুনতে চাই না। কাজ কতটুকু হয়েছে, শেষ হয়েছে কি-না তাই বলুন।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং তিন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে মন্ত্রী জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিভাগীয় তিন সংস্থার মধ্যে সভা আয়োজন করা হয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘প্রতি মাসে সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট করে বলেন, আপনারা কয়টি সভা আয়োজন করেছেন।’ উত্তরে সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেন, ‘এই পর্যন্ত নয়টি সভা আয়োজন করা হয়েছে।’ 

সমন্বয় সভায় প্রতিনিধিরা বলেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুটি, সিটি করপোরেশনের একটি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। 

মন্ত্রী সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চাইলে, প্রকল্পগুলো এখনো আগের অবস্থায় রয়েছে বলে জানান প্রতিনিধিরা।   

সেনাবাহিনীর অধীনে থাকা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনীর অধীনের প্রকল্পগুলো কাজের নাকি অগ্রগতি নেই। আপনারা নাকি কাজ করেন না।’

এ সময় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা বলেন, ‘প্রায় ৩৩টি খালের মধ্যে ১৭টির খনন কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোরও কাজ এক বছরের মধ্যে শেষ হবে।’

মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে দোকান ভাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মতো নয়। তাদের আয়বর্ধক প্রকল্প থেকে আয় আসে। আমাদের তা নেই। সে জন্য দোকান ভাড়া দিয়ে আয় করার চেষ্টা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত