জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
ছোটকাল থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন সাইফুল চৌধুরী। সেই থেকে শখের ফটোগ্রাফি। কাজ করেছেন দুটি জাতীয় পত্রিকায়। পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। তাঁর অর্ধেক বয়স কেটে গেছে এই ছবির পেছনেই। সেই সাইফুল এবার নিজেই ছবি হওয়ার পথে। তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁর এই রোগের চিকিৎসার জন্য তাঁর নেই আর্থিক সামথ্য। কেবল বিত্তবানদের সহায়তায় তাঁকে ফেরাতে পারে স্বাভাবিক জীবনে।
২০১৮ সালে ভারতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দুটি কিডনিই নষ্ট হওয়ার খবর পান তিনি। বিশ্বাসই হচ্ছিল তাঁর। যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। সম্বল যা ছিল তিনটি বছর ডায়ালাইসিসের পেছনে শেষ করেছেন। এখন বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আশায় আছেন তিনি। কিডনি প্রতিস্থাপন করে বাঁচতে চান পরিবারের জন্য, ছেলের জন্য।
এখন শেষ সম্বল বলতে তাঁর সারা জীবনের তোলা ছবি। সেই ছবিগুলো বিক্রি করে খরচ মেটাতে চান। এই জন্য তিনি জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে আয়োজন করেছেন দ্বিতীয় একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রতিটি ছবির মূল্য নির্ধারণ করেছেন মাত্র ৩ হাজার টাকা।
জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি কক্ষে শোভা পাচ্ছে সাইফুলের আলোকচিত্র। সেখানে রয়েছে তাঁর তোলা শতাধিক ছবি। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি, ঐতিহ্যের পাশাপাশি হৃদয়বিদারক ছবি স্থান পেয়েছে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। দর্শনার্থীরা আসছেন, দেখছেন আর কিনে নিচ্ছেন।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তাসনোভা তানিয়া বলেন, ‘ঘুরতে এসেছিলাম। পরে এখানে আসা। ছবিগুলো দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। যেন ছবিই কথা বলছে।’
তাসনোভা বলেন, ‘একটি ছবি কিনে নিয়েছি। কারণ এই ছবির যে কারিগর তাঁর দুটিই কিডনিই নষ্ট। তাঁকে বাঁচাতে আমার সামর্থ্যের ছোট একটি উদ্যোগ।’
সাইফুল চৌধুরীর সহকর্মী মহিমা বলেন, ‘সাইফুল ভাই অনেক ভালো মানের ফটোগ্রাফার। সমাজের বিত্তবানদের কাছে আহ্বান জানাব, সাইফুলকে বাঁচান। তার শিল্পকে বাঁচান। আমরা সবাই এগিয়ে আসলে তিনি ভালো হয়ে যাবেন।’
আরেক সহকর্মী এম জাফর খান বলেন, ‘সাইফুল ভাই সম্বল যা ছিল সব শেষ। এখন তাঁর সারা জীবনের অর্জনগুলো বিক্রি করে বাঁচতে চান। আমরা তাঁর একটি ছবি নিয়ে তাঁর জীবনটা বাঁচাই।’
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রধান গেটে বসেছিলেন সাইফুল চৌধুরী। বাঁচার আকুতি ঝরছে চোখে মুখে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধরা পড়ে কিডনি নষ্ট। মনে করেছিলাম আমি বাঁচব না। প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে মরে যাব। তারপর মনে করলাম, এভাবে ভেঙে পড়লে হবে না। কারণ আমার দুই ছেলে আছে, আছেন পরিবার।’
তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর ডায়ালাইসিসের পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রতি মাসে তিনটা ডায়ালাইসিস করতে হয়। চিকিৎসক বলছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। ভারতে খবর নিয়েছিলাম-সেখানে চার মাস থাকতে হবে। সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকা মতো লাগবে।’
সাইফুল চৌধুরীকে আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন এই বিকাশ নম্বরে 01919022992। এটি তাঁর ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর।
ছোটকাল থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন সাইফুল চৌধুরী। সেই থেকে শখের ফটোগ্রাফি। কাজ করেছেন দুটি জাতীয় পত্রিকায়। পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। তাঁর অর্ধেক বয়স কেটে গেছে এই ছবির পেছনেই। সেই সাইফুল এবার নিজেই ছবি হওয়ার পথে। তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁর এই রোগের চিকিৎসার জন্য তাঁর নেই আর্থিক সামথ্য। কেবল বিত্তবানদের সহায়তায় তাঁকে ফেরাতে পারে স্বাভাবিক জীবনে।
২০১৮ সালে ভারতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দুটি কিডনিই নষ্ট হওয়ার খবর পান তিনি। বিশ্বাসই হচ্ছিল তাঁর। যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। সম্বল যা ছিল তিনটি বছর ডায়ালাইসিসের পেছনে শেষ করেছেন। এখন বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আশায় আছেন তিনি। কিডনি প্রতিস্থাপন করে বাঁচতে চান পরিবারের জন্য, ছেলের জন্য।
এখন শেষ সম্বল বলতে তাঁর সারা জীবনের তোলা ছবি। সেই ছবিগুলো বিক্রি করে খরচ মেটাতে চান। এই জন্য তিনি জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে আয়োজন করেছেন দ্বিতীয় একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রতিটি ছবির মূল্য নির্ধারণ করেছেন মাত্র ৩ হাজার টাকা।
জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি কক্ষে শোভা পাচ্ছে সাইফুলের আলোকচিত্র। সেখানে রয়েছে তাঁর তোলা শতাধিক ছবি। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি, ঐতিহ্যের পাশাপাশি হৃদয়বিদারক ছবি স্থান পেয়েছে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। দর্শনার্থীরা আসছেন, দেখছেন আর কিনে নিচ্ছেন।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তাসনোভা তানিয়া বলেন, ‘ঘুরতে এসেছিলাম। পরে এখানে আসা। ছবিগুলো দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। যেন ছবিই কথা বলছে।’
তাসনোভা বলেন, ‘একটি ছবি কিনে নিয়েছি। কারণ এই ছবির যে কারিগর তাঁর দুটিই কিডনিই নষ্ট। তাঁকে বাঁচাতে আমার সামর্থ্যের ছোট একটি উদ্যোগ।’
সাইফুল চৌধুরীর সহকর্মী মহিমা বলেন, ‘সাইফুল ভাই অনেক ভালো মানের ফটোগ্রাফার। সমাজের বিত্তবানদের কাছে আহ্বান জানাব, সাইফুলকে বাঁচান। তার শিল্পকে বাঁচান। আমরা সবাই এগিয়ে আসলে তিনি ভালো হয়ে যাবেন।’
আরেক সহকর্মী এম জাফর খান বলেন, ‘সাইফুল ভাই সম্বল যা ছিল সব শেষ। এখন তাঁর সারা জীবনের অর্জনগুলো বিক্রি করে বাঁচতে চান। আমরা তাঁর একটি ছবি নিয়ে তাঁর জীবনটা বাঁচাই।’
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রধান গেটে বসেছিলেন সাইফুল চৌধুরী। বাঁচার আকুতি ঝরছে চোখে মুখে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধরা পড়ে কিডনি নষ্ট। মনে করেছিলাম আমি বাঁচব না। প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে মরে যাব। তারপর মনে করলাম, এভাবে ভেঙে পড়লে হবে না। কারণ আমার দুই ছেলে আছে, আছেন পরিবার।’
তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর ডায়ালাইসিসের পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রতি মাসে তিনটা ডায়ালাইসিস করতে হয়। চিকিৎসক বলছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। ভারতে খবর নিয়েছিলাম-সেখানে চার মাস থাকতে হবে। সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকা মতো লাগবে।’
সাইফুল চৌধুরীকে আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন এই বিকাশ নম্বরে 01919022992। এটি তাঁর ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর।
সাম্য খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ বলছে, তিনজনই মাদকসেবী। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন মাদক সেবন করতে। এ সময় মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁরা সাম্যকে ছুরিকাঘাতে....
১৮ মিনিট আগেচারদিকে মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! তবু হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পরনে স্যুট-টাই, গায়ে কালো গাউন, মাথায় কালো টুপি। দীর্ঘদিন পর চেনা স্থানে একত্র সবাই। কালো টুপিটা আকাশের দিকে ছুড়ে দিয়ে অনেকে ছবি তুলছেন। কেউ নিজের গাউন খুলে মা-বাবাকে পরিয়ে দিচ্ছেন, কেউবা ছোট্ট শিশুর...
২২ মিনিট আগেসিলেটে মুজিবুর হত্যা মামলায় নারীসহ ছয়জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেআসামিরা অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা, সহিংসতা উসকে দেওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক হামলার মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিফলেট বিলি, সমাবেশে বক্তব্য, সামাজিক মাধ্যমসহ মিডিয়ায় উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
৩৯ মিনিট আগে